পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সহসভাপতি ঊষাতন তালুকদার বলেছেন, ‘পার্বত্য চুক্তি করতে পেরেছি, চুক্তির বাস্তবায়নও অবশ্যই করতে পারব। এ জন্য নীতি, আদর্শ, ন্যায়পরায়ণতা, সততা ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’

আজ রোববার সকাল ১০টায় রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার শিজকমুখে এম এন লারমার ভাস্কর্য উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ঊষাতন তালুকদার এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। জেএসএস ও স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে এই ভাস্কর্য নির্মিত হয়েছে।

আলোচনা সভায় ঊষাতন তালুকদার বলেন, এম এন লারমা ছিলেন একজন দার্শনিক ও বিপ্লবী। তাঁর চিন্তা কেবল অধিকারহারা জুম্ম জাতিকে ঘিরে ছিল না। তাঁর চিন্তা ছিল আরও ব্যাপক। তিনি ছিলেন একই সঙ্গে জুম্ম জাতির, মেহনতি মানুষের, নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের পরম বন্ধু। বিশ্বের নানা প্রান্তে শোষণের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন থেকে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে কখনো বিচ্ছিন্নভাবে দেখেননি।’

ঊষাতন তালুকদার বলেন, মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার হত্যার মধ্য দিয়ে কুচক্রীরা স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটাতে চেয়েছিলেন। সেই স্বপ্ন এখনো পাহাড়ের প্রতিটি ঘরে ঘরে লালন করছে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে চুক্তি আদায় করে নিতে হবে। জাতির অস্তিত্ব, ভূমির অধিকার, আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার, জাতির মুক্তির সংগ্রামে এগিয়ে আসতে হবে।

বাঘাইছড়ি উপজেলার আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি পুলক জ্যোতির চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এম এন লারমা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিজয় কেতন চাকমা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য দেবপ্রসাদ দেওয়ান প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পার্বত্য চুক্তি করতে পেরেছি, বাস্তবায়নও করতে পারব: ঊষাতন তালুকদার

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সহসভাপতি ঊষাতন তালুকদার বলেছেন, ‘পার্বত্য চুক্তি করতে পেরেছি, চুক্তির বাস্তবায়নও অবশ্যই করতে পারব। এ জন্য নীতি, আদর্শ, ন্যায়পরায়ণতা, সততা ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’

আজ রোববার সকাল ১০টায় রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার শিজকমুখে এম এন লারমার ভাস্কর্য উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ঊষাতন তালুকদার এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। জেএসএস ও স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে এই ভাস্কর্য নির্মিত হয়েছে।

আলোচনা সভায় ঊষাতন তালুকদার বলেন, এম এন লারমা ছিলেন একজন দার্শনিক ও বিপ্লবী। তাঁর চিন্তা কেবল অধিকারহারা জুম্ম জাতিকে ঘিরে ছিল না। তাঁর চিন্তা ছিল আরও ব্যাপক। তিনি ছিলেন একই সঙ্গে জুম্ম জাতির, মেহনতি মানুষের, নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের পরম বন্ধু। বিশ্বের নানা প্রান্তে শোষণের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন থেকে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে কখনো বিচ্ছিন্নভাবে দেখেননি।’

ঊষাতন তালুকদার বলেন, মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার হত্যার মধ্য দিয়ে কুচক্রীরা স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটাতে চেয়েছিলেন। সেই স্বপ্ন এখনো পাহাড়ের প্রতিটি ঘরে ঘরে লালন করছে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে চুক্তি আদায় করে নিতে হবে। জাতির অস্তিত্ব, ভূমির অধিকার, আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার, জাতির মুক্তির সংগ্রামে এগিয়ে আসতে হবে।

বাঘাইছড়ি উপজেলার আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি পুলক জ্যোতির চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এম এন লারমা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিজয় কেতন চাকমা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য দেবপ্রসাদ দেওয়ান প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ