‘তিনি নাকি নির্বাচন বোঝেন না। তাহলে এমন চিঠি কীভাবে দিলেন! এই নোংরামিটা করা উচিত নয়। নির্বাচন হবে সুষ্ঠু। এখানে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না।’

কথাটা জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলামকে উদ্দেশ করে বলেছেন জাতীয় দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তাঁর এই বক্তব্যে পরিষ্কার—৬ অক্টোবরের বিসিবি নির্বাচনে তাঁরা দুজন শুধু প্রার্থীই নন, এই নির্বাচন দুজন সাবেক ক্রিকেটারের সম্পর্কটাকে তিক্ততার শেষ সীমায়ও নিয়ে যেতে পারে।

আজ বিকেলে রাজধানীর ফারস্ হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা, বিভাগ ও ক্লাব সংগঠকদের একটি পক্ষ নির্বাচনের জন্য জেলা ও বিভাগের কাউন্সিলরদের নাম পাঠানোয় সরকারি হস্তক্ষেপ ও বিসিবি সভাপতির ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন। সেখানেই আমিনুলকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেন তামিম।

আরও পড়ুনবিসিবির নির্বাচন ৬ অক্টোবর: ষড়যন্ত্র হলে ঘেরাওয়ের হুমকি৩ ঘণ্টা আগে

জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর মনোনয়নে সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগে দায় দেওয়া হচ্ছে আমিনুলকে। এটা অবশ্য অনেকটাই ‘ওপেন সিক্রেট’ যে শেষ মুহূর্তে মোহাম্মদ আশরাফুলের জায়গায় ঢাকা বিভাগের কাউন্সিলর হওয়া আমিনুল বিসিবির নির্বাচনে মূলত সরকারদলীয় প্রার্থীই। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার সমর্থন আছে তাঁর প্রতি। পরিচালক নির্বাচিত হলে আমিনুল বিসিবির সভাপতি পদের জন্যও লড়বেন।

বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম ন ল সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

৮ দলের পদযাত্রায় পুলিশের বাধা, স্মারকলিপি দি‌তে যমুনায় প্রতিনিধিদল

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটসহ পাঁচ দাবিতে যমুনা অভিমুখে জামায়াতসহ ৮ রাজনৈতিক দলের পদযাত্রায় বাধা দিয়েছে পুলিশ। পরে ৮ রাজনৈতিক দলের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিতে যমুনায় গেছেন। 

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পল্টন থেকে দলে দলে মিছিল নিয়ে পদযাত্রাটি মৎস্য ভবন এলাকায় পৌঁছালে সেখানে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়।

আট দ‌লের প্রতিনিধিদলে রয়েছেন— জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির আহমদ আলী কাসেমী ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপার) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান।

দুপুর ১২টায় ঢাকার পুরানা পল্টন মোড় থেকে এ পদযাত্রা শুরু হয়। এর আগে দলগু‌লো পল্টন‌ মো‌ড়ে পৃথক মি‌ছিল নি‌য়ে জ‌ড়ো হয়। শাপলা চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে পুরানা পল্টনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন জামায়াত নেতাকর্মীরা। ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজ‌লি‌সের দুই অংশসহ অন‌্যদলগু‌লোর নেতাকর্মীরা আগ থে‌কেই পল্টন‌ মো‌ড়ে অবস্থান নেন।

পদযাত্রা শুরুর আগে পল্টন‌ মো‌ড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলগুলোর শীর্ষ নেতারা গণভোট, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি ও জাতীয় নির্বাচন ঘিরে সারা দেশে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তথা নির্বাচনি পরিবেশ তৈরিসহ নানা বিষয়ে জোরা‌লো বক্তব‌্য রা‌খেন।

দলগুলোর পাঁচ দফা দাবি হলো—জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং ওই আদেশের ওপর নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে বা উচ্চকক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের সব জুলুম–নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং ‘স্বৈরাচারের দোসর’ জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

আটটি দলের মধ্যে রয়েছে—জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ