আয়নার মতো স্বচ্ছ নির্বচন করতে চান বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। এ জন্য তিনি সবার সহযোগিতা চেয়েছেন। 

সোমবার (৬ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

আরো পড়ুন:

‘নারীদের ভোট ছাড়া বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ নেই’ 

উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে রাকসু নির্বাচনের প্রচার

সিইসি জানান, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই কমিশন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করেছে। এরইমধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে ২১ লাখ মৃত ভোটার বাদ দেওয়া হয়েছে এবং ৪৩ লাখ নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নারী-পুরুষ ভোটারের ব্যবধান ৩০ লাখ থেকে কমে এখন ১৮ লাখে নেমে এসেছে।

তিনি বলেন,“প্রবাসীদের জন্য আইটি-সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালট চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকারি চাকরিজীবী ও হাজতিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করছি।”

গণমাধ্যমকে নির্বাচন কমিশনের ‘অংশীদার’ আখ্যা দিয়ে সিইসি বলেন, “ভুল তথ্য বা গুজব প্রতিরোধে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সবার সহযোগিতা ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব কেএম আলী নেওয়াজ। এতে উপস্থিত ছিলেন চার নির্বাচন কমিশনার, কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা।

ঢাকা/এএএম/ইভা

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কোনো সরকার শিক্ষা নিয়ে তেমন কিছু করেনি, বর্তমান সরকারও না

বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ভালোভাবে হয় না। সমস্যাটি নতুন নয়, অনেক আগে থেকেই এমন হয়ে আসছে। এটা কাঠামোগত সমস্যা। খণ্ডিতভাবে দেখে, খণ্ডিত উদ্যোগ নিয়ে সমস্যাটির সমাধান হবে না। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও বৈষম্য কমানো দরকার।

ধনী ও সচ্ছল পরিবারের সন্তানেরা ভালো শিক্ষা পাবে, নিম্নবিত্তের সন্তানেরা পাবে না, সেটা হতে পারে না। শিক্ষার জন্য সম্পদের সংস্থান কোথা থেকে হবে, সেটার পথ খোঁজা দরকার। সব মিলিয়ে খাত ধরে একটি বড় ধরনের পর্যালোচনা হতে হবে। সেটা কয়েক দিন বা মাসের বিষয় নয়। পর্যালোচনাটি দরকার গভীর ও বিস্তৃত।

আরও পড়ুনবিদ্যালয়ে যেনতেন পড়াশোনা, ভরসা কোচিং ও গৃহশিক্ষক২ ঘণ্টা আগে

বর্তমান সরকার ১১টি বিষয়ে সংস্কার কমিশন করেছে। শিক্ষা খাত নিয়ে কোনো সংস্কার কমিশন করা হয়নি। প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি কমিটি করেছিল। সেই কমিটির প্রধান ছিলাম আমি। আমরা প্রতিবেদন সরকারের কাছে দিয়েছি। সেখানে বিভিন্ন সুপারিশ রয়েছে। কিন্তু সেটা নিয়ে তেমন কোনো কাজ হয়নি। খণ্ডিতভাবে দু-একটি সুপারিশ হয়তো বাস্তবায়ন হয়ে থাকতে পারে।

২০১০ সালে শিক্ষানীতি হয়েছে। তবে তা অনেকাংশে বাস্তবায়ন হয়নি। কারণ, সরকারগুলো কর্তৃত্ব ধরে রাখতে চায়। বিগত ৫৪ বছরে কোনো সরকারই শিক্ষা নিয়ে তেমন কিছু করেনি। বর্তমান সরকার অন্তত একটা সূচনা করতে পারত। সেটাও করেনি।

শিক্ষা খাত আমাদের রাজনৈতিক ব্যর্থতার একটি উদাহরণ। এ খাতের বড় ধরনের সংস্কার দরকার। অতীতের সরকারগুলো যেমন এ খাত নিয়ে কাজ করেনি, তেমনি ভবিষ্যতের সরকার সংস্কার করবে, সে আশাও করতে পারছি না। তবু আশা নিয়ে থাকতে হবে।

মনজুর আহমদ: শিক্ষাবিদ ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক।

[মতামত লেখকের নিজস্ব]

সম্পর্কিত নিবন্ধ