বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ারের পরিবারের কাছে ‘চাঁদাবাজির ঘটনায়’ মামলা
Published: 6th, October 2025 GMT
রাজধানীর মগবাজার এলাকায় বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নিজেদের স্থানীয় যুবদল নেতা–কর্মী বলে পরিচয় দিয়েছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ভয়ভীতি দেখিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে ভয়ে তাঁরা মগবাজারের একটি ব্যাংকের বুথ থেকে ৮০ হাজার টাকা তুলে দেন। এ ছাড়া ২০ হাজার টাকার একটি চেকে সই করতে বাধ্য করা হয়।
ঘটনাটি ঘটে গত শুক্রবার রাতে, রাজধানীর হাতিরঝিল থানার নয়াটোলা গ্রিনওয়ের একটি ফ্ল্যাটে। রোববার এ ঘটনায় রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে খন্দকার আবদুল হামিদের স্ত্রী তানজিন হামিদ।
অভিযোগে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাতে যুবদলের কর্মী হিসেবে পরিচয় দেওয়া শাওন (২৫), হাবিব (৩৫), সাজিদ (২২) ও সানি (৩৫) তাঁদের ফ্ল্যাটে গিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় শাওন কোমরে থাকা অস্ত্র দেখিয়ে তানজিন হামিদকে ভয়ভীতি দেখান।
তানজিন হামিদ বলেন, ‘তারা আমাদের পরিচয় জানার পর আরও খারাপ আচরণ করেছে। এমনকি বাচ্চাদের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করেছে। বাসায় নগদ টাকা না থাকায় তারা ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা তুলে দিতে বাধ্য করেছে।’
মামলায় বলা হয়েছে, শুক্রবার রাত ১১টা ৫৭ মিনিটে মগবাজার সিটি ব্যাংকের বুথ থেকে ৮০ হাজার টাকা তুলে সানিকে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ২০ হাজার টাকার একটি চেক দেওয়া হয়। পরদিন রাত ১২টা ২০ মিনিটে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ওই বাসায় আবারও যান। ফ্ল্যাট খালি করার জন্য হুমকি দেন।
এ বিষয়ে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাজু প্রথম আলোকে বলেন, মামলা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আসামিদের শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র একট
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে সিমেন্ট কারখানায় বিস্ফোরণে ছয় শ্রমিক দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় বসুন্ধরা সিমেন্ট কারখানার কয়লার কলে বিস্ফোরণে ছয় শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার মদনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ শ্রমিকদের রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন আতিকুর রহমান (৪২), তোরাব আলী (৫৫), ফেরদৌস (৩৫), তাজুল ইসলাম (৩৫), কামাল হোসেন (৪৫) ও নাহিদ হাসান (২২)।
দগ্ধ শ্রমিকদের সহকর্মী মোবারক হোসেন বলেন, সিমেন্ট প্ল্যান্টের কয়লার কলে কয়লা পিষে গুঁড়া করা হয়। সেই গুঁড়া কয়লা ভাট্টিতে তাপ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। কয়লার কলে কাজ করার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণে আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়লে তাঁদের ছয় সহকর্মী দগ্ধ হন। রাত নয়টার দিকে তাঁদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আগুনে আতিকুর রহমানের শরীরের ২৭ শতাংশ, তোরাব আলীর ১৬ শতাংশ, ফেরদৌসের ১০ শতাংশ, তাজুল ইসলামের ১২ শতাংশ, কামাল হোসেনের ২৬ শতাংশ ও নাহিদ হাসানের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁদের সবার শ্বাসনালিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কয়লার কলে কয়লা গুঁড়া করার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণে আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছিটকে শ্রমিকেরা দগ্ধ হন। দগ্ধ ছয় শ্রমিককে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, কয়লার কলে কয়লা গুঁড়া করার সময় বিস্ফোরণে উত্তপ্ত কয়লা ছিটকে ছয় শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে বসুন্ধরা সিমেন্ট কারখানা কর্তৃপক্ষের কারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।