খুলনায় ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা, পুলিশ বলছে তিনি ‘গ্রেনেড বাবু’র সহযোগী
Published: 6th, October 2025 GMT
খুলনা নগরে ইমরান মুন্সি (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ীকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, তিনি খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘গ্রেনেড বাবু’ গ্রুপের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা তাঁর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করে।
আজ সোমবার রাত পৌনে ৮টার দিকে নগরের ২ নম্বর কাস্টমঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইমরান মাদারীপুরের মুন্সীবাড়ির বাবুল মুন্সীর ছেলে। তিনি খুলনা নগরের মুন্সীপাড়ার দ্বিতীয় গলিতে ভাড়ায় থাকতেন এবং ইট–বালুর ব্যবসা করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত পৌনে ৮টার দিকে ইমরান নতুনবাজার এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে মোটরসাইকেলে আসা তিন যুবক তাঁর গতি রোধ করে এবং পিস্তল ঠেকিয়ে মাথায় গুলি করে। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে পৌঁছানোর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।
হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ইমরান মুন্সি খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবু গ্রুপের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। গ্রেনেড বাবুর অন্যতম সহযোগী ‘কাউয়া মিরাজের’ সঙ্গে তাঁর ওঠাবসা ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিপক্ষ গ্রুপের সদস্যরাই তাঁকে হত্যা করেছে।
ওসি আরও জানান, হামলাকারী ব্যক্তিরা গুলি করে মোটরসাইকেল চালিয়ে পুলিশ লাইনসের দিকে চলে যায়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের কাজ চলছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইমর ন
এছাড়াও পড়ুন:
করদাতার ১০ খাতের আয়ে কর বসে, আয়ের খাতগুলো কী কী
এ দেশে একজন করদাতাকে তাঁর বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্নে আয়ের খাতগুলো দেখাতে হয়। আপনি কোন কোন খাত থেকে সারা বছরে আয় করলেন, তা রিটার্ন ফরমে দেখিয়ে দিতে হয়। এ জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়কর জমার রিটার্ন ফরমে একজন করদাতার মোট আয়কে ১০ ধরনের আয় দিয়ে বিভাজন করেছে।
এর মানে হলো, ওই ১০ ধরনের আয় রিটার্ন ফরমে লিখে মোট আয় নির্ধারণ করতে হবে। পরে ওই আয়ের ওপর নিয়ম অনুসারে কর বসবে। তবে একজন করদাতার ওই ১০টি খাতের সব কটিতে আয় না–ও থাকতে পারে। তাই সব খাতেই আয় থাকতে হবে, বিষয়টি তেমন নয়।
একজন করদাতা আইটি ১১গ (২০২৩) রিটার্নের খাতভিত্তিক আয়ের বিবরণ ও মোট আয় নির্ধারণ করতে পারবেন।
৩০ নভেম্বর বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমার সময় শেষ হচ্ছে।
এবার দেখা যাক, ওই ১০টি আয়ের খাত কী কী; যার ভিত্তিতে করদাতার মোট আয় নির্ধারিত হয়।
১. চাকরি থেকে আয়
সরকারি, বেসরকারি বা যেকোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে অর্জিত বেতন, ভাতা, বোনাস, ইনসেনটিভসহ সব ধরনের পারিশ্রমিক এই খাতে দেখাতে হয়।
২. ভাড়া থেকে আয়
বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান বা অন্য যেকোনো সম্পত্তি ভাড়া দিয়ে বছরে যে আয় হয়, তা এখানে উল্লেখ করতে হবে।
৩. কৃষি থেকে আয়
কৃষিজমি, ফসল, ফল, সবজি, পশুপালন বা যেকোনো কৃষিকাজ থেকে অর্জিত আয় এই খাতে অন্তর্ভুক্ত।
৪. ব্যবসা থেকে আয়
ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্যবসা বা পেশাগত কার্যক্রম (যেমন ডাক্তার, আইনজীবী, পরামর্শক ইত্যাদি) থেকে প্রাপ্ত আয় এখানে দেখানো হয়।
৫. মূলধনি আয়
মুনাফা, ভাড়া, রয়্যালটি, সুদ বা অন্য সব মূলধনি সম্পদের ব্যবহারের বিনিময়ে অর্জিত আয় এই খাতে পড়ে।
৬. আর্থিক পরিসম্পদ থেকে আয়
ব্যাংকের সুদ বা মুনাফা, লভ্যাংশ, সঞ্চয়পত্রের মুনাফা, ট্রেজারি বন্ড বা সিকিউরিটিজ থেকে আয় এই অংশে উল্লেখ করতে হয়।
৭. অন্যান্য উৎসের আয়
রয়্যালটি, লাইসেন্স ফি, সম্মানী, ফি, সরকার প্রদত্ত নগদ ভর্তুকি বা যেকোনো বিচ্ছিন্ন ধরনের আয় এই খাতে পড়ে।
৮. ফার্ম বা ব্যক্তিসংঘের আয় থেকে প্রাপ্য অংশ
পার্টনারশিপ ব্যবসা বা ব্যক্তিসংঘের সদস্য হিসেবে যে আয় প্রাপ্য হয়, তা এখানে যোগ করতে হয়।
৯. অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তান, স্ত্রী বা স্বামীর আয়
যদি পরিবারের সদস্যদের কেউ করদাতা না হন এবং তাঁদের আয় করদাতার সঙ্গে যোগ হয়, তাহলে সেই আয়ের অংশ এই খাতে দেখাতে হয়।
১০. বিদেশে অর্জিত করযোগ্য আয়
বিদেশে কাজ, বিনিয়োগ বা সম্পদ থেকে অর্জিত করযোগ্য আয় থাকলে তা এই অংশে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।