প্রকৃতিতে এখন শরৎকাল। কখনো মেঘাচ্ছন্ন, আবার কখনো শান্ত-স্বচ্ছ নীল আকাশের দেখা মেলে। কখনো কখনো ঝরে বৃষ্টি। এর মধ্যে আজ শনিবার সকালে দেশের সর্বোত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে হঠাৎ করেই দেখা মিলল ঘন কুয়াশার।

আজ ভোর থেকে সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় কুয়াশা দেখা গেছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে এই কুয়াশা কেটে যায়। আবহাওয়াবিদেরা অবশ্য এই কুয়াশাকে স্বাভাবিক শীতের আগামনী বার্তা হিসেবে দেখছেন।

তবে শরতের ভ্যাপসা গরমের এই সময়ে আকস্মিক এ ধরনের কুয়াশায় শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে গত শুক্রবার সকাল পর্যন্ত টানা সাত দিন পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় তেঁতুলিয়ায় ১৯১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। তবে শুক্রবার সকালের পর থেকে আজ সকাল পর্যন্ত তেঁতুলিয়ায় মাত্র ১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর শুক্রবার গভীর রাত থেকে হঠাৎ করেই ঝড়তে থাকে কুয়াশা, যা দেখা মেলে শনিবার সকাল পর্যন্ত।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে আরও জানা যায়, বর্তমানে তেঁতুলিয়া দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ২৪ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। আজ সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তা সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নয়। এদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বান্দরবানে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তেঁতুলিয়া সাত দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল। শুক্রবার সকালের পর আর তেমন বৃষ্টি হয়নি। মৌসুমি বায়ু নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টি বন্ধ হয়েছে। এর মধ্যে হঠাৎ করে আজ ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার দেখা মিলেছে। এটাকে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের জন্য শীতের আগমনী বার্তা বলা যায়। তবে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত আবারও মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এতে আবারও বৃষ্টি হতে পারে।

পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন মিজানুর রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, পঞ্চগড়ে শরৎকালে দিনে গরম ও রাতে কিছুটা ঠান্ডা অনুভূত হয়। আর এ সময় এই ধরনের কুয়াশা দেখা দিলে ঠান্ডা-গরমের কারণে মানুষের শরীরে অভিযোজনের কিছুটা সমস্যা হয়। এতে মানুষের মধ্যে শীতজনিত সর্দিকাশিসহ বিভিন্ন রোগের দেখা দিতে পারে। এই সময় শিশু ও বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতার সঙ্গে যত্ন নিতে হবে। এ ছাড়া ধুলোবালু আর কুয়াশা থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক ব্যবহার করা ভালো।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র কর ড কর স লস য় স

এছাড়াও পড়ুন:

ঋতুযুদ্ধ

ইচ্ছাপূরণের গল্পে ঢুকতে কোনো প্রবেশপত্র লাগে না;
শিক্ষয়িত্রী শরৎকালের স্নিগ্ধতা পড়ে শোনাচ্ছেন বাচ্চাদের

কল্পনাঋদ্ধ দৃশ্যকল্প পেরিয়ে,
আজও কাশবন চিরে ছুটে যাচ্ছে অপু আর দুর্গা
হঠাৎ আবিষ্কারের ঢঙে জেগে উঠল
বৈশিষ্ট্যবিবর্জিত শস্যখামার।
প্রকৃতিকে মেনশন করে দাঁড়িয়ে আছে
মালিকের শরৎগন্ধী ছেলেমেয়েরা।

শিশুদের চোখ সন্দেহের আওতায় পড়ে না।

তারা ক্লাস শেষে
দিদিমণির অচেনা শরৎকে ব্যাগে ভরে বাড়ি ফেরে
পথে চৌকস চকলেট কারখানার দাবি নিয়ে
রোজ দাঁড়িয়ে থাকেন জটিল এক বুড়ো
তিনি শরতের বিনিময়ে চকলেট দিতে চান
বর্ণচোরা অপ্রিয় প্রস্তাব শুনে বাচ্চাদের আত্মা কেঁপে ওঠে।

বৃদ্ধের সারা মুখজুড়ে বসন্তের সোনালি বুদ্‌বুদ
স্তব্ধ বাতাসে নুয়ে আছে পতাকা, ঠিক তখনই
নীল আকাশ ভেঙে শুরু হয় ঋতুযুদ্ধের অখণ্ড প্রস্তুতি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঋতুযুদ্ধ