চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেপ্তার ৩
Published: 9th, November 2025 GMT
চট্টগ্রাম নগরে ঝটিকা মিছিল করেছে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ। আজ রোববার ভোরে নগরের ষোলোশহর এলাকায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে এই মিছিল বের হয়। মিছিলে অংশ নেওয়ার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান প্রথম আলোকে বলেন, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ১৫ থেকে ২০ জন কর্মী ভোরে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সামনে ঝটিকা মিছিল বের করেন। মিছিলে অংশ নেওয়া তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলেন আনোয়ারুল হক ওরফে ইশান, রাজন দাশ ও সৈকত চন্দ্র ভৌমিক। তিনজনের বাসা চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ এলাকায়। এদিকে ঝটিকা মিছিলের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নরসিংদীতে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার আরও ৩
নরসিংদীর রায়পুরায় ১ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় চাচাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রায়পুরা উপজেলার সাপমারা এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার তিন আসামি হলেন নিহত দুজনের আপন চাচা মো. আবদুল আওয়াল (৬০), তাঁর মেয়ে শাহনাজ বেগম (২৮) ও তাঁর স্বামী শিপন শিকদার (৩২)। পরে আজ তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে গত শনিবার বেলা পৌনে একটার দিকে রায়পুরার পশ্চিম পাড়ায় দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত দুজন হলেন ওই এলাকার মৃত আবু তাহের মিয়ার ছেলে হুরুন আলী ওরফে হুরা (৩০) ও শাকিল মিয়া (২২)। তাঁরা দুজনই এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।
পুলিশ বলছে, জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত দুই ভাইয়ের মা জোসনা বেগম ১১ জনকে আসামি করে রোববার রায়পুরা থানায় মামলা করেন। ঘটনাস্থল থেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আওয়ালের স্ত্রী শরীফা বেগম (৫২) এবং দুই মেয়ে আরজিনা আক্তার (২২) ও আসমা আক্তারকে (১৮) থানায় নেওয়া হয়েছিল। এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ায় ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এ ছাড়া মঙ্গলবার দুপুরে মামলার অন্যতম আসামি আওয়ালের ছেলে শিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই চারজন বর্তমানে আদালতের নির্দেশে কারাগারে আছেন।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদিল মাহমুদ জানান, জোড়া হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনায় ১১ জন এজাহারভুক্ত আসামির মধ্যে ৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান চলছে। শিগগিরই তাঁদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।