পল্লবী থানার যুবদলের সদস্য সচিব গোলাম কিবরিয়া হত্যার প্রতিবাদে সিদ্ধিরগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাইনবোর্ড শাখা যুবদলের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিকালে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড মোড়ে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ।

সাইনবোর্ড শাখা যুবদল নেতা আব্দুর রহিম সাজুর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য ও জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমির হোসেন বাদশা।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা ছাত্রদল নেতা রিয়াজুল, ফতুল্লা থানা তরুণ দলের সভাপতি রাসেল গাজী, কুতুবপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি রিদয়, সিদ্ধিরগঞ্জ ছাত্রদল নেতা রেজাউল, শ্রমিকদল  নেতা রুবেলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমির হোসেন বাদশা বলেন, “দেশ নতুন করে স্বাধীন হওয়ার পরেও আমরা আমাদের সহযোদ্ধাদের হারাচ্ছি। “আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতির কারণে এসব হত্যার ঘটনা ঘটছে।

তিনি আরো বরেন, দেশে দ্রুত একটি নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজন। আর সেই সরকার হতে হবে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন সরকার।” গোলাম কিবরিয়ার হত্যার দ্রুত বিচার এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির দাবি জানাচ্ছি।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ য বদল ন র য়ণগঞ জ স ইনব র ড য বদল র হত য র

এছাড়াও পড়ুন:

হবিগঞ্জে অবৈধ ইটভাটার নির্গত ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে বায়ু

হবিগঞ্জে অবৈধ ইটভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে বায়ু। নষ্ট হচ্ছে কৃষিজমি। হারিয়ে যাচ্ছে জীববৈচিত্র্য। আইনের তোয়াক্কা না করে, নবায়নকৃত লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই ভাটাগুলো চালু রেখেছেন মালিকরা। সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে চলছে ইটকাটা ও পোড়ানোর কাজ। পরিবেশবাদীরা বলছেন, ভাটা নিয়ন্ত্রণে সরকারের নিজস্ব আইন থাকলেও তার কোনো প্রয়োগ দেখা যায় না।

জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, হবিগঞ্জে বর্তমানে ৯০টি ইটভাটা সক্রিয়। এর মধ্যে একটিরও নবায়নকৃত লাইসেন্স বা পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। তারপরও এই ইটভাটাগুলো দিন-রাত ধোঁয়া ছড়িয়ে চলছে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে। পরিবেশ, কৃষি, জীববৈচিত্র্য সবকিছুর ওপরই এর প্রভাব মারাত্মক।

আরো পড়ুন:

রাবিতে আন্তর্জাতিক সিসা দূষণ প্রতিরোধ সপ্তাহ পালন

সমুদ্র থেকে ভেসে আসা প্লাস্টিকে দূষিত সুন্দরবন

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, “কোনো ইটভাটাই সরকারি নিয়ম-নীতি অনুসরণ করছে না। ফলে এলাকার পরিবেশ মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত নির্দেশনা অনুযায়ী; ইটভাটা স্থাপনের জন্য কেবল অকৃষি জমি ব্যবহার করা যাবে।”

ইট পোড়ানোর নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৮৯ (ধারা ৯-এর উপধারা ৫) অনুযায়ী, কোনো ইটভাটা উপজেলা সদর, সংরক্ষিত বনাঞ্চল, আবাসিক এলাকা বা ফলজ বাগান থেকে অন্তত তিন কিলোমিটার দূরে থাকতে হবে। হবিগঞ্জের বাস্তবতা উল্টো। বাহুবল ও চুনারুঘাট উপজেলার অধিকাংশ ইটভাটা উপজেলা সদর বা জনবসতিপূর্ণ এলাকার মধ্যেই স্থাপিত। বাহুবলের মিরপুর-ধুলিয়াখাল, মিরপুর-বাহুবল, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মিরপুর-শায়েস্তাগঞ্জ অংশ এবং শায়েস্তাগঞ্জ-চুনারুঘাট সড়কের পাশে সারি সারি ইটভাটা দৃশ্যমান। স্কুল, মসজিদ ও বাজারের পাশেও জ্বলছে চুলি। 

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, জেলায় কোনো ইটভাটারই নবায়ন বৈধ নেই। বাহুবল উপজেলার মেসার্স পলাশ ব্রিকসের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২৩ সালের ২৩ জুন, মেসার্স সামিন ব্রিকসের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২২ সালে, মেসার্স পদ্মা ব্রিকসের মেয়াদ শেষ ২০২৩ সালের জুনে। চুনারুঘাটের মেসার্স সামস ব্রিকস ২০২২ সালে মেয়াদোত্তীর্ণ।

নবীগঞ্জের মেসার্স মাস্টার ব্রিকস ও গোল্ড ব্রিকসের মেয়াদ শেষ ২০২১ সালে। ব্ল অটো ব্রিকসের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৯ সালে। হবিগঞ্জ সদর উপজেলার মেসার্স সোনালী ব্রিকসের মেয়াদও শেষ ২০২০ সালে। এসব ইটভাটায় চুলি জ্বলছে। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ইটভাটা মালিক স্বীকার করেছেন, জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কিছু প্রভাবশালী কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই চলছে ভাটার কার্যক্রম। হবিগঞ্জ ইটভাটা মালিক সমিতির কিছু প্রভাবশালী সদস্য প্রশাসনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে সরকারি দিবস ও অনুষ্ঠানে অনুদান দেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। পরিবেশ লাইসেন্স, ডিসি লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও ইট ভাটা বন্ধ হয় না।

নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক জানান, বাহুবল ও চুনারুঘাটের বসিনা, বানিয়াগাঁও, দৌলতপুর, মুগকান্দি, শ্রী রামপুর, শ্রীকুটা, গোগাউড়া প্রভৃতি এলাকার ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে ইট তৈরির জন্য। ফলে ফসল উৎপাদন কমে গেছে, জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে।

তাদের ভাষ্য, আম-কাঁঠালসহ মৌসুমি ফলের গাছে আর আগের মতো ফল আসে না। ধুলার আস্তরণে গাছের পাতা বিবর্ণ হয়ে গেছে।

হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. ফরিদুর রহমান বলেন, “যেসব ইটভাটা পরিবেশ নীতি লঙ্ঘন করছে, তাদের বিরুদ্ধে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

পরিবেশ অধিদপ্তর হবিগঞ্জের উপ-পরিচালক ড. মো. ইউসুফ আলী জানান, অবৈধ ইটভাটার তালিকা তৈরি করে বিভাগীয় অফিসে পাঠানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ পেলে অভিযান চালানো হবে।

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ