ফাইনালে যে দুই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে মিস ইউনিভার্স নির্বাচিত হলেন মেক্সিকোর ফাতিমা বশ
Published: 21st, November 2025 GMT
৭৪তম মিস ইউনিভার্স নির্বাচিত হয়েছেন মেক্সিকোর সুন্দরী ফাতিমা বশ। ১৯ নভেম্বর ভোরে প্রথমে ১২০ প্রতিযোগী থেকে সেরা ৩০ বেছে নেওয়া হয়। যেখানে নির্বাচিত হন বাংলাদেশের তানজিয়া জামান মিথিলা।
এরপর সুইমিং কস্টিউম রাউন্ড শেষে বাছাই করা হয় সেরা ১২। এই প্রতিযোগীরা অংশ নেন একটি ‘গাউন ওয়াক’ সেশনে, যেখান থেকে বাছাই করা হয় সেরা পাঁচ সুন্দরীকে। এই পাঁচজনের মধ্যে ছিলেন মেক্সিকো, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, ভেনেজুয়েলা ও আইভরিকোস্টের প্রতিযোগীরা।
যাঁদের সবাইকে দুটি করে প্রশ্ন করা হয়। একটি প্রশ্ন স্বতন্ত্র, অর্থাৎ পাঁচজনকে পাঁচটি আলাদা প্রশ্ন করা হয়। আরেকটি প্রশ্ন ছিল কমন, অর্থাৎ সবার জন্য ছিল একই প্রশ্ন। কমন প্রশ্নটি করার সময় চারজনের কানে ছিল হেডফোন, যাতে তাঁরা কিছু শুনতে না পান। দেখে নিন মিস মেক্সিকো যে দুটি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সেরা হয়েছেন।
বিচারকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন ফাতিমা বশ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দুই যুগ বেতন নেই শিক্ষকের, ঘাস-পাতা বেচে চলছে সংসার
দিনাজপুরের বিরামপুরে দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে শিক্ষকতা করেও এমপিওভুক্ত না হওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন আব্দুল হামিদ নামের এক ব্যক্তি। জীবিকার তাগিদে বর্তমানে তিনি রাস্তার ধারে ঘাস ও কাঠালের পাতা বিক্রি করে কোনোরকমে সংসার চালাচ্ছেন। আব্দুল হামিদকে দ্রুত এমপিওভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন তার সহকর্মী ও শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী।
১৯৯৩ সালে বিরামপুর উপজেলার দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যুক্ত আব্দুল হামিদ। প্রথমে কেরানি হিসেবে যোগ দেন তিনি। চাকরির পাশাপাশি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএজিএড সম্পন্ন করে ২০০২ সালে কৃষি বিষয়ে সহকারী শিক্ষক পদে যোগ দেন আব্দুল হামিদ। ২০০৭ সালে এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করলেও বিদ্যালয়ের ৩০ শতাংশ নারী কোটা পূরণ না হওয়ায় তা বাতিল হয়। পরে নিয়োগবিধির বিভিন্ন জটিলতায় পরপর ৯ বার আবেদন করেও এমপিওভুক্ত হতে পারেননি তিনি।
আরো পড়ুন:
ঢাবির ৩০ শিক্ষার্থীকে ডিনস অ্যাওয়ার্ড ও বৃত্তি প্রদান
নেত্রকোণায় প্রভাষকদের পদোন্নতির দাবিতে কর্মবিরতি
প্রায় দুই যুগ ধরে শিক্ষকতা করলেও নিয়মিত বেতন পান না আব্দুল হামিদ। পরিবারের হাল ধরতে এখন বাধ্য হয়ে ঘাস ও পাতা বিক্রি করতে হচ্ছে তাকে। তবু, শিক্ষকতার প্রতি তার ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ অটুট আছে।
আব্দুল হামিদ রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেছেন, “দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা করছি। কিন্তু, এমপিওভুক্ত না হওয়ায় নিয়মিত বেতন পাই না। সংসার চালাতে বাধ্য হয়ে এখন ঘাস বিক্রি করছি। তবু, স্কুলের দায়িত্ব পালন করি নিয়মিত। আশা করি, আমার ন্যায্য প্রাপ্য একদিন পাব।”
দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেছেন, “আব্দুল হামিদ স্যার ভালো মানুষ এবং খুব ভালো পড়ান। তিনি নিয়মিত স্কুলে আসেন। এত বছরেও স্যার এমপিওভুক্ত না হওয়া বড় অন্যায়। আমরা চাই, দ্রুত তাকে এমপিওভুক্ত করা হোক।”
দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল হক বলেন, “নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক হয়েও জীবিকার তাগিদে তাকে ঘাস বিক্রি করতে হচ্ছে, এটা জাতির জন্য লজ্জাজনক। তাকে দ্রুত এমপিওভুক্ত করা উচিত।”
বিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শমসের আলী মন্ডল জানান, আব্দুল হামিদের সব কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, একজন শিক্ষকের এমন দুঃখজনক বাস্তবতা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এমপিওভুক্তির মাধ্যমে তার দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হবে বলে তাদের প্রত্যাশা।
ঢাকা/মোসলেম/রফিক