ওজন কমানোর ফুড সাপ্লিমেন্ট কি কার্যকর ও নিরাপদ?
Published: 20th, September 2025 GMT
প্রতিটি ফুড সাপ্লিমেন্টের ক্ষেত্রে বলা হয়, এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক কম, ৩০ থেকে ৩৫–এর মধ্যে। আরও বলা হয়, এটি একটি ব্যালান্সড ডায়েটের (সুষম খাবার) ফর্মুলায় তৈরি করা, যা শরীরের সব পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করবে। এগুলো উচ্চ ফাইবার–সমৃদ্ধ—এমন তথ্যও প্রচার করা হয়।
ওজন কমাতে যা জরুরিচিকিৎসক ও গবেষকেরা বলেন, ওজন কমাতে সঠিক সুষম ডায়েট পরিকল্পনা ও নিয়মিত হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়ামের বিকল্প নেই।
পরিবারের জন্য প্রস্তুত সাধারণ ও স্বাভাবিক খাবারই পরিমিত পরিমাণে ও ভারসাম্য বজায় রেখে খেয়ে ওজন কমানো সম্ভব।
ওজন কমাতে চাইলে নিত্যদিনের সুষম খাদ্য পরিকল্পনায় লো-গ্লাইসেমিক ইনডেক্স এবং উচ্চ ফাইবার–সমৃদ্ধ খাবার রাখার চেষ্টা করতে হবে।
বাদ দিতে হবে উচ্চ ক্যালরি ও উচ্চ শর্করাযুক্ত খাবার।
পাশাপাশি চাই কায়িক শ্রম ও ক্যালরি ক্ষয়। ব্যস, এটাই যথেষ্ট।
ওজন কমাবে যেসব খাবারআমাদের চারপাশে এমন অনেক সস্তা খাবার আছে, যেগুলো লো-গ্লাইসেমিক ইনডেক্স, লো-গ্লাইসেমিক লোড, উচ্চ ফাইবারযুক্ত। আমরা ওজন কমানোর উদ্দেশ্যে এই খাবারগুলো বেছে নিতে পারি।
যেমন বার্লি আটার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ২৫ থেকে ৩০–এর মধ্যে, যা বাজারে প্রচলিত যেকোনো ফুড সাপ্লিমেন্ট অপেক্ষা অনেক কম। আবার লাল আটা, লাল চাল এগুলোর গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও বেশ কম, ৪০ থেকে ৫০–এর মধ্যে।
এসব খাবার লো-গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পাশাপাশি উচ্চ ফাইবার–সমৃদ্ধ। এ ছাড়া আপেল, বেরি, পেঁপে, পেয়ারা এগুলোর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক কম। সব ধরনের ডাল ও বাদামের গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও অনেক কম।
আমাদের চারপাশে এমন অনেক সস্তা খাবার আছে, যেগুলো লো-গ্লাইসেমিক ইনডেক্স, লো-গ্লাইসেমিক লোড, উচ্চ ফাইবারযুক্ত.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ওজন কম
এছাড়াও পড়ুন:
৮ দলের পদযাত্রায় পুলিশের বাধা, স্মারকলিপি দিতে যমুনায় প্রতিনিধিদল
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটসহ পাঁচ দাবিতে যমুনা অভিমুখে জামায়াতসহ ৮ রাজনৈতিক দলের পদযাত্রায় বাধা দিয়েছে পুলিশ। পরে ৮ রাজনৈতিক দলের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিতে যমুনায় গেছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পল্টন থেকে দলে দলে মিছিল নিয়ে পদযাত্রাটি মৎস্য ভবন এলাকায় পৌঁছালে সেখানে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়।
আট দলের প্রতিনিধিদলে রয়েছেন— জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির আহমদ আলী কাসেমী ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপার) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান।
দুপুর ১২টায় ঢাকার পুরানা পল্টন মোড় থেকে এ পদযাত্রা শুরু হয়। এর আগে দলগুলো পল্টন মোড়ে পৃথক মিছিল নিয়ে জড়ো হয়। শাপলা চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে পুরানা পল্টনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন জামায়াত নেতাকর্মীরা। ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিসের দুই অংশসহ অন্যদলগুলোর নেতাকর্মীরা আগ থেকেই পল্টন মোড়ে অবস্থান নেন।
পদযাত্রা শুরুর আগে পল্টন মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলগুলোর শীর্ষ নেতারা গণভোট, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি ও জাতীয় নির্বাচন ঘিরে সারা দেশে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তথা নির্বাচনি পরিবেশ তৈরিসহ নানা বিষয়ে জোরালো বক্তব্য রাখেন।
দলগুলোর পাঁচ দফা দাবি হলো—জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং ওই আদেশের ওপর নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে বা উচ্চকক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের সব জুলুম–নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং ‘স্বৈরাচারের দোসর’ জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
আটটি দলের মধ্যে রয়েছে—জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা