সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর এলাকায় মেয়াদোত্তীর্ণ ও সরকারি ওষুধ বিক্রির অভিযোগে মেসার্স সোনাপুর মেডিসিন সার্ভিস সেন্টার নামের একটি ফার্মেসিকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বণিকের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে ফার্মেসিটিতে ‘ঐবঢ়ধনরম ইনজেকশন’ নামে হেপাটাইটিস বি রোগের একটি ইনজেকশন পাওয়া যায়, যার মেয়াদ ২০২৩ সালে শেষ হয়েছে।

এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ প্রেগনেন্সি টেস্ট স্ট্রিপ, বিক্রয়ের জন্য নিষিদ্ধ ফিজিশিয়ান স্যাম্পল এবং সরকারি হাসপাতালের রোগীদের জন্য বিনামূল্যে বিতরণের ওষুধও জব্দ করা হয়।

সরকারি ওষুধগুলোর মধ্যে ছিল— সেফ্রাডিন ৫০০ মি.

গ্রা., সেফুরক্সিম ৫০০ মি.গ্রা., অস্টোক্যাল ডি, ফ্লুক্লক্সাসিলিন ৫০০ মি.গ্রা., সেফিক্সিম ও সলবিয়ন।

সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বণিক বলেন, “সরকারি ওষুধ বিক্রি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এতে সাধারণ রোগীরা সরকারি সেবার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। এ কারণে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটিকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন,  “ভবিষ্যতে এমন কর্মকাণ্ড চালালে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনস্বার্থে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

অভিযানে সহযোগিতা করেন জেলা পুলিশের একটি দল, উপপরিদর্শক নিউটনের নেতৃত্বে।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

হাতিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, যৌথ বাহিনীর ধাওয়া

নোয়াখালীর হাতিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম ছাইফ উদ্দিনকে (৫৯) গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। আজ সোমবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে হাতিয়া আদালত এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য আজ দুপুরের পর থেকে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা আদালত এলাকায় অবস্থান করছিলেন বলে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগ নেতা ছাইফ উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতা-কর্মী উপজেলা সদরের ওছখালীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। তাঁরা এ সময় ছাইফ উদ্দিনের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। একপর্যায়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবে যৌথ বাহিনী এ সময় কাউকে আটক করতে পারেনি।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, বিকেলে হাতিয়া উপজেলা সদর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ওসি এ কে এম আজমল হুদা জানান, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল করার জন্য জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু মিছিল করার সুযোগ দেওয়া হয়নি, ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ