আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে আমন মৌসুমের ধান ও চাল সংগ্রহ শুরু করবে সরকার। এবার প্রতি কেজি ধান ৩৪ টাকা, আতপ চাল ৪৯ টাকা এবং সিদ্ধ চাল ৫০ টাকা দরে ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রবিবার (৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

জানা গেছে, সরকারি গুদামে ধান ও চাল সংগ্রহের এ কার্যক্রম চলবে নির্ধারিত সময়সীমা পর্যন্ত। কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান ও মিল মালিকদের কাছ থেকে চাল কেনা হবে।

সভা শেষে একাধিক কর্মকর্তা জানান, সংগ্রহ কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হলো কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা এবং বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখা।

গত বছর আমন মৌসুমে ধানের সরকারি সংগ্রহমূল্য ছিল প্রতি কেজি ধান ৩২ টাকা, আতপ চাল ৪৬ টাকা ও সিদ্ধ চাল ৪৭ টাকা। তুলনামূলকভাবে এবার ধান ও চালের দাম প্রতি কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ধান সংগ্রহের পরিমাণ ও সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স গ রহ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

তিন দফা দাবিতে রুয়েট শিক্ষার্থীদের আবারও বিক্ষোভ, হুঁশিয়ারি

প্রকৌশলীদের পেশাগত মর্যাদা ও অধিকারসংক্রান্ত তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় আবারও আন্দোলনে নেমেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থীরা। বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হওয়ার পর আজ শনিবার তাঁরা ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরে রুয়েট থেকে বের হয়ে তালাইমারী মোড়ে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন।

বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটক হয়ে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের তালাইমারী মোড়ে গিয়ে অবস্থান নেয়। সেখানে সমাবেশ শেষে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কর্মসূচি শেষ হয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, তাঁদের ন্যায্য অধিকারের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চললেও সরকার বারবার আশ্বাস দিয়েও কোনো সমাধান দেয়নি। এর আগে রাজধানীমুখী লংমার্চে পুলিশি বাধার মুখেও তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে গেছেন। তখন চাপের মুখে সরকার একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করে এক মাসের মধ্যে সুপারিশ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু পরে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের দাবির মুখে নতুন করে ছয় সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়। নতুন এই কমিটির কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষার্থীদের দাবি, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে সময়ক্ষেপণ করছে। আগের কমিটির সুপারিশ ৭ নভেম্বরের মধ্যে প্রকাশের সময়সীমা দেওয়া হলেও সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি।

সমাবেশে পুরকৌশল বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শিহাব হোসেন বলেন, ‘প্রকৌশলীদের দীর্ঘদিনের দাবি নিয়ে সরকার টালবাহানা করছে। পেশাগত মর্যাদা রক্ষা এবং অযৌক্তিক বৈষম্য দূর করতে প্রণীত সুপারিশগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে ভবিষ্যতে কঠোর থেকে কঠোরতর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা তালাইমারী মোড়ে অবস্থান নিয়ে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরে যান।

শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো সহকারী প্রকৌশলী (নবম গ্রেড) পদে নিয়োগ সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে হতে হবে, কোনো প্রমোশন কোটা থাকবে না। উপসহকারী প্রকৌশলী (দশম গ্রেড) পদে শতভাগ ডিপ্লোমা কোটা পরিহার করে বিএসসি ডিগ্রিধারীদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া কেউ ‘ইঞ্জিনিয়ার’ পরিচয় ব্যবহার করতে পারবে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তিন দফা দাবিতে রুয়েট শিক্ষার্থীদের আবারও বিক্ষোভ, হুঁশিয়ারি