পাকিস্তানের বিপক্ষে আবার ম্যাচ: এবার কি হাত মেলাবে ভারত
Published: 21st, September 2025 GMT
‘মাঠে কিছুই খেলতে পারছে না, অথচ বাইরে ওদের নাটকের শেষ নেই।’
বিরক্তি নিয়েই কথাটা কাল বলছিলেন পাকিস্তানের এক সাংবাদিক। এমনিতেও কে, কোথায় কী বলে ফেললেন; ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে এখন এ নিয়েই থাকে সব উত্তেজনা। মাঠের লড়াইয়ের ঝাঁজ প্রায় শূন্য।
বাইরের এসব আলাপ-আলোচনাই বাঁচিয়ে রেখেছে ভারত–পাকিস্তান ক্রিকেট লড়াইয়ের আঁচ। নয়তো সব সংস্করণ মিলিয়ে (ভারত–পাকিস্তান এখন মূলত সাদা বলের ক্রিকেটেই খেলছে) সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচই যেখানে জিতেছে একটা দল, এমন একটা ম্যাচ নিয়ে দুনিয়াজুড়ে এত আগ্রহ কেন!
একটু ভুল বলা হয়ে গেল কি না, কে জানে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিমই হয়তো আপত্তি জানাতে পারেন কথাটাতে। এবারের এশিয়া কাপের আয়োজক দেশটার অধিনায়ক তো স্পষ্ট করেই বলেছেন, ভারত–পাকিস্তানের এসব ঘটনা নিয়ে তাঁদের কোনো আগ্রহই নেই! অথচ তিনি এমন একটা দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যে দলটার সবাই ভারত অথবা পাকিস্তানে জন্ম নিয়েছেন।
তাঁর আগ্রহ না থাকলেও ভারত আর পাকিস্তান মিলিয়ে ম্যাচটা কাভার করতে দুবাইয়ে এসেছেন ১২০ জন সাংবাদিক। কথার লড়াইয়েও উত্তেজনাটা বেঁচে থাকলে তাঁদের খুশিই হওয়ার কথা। কিন্তু এমনই নিয়তি, সেই সুযোগটাও তাঁরা ঠিকঠাক পাচ্ছেন না।
আজ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ হচ্ছে, সেটির আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতেই রাজি হয়নি পাকিস্তান। কাল স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টায় ছিল তাঁদের সংবাদ সম্মেলন। এক ঘণ্টা আগে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, পাকিস্তানের কোনো প্রতিনিধি সংবাদ সম্মেলনে আসবেন না। কোনো কারণ পিসিবি বা এসসি জানায়নি।
১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত–পাকিস্তান ম্যাচে টসের সময় হাত না মেলানো কেন্দ্র করে বিতর্ক শুরু হয়.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৮ দলের পদযাত্রায় পুলিশের বাধা, স্মারকলিপি দিতে যমুনায় প্রতিনিধিদল
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটসহ পাঁচ দাবিতে যমুনা অভিমুখে জামায়াতসহ ৮ রাজনৈতিক দলের পদযাত্রায় বাধা দিয়েছে পুলিশ। পরে ৮ রাজনৈতিক দলের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিতে যমুনায় গেছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পল্টন থেকে দলে দলে মিছিল নিয়ে পদযাত্রাটি মৎস্য ভবন এলাকায় পৌঁছালে সেখানে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়।
আট দলের প্রতিনিধিদলে রয়েছেন— জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির আহমদ আলী কাসেমী ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপার) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান।
দুপুর ১২টায় ঢাকার পুরানা পল্টন মোড় থেকে এ পদযাত্রা শুরু হয়। এর আগে দলগুলো পল্টন মোড়ে পৃথক মিছিল নিয়ে জড়ো হয়। শাপলা চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে পুরানা পল্টনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন জামায়াত নেতাকর্মীরা। ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিসের দুই অংশসহ অন্যদলগুলোর নেতাকর্মীরা আগ থেকেই পল্টন মোড়ে অবস্থান নেন।
পদযাত্রা শুরুর আগে পল্টন মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলগুলোর শীর্ষ নেতারা গণভোট, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি ও জাতীয় নির্বাচন ঘিরে সারা দেশে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তথা নির্বাচনি পরিবেশ তৈরিসহ নানা বিষয়ে জোরালো বক্তব্য রাখেন।
দলগুলোর পাঁচ দফা দাবি হলো—জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং ওই আদেশের ওপর নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে বা উচ্চকক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের সব জুলুম–নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং ‘স্বৈরাচারের দোসর’ জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
আটটি দলের মধ্যে রয়েছে—জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা