চাঁদপুরের কালিভাংতিতে বালুবাহী ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার যাত্রী করিম সরকার (৫৬) নিহত হয়েছেন। এতে তার স্ত্রীসহ চারজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর-মতলব সড়কের কালিভাংতি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত করিম সরকারের বাড়ি মতলব দক্ষিণ উপজেলার দক্ষিণ উপাদী ইউনিয়নের দীঘলদী গ্রামে। স্বজনরা জানান, করিম সরকার চট্টগ্রামে চাকরি করতেন। ছুটিতে গ্রামের বাড়ি এসে স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলেন।

আরো পড়ুন:

কুমিল্লায় অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ২

নিম্নমানের সরঞ্জাম দিয়ে সড়ক সংস্কার, দুদকের অভিযান

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বাহার মিয়া সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ট্রাক আটকের চেষ্টা চলছে।’’

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, চাঁদপুর থেকে ছেড়ে আসা বেপরোয়া গতির বালুবাহী ট্রাক বিপরীতদিক থেকে আসা অটোরিকশায় ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে করিম সরকার মারা যায়। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সৈয়দ আহমেদ কাজল জানান, একজনকে মৃত এবং চারজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিরা এখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।  

ঢাকা/জয়/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন ন হত কর ম সরক র দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতে রপ্তানির খবরে চাঁদপুরে ইলিশের দাম বেড়েছে

ভারতে রপ্তানির খবরে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ ও উত্তর উপজেলার মাছবাজারে গতকাল বুধবার থেকে ইলিশের দাম আগের তুলনায় বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি ইলিশের দাম গড়ে বেড়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা করে।

দাম বাড়ায় নিম্ন আয়ের ক্রেতাদের পাতে জুটছে না ইলিশ। এ নিয়ে হতাশ তাঁরা। দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি কম। এতে হতাশ বিক্রেতারাও।

গতকাল ও আজ বৃহস্পতিবার সকালে মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদর, মুন্সিরহাট ও বরদিয়া আড়ৎ এবং মতলব উত্তর উপজেলার আমিরাবাদ, সুজাতপুর ও ছেংগারচর মাছবাজারে গিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।

এসব বাজারে দেখা যায়, সেখানে মোটামুটি হারে ইলিশের আমদানি হয়েছে। ইলিশ সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা, তবে বেচাকেনা কম। দু-একজন ক্রেতা দরদাম করেই ফিরে যাচ্ছেন। কেউ ইলিশের কাছে এসে উঁকিঝুঁকি মেরেই সারা। ইলিশের দাম শুনে হতাশ মনে ফিরছেন অনেকেই। সচ্ছল কিছু ক্রেতা কিছু ইলিশ কিনলেও নিম্ন আয়ের অধিকাংশ ক্রেতাই কিনছেন না, শুধু দেখছেন।

মতলব দক্ষিণ উপজেলার কলেজ গেট এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক অশোক কুমার রায়। মাছ কিনতে বাজারে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘ইলিশ কিনতে বাজারে আসছি। দেখি, দাম আগের চেয়ে বেশি। নিম্ন আয়ের ক্রেতার পক্ষে এত দামে ইলিশ কিনা সম্ভব নয়। কী করব, ইলিশের চেহারা দেখেই চইলা আসি।’

মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদর মাছবাজারের ইলিশ বিক্রেতা বিমল চন্দ্র দাস বলেন, ইলিশের দাম কিছুটা কমেছিল। ভারতে ইলিশ রপ্তানির খবর জানাজানির পর ইলিশের দাম গতকাল থেকে বেড়েছে। ভারতে ইলিশ রপ্তানি হওয়ায় খবরে পাইকারি বিক্রেতারা বাজার থেকে বেশি করে ইলিশ কিনে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছেন। এতে বাজারে ইলিশের ঘাটতি দেখা দেয়। গড়ে প্রতি কেজি ইলিশের দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়েছে। অধিকাংশ ক্রেতাই ইলিশ না কিনেই চলে যাচ্ছেন। বেচাবিক্রি কম। এতে তিনিসহ অন্যান্য বিক্রেতারা হতাশ।

বিক্রেতারা বলেন, কয়েক দিন আগে এক কেজি ওজনের ইলিশের কেজিতে দর ছিল ২ হাজার ১০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা। গতকাল থেকে সেগুলোর দাম বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৫০০। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকায়। সেগুলোর দাম বেড়ে হয়েছে ২ হাজার টাকা। ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হতো ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায়। সেগুলো বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১ হাজার ৫০০ টাকায়।
মতলব উত্তর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস বলেন, ভারতে ইলিশ রপ্তানির সঙ্গে বাজারে ইলিশের দাম বেড়ে যাওয়ার কোনো যৌক্তিক সম্পর্ক নেই। ভরা মৌসুমে মেঘনা-পদ্মায় এখন মোটামুটি হারে ইলিশ ধরা পড়ছে। এখন দাম কমার কথা, বাড়ার কথা নয়।

মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা কুলসুম মনি ও মতলব দক্ষিণের ইউএনও আমজাদ হোসেন বলেন, ইলিশের বাজার স্বাভাবিক রাখতে বাজার তদারকি করা হচ্ছে। হঠাৎ ইলিশের দাম আরও বেড়ে যাওয়ার ঘটনা অগ্রহণযোগ্য। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারতে রপ্তানির খবরে চাঁদপুরে ইলিশের দাম বেড়েছে