রাজধানীতে মেট্রোরেল লাইনের ওপর থেকে দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এই সময়ে চলাচল বন্ধ ছিল বলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।

পুলিশ জানায়, আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কাজীপাড়া মেট্রোস্টেশনের কাছে লাইনের ওপর থেকে ককটেলগুলো উদ্ধার করে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট।

আজ সকালে মেট্রোরেলের ট্র্যাক বা লাইন পরীক্ষা করার সময় ককটেল দুটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

মেট্রোরেল পুলিশের কর্তব্যরত এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকাল আটটার দিকে কাজীপাড়া এলাকায় ২৮৮ ও ২৮৯ নম্বর পিয়ারের মাঝামাঝি ফ্ল্যাটলাইনে দুটি ককটেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ একটি ইউনিট এসে সেগুলো অপসারণ করে।’

মেট্রোরেল প্রতিদিন সকাল থেকে চললেও সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার চলাচল শুরু হয় দুপুরের পর।

এই ককটেল রাখার সঙ্গে জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করে তা কাফরুল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলার রায়কে কেন্দ্র করে সপ্তাহখানেক ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটছে। পুলিশ এর জন্য কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দায়ী করছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ককট ল

এছাড়াও পড়ুন:

নেত্রকোণায় প্রভাষকদের পদোন্নতির দাবিতে কর্মবিরতি

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের যোগ্য সকল প্রভাষককে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতিসহ তিন দফা দাবিতে নেত্রকোণায় কর্মবিরতি পালন করেছেন শিক্ষকেরা।

আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত নেত্রকোণা সরকারি কলেজ ইউনিটের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

আরো পড়ুন:

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ

জকসু: ছাত্রশক্তি সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ প্যানেল ঘোষণা

কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও বাংলা বিভাগের প্রভাষক সুলতান মাহমুদ। বক্তব্য দেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের নেত্রকোণা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল কবীর, সরকারি কলেজ কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক তানিয়া আহমেদ উমা প্রমুখ।

আন্দোলনরত শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, পদোন্নতির সব শর্ত পূরণ করেও তারা বছরের পর বছর সহকারী অধ্যাপক পদে উন্নীত হচ্ছেন না। এ পরিস্থিতির জন্য তারা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গাফিলতিকে দায়ী করছেন। তাদের দাবি, একের পর এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ হওয়ায় বিসিএস ক্যাডারের বাইরের শিক্ষকরাও একই পদোন্নতির দাবিতে চাপ দিচ্ছেন, যার জটিলতা শিক্ষা ক্যাডারের ওপর চাপানো হচ্ছে।

বক্তারা জানান, ৩২তম ও ৩৩তম বিসিএস ব্যাচের চার শতাধিক প্রভাষক চাকরিতে যোগদানের এক যুগ পার করেও প্রথম পদোন্নতি পাননি। একইভাবে ৩৪তম ব্যাচের ১০ বছর, ৩৫তম ব্যাচের ৯ বছর, ৩৬তম ব্যাচের ৮ বছর এবং ৩৭তম ব্যাচের ৭ বছর অতিবাহিত হলেও তাদের পদোন্নতির অগ্রগতি নেই। গ্রেডেশনভুক্ত প্রভাষকদের সংখ্যা যথাক্রমে— ৩২তম ব্যাচে ৫৪, ৩৩তমে ৩৬১, ৩৪তমে ৬৩১, ৩৫তমে ৭৪০, ৩৬তমে ৪৬০ ও ৩৭তম ব্যাচে ১৫৩ জন। 

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক অবস্থান কর্মসূচি চলবে বলে ঘোষণা দেন তারা।

সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণের পর অনেকে বিসিএস পরীক্ষা ছাড়াই রাতারাতি ক্যাডার হয়ে যাচ্ছেন। তারা এখন আমাদের সিনিয়রিটি দাবি করছেন। অথচ আমরা বছরের পর বছর পদোন্নতি বঞ্চিত। আমাদের পদোন্নতি দিলে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হবে না— কারণ আমরা আগেই সেই বেতনস্কেল অতিক্রম করেছি।’’

তিনি আরো জানান, অন্যান্য ক্যাডারে ৩৬তম ব্যাচ ২০২৩ সালে এবং ৩৭তম ব্যাচ ২০২৪ সালে পদোন্নতি পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সহযোগী অধ্যাপক, ব্যাংকাররা ৬ষ্ঠ/৫ম গ্রেডে, এমনকি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরাও ৬ষ্ঠ গ্রেডে উন্নীত হয়েছেন। চলতি সপ্তাহে স্বাস্থ্য ক্যাডারে পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তাকে সুপারনিউমারারি পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। অথচ শিক্ষা ক্যাডারে ৩২তম থেকে ৩৭তম ব্যাচ পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার প্রভাষক যোগ্যতা অর্জন করেও পদোন্নতি পাচ্ছেন না।

ঢাকা/ইবাদ/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নেত্রকোণায় প্রভাষকদের পদোন্নতির দাবিতে কর্মবিরতি