‘মাঠে কিছুই খেলতে পারছে না, অথচ বাইরে ওদের নাটকের শেষ নেই।’

বিরক্তি নিয়েই কথাটা কাল বলছিলেন পাকিস্তানের এক সাংবাদিক। এমনিতেও কে, কোথায় কী বলে ফেললেন; ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে এখন এ নিয়েই থাকে সব উত্তেজনা। মাঠের লড়াইয়ের ঝাঁজ প্রায় শূন্য।

বাইরের এসব আলাপ-আলোচনাই বাঁচিয়ে রেখেছে ভারত–পাকিস্তান ক্রিকেট লড়াইয়ের আঁচ। নয়তো সব সংস্করণ মিলিয়ে (ভারত–পাকিস্তান এখন মূলত সাদা বলের ক্রিকেটেই খেলছে) সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচই যেখানে জিতেছে একটা দল, এমন একটা ম্যাচ নিয়ে দুনিয়াজুড়ে এত আগ্রহ কেন!

একটু ভুল বলা হয়ে গেল কি না, কে জানে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিমই হয়তো আপত্তি জানাতে পারেন কথাটাতে। এবারের এশিয়া কাপের আয়োজক দেশটার অধিনায়ক তো স্পষ্ট করেই বলেছেন, ভারত–পাকিস্তানের এসব ঘটনা নিয়ে তাঁদের কোনো আগ্রহই নেই! অথচ তিনি এমন একটা দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যে দলটার সবাই ভারত অথবা পাকিস্তানে জন্ম নিয়েছেন।

তাঁর আগ্রহ না থাকলেও ভারত আর পাকিস্তান মিলিয়ে ম্যাচটা কাভার করতে দুবাইয়ে এসেছেন ১২০ জন সাংবাদিক। কথার লড়াইয়েও উত্তেজনাটা বেঁচে থাকলে তাঁদের খুশিই হওয়ার কথা। কিন্তু এমনই নিয়তি, সেই সুযোগটাও তাঁরা ঠিকঠাক পাচ্ছেন না।

আজ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ হচ্ছে, সেটির আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতেই রাজি হয়নি পাকিস্তান। কাল স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টায় ছিল তাঁদের সংবাদ সম্মেলন। এক ঘণ্টা আগে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, পাকিস্তানের কোনো প্রতিনিধি সংবাদ সম্মেলনে আসবেন না। কোনো কারণ পিসিবি বা এসসি জানায়নি।

১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত–পাকিস্তান ম্যাচে টসের সময় হাত না মেলানো কেন্দ্র করে বিতর্ক শুরু হয়.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

যাত্রাবাড়ীতে নাতির শিলের আঘাতে নানির মৃত্যু

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ধলপুরে নাতির শিলের আঘাতে হাসিনা বেগম (৬৩) নামে এক বৃদ্ধা খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় নাতি সাজেদুল হক সাজুকে (৩২) স্থানীয় লোকজন ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে। 

রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে হাসিনা বেগমের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়ছে।

মৃতার ভাতিজা আশরাফ আলী জানান, হাসিনা বেগমের স্বামী নুরুল ইসলাম ২০ বছর আগে মারা গেছেন। একমাত্র মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। তিনি ধলপুরে একাই বসবাস করতেন এবং অন্যের বাসায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। 

তিনি আরও জানান, সাজেদুল হক সাজু বেকার। সে হাসিনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে। তাদের মধ্যে নানি-নাতির সম্পর্ক তৈরি হয়। শনিবার সকালে সাজু হঠাৎ ঘরে ঢুকে দরজা আটকে শিল দিয়ে হাসিনার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। প্রতিবেশীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে সাজেদুলকে ধরে পুলিশের সোপর্দ করে। পরে সে হত্যার কথা স্বীকার করে।

যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক শেখ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমারা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করি এবং সাজেদুলকে আটক করে নিয়ে এসেছি। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, সাজেদুল হক সাজু একাই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তবে এর কারণ এখনো জানা যায়নি।’’

ঢাকা/বুলবুল//

সম্পর্কিত নিবন্ধ