চট্টগ্রাম বন্দরে রবির ৫-জি প্রযুক্তির সেবার জন্য সমীক্ষা করছে এক্সেনটেক
Published: 10th, August 2025 GMT
চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনায় ফাইভ-জি প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে একটি সমীক্ষা করা হচ্ছে। রবি আজিয়াটার জন্য এই সমীক্ষা পরিচালনা করবে মোবাইল অপারেটরটির সহযোগী কোম্পানি এক্সেনটেক। আজ রোববার চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষ ও এক্সেনটেকের মধ্যে এ–সংক্রান্ত এক চুক্তি হয়েছে।
রবির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হয়। চুক্তির আওতায় চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য একটি ফাইভ-জি ভিত্তিক প্রাইভেট নেটওয়ার্ক নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করবে এক্সেনটেক। বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণ, স্মার্ট অ্যাকসেস কন্ট্রোলিংয়ের মতো সেবা প্রদানের প্রয়োজনীয় কারিগরি সহযোগিতার ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হবে। এ ছাড়া বন্দরের টেস্টিং ল্যাব অটোমেশন এবং যানবাহন ও গ্যান্ট্রি ক্রেন স্মার্ট পদ্ধতিতে পরিচালনার সম্ভাব্যতাও যাচাই করা হবে।
এ বিষয়ে এক্সেনটেকের এমডি ও সিইও আদিল হোসেন নোবেল বলেন, ‘এন্টারপ্রাইজ পর্যায়ে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রবির ফাইভ-জি ভিত্তিক সেবা প্রদানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। আমাদের আশা, বন্দর কর্তৃপক্ষের দক্ষতা বৃদ্ধিতে এই ফাইভ-জি স্মার্ট সলিউশন ভূমিকা রাখবে।’
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান এম মুনিরুজ্জামান, রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম, ক্লাস্টার মার্কেট ডিরেক্টর মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ