Prothomalo:
2025-11-23@07:55:37 GMT

কেট উইন্সলেট কত টাকার মালিক

Published: 7th, October 2025 GMT

সেই কবে ‘হেভেনলি ক্রিচার’ করেছিলেন। বয়স তখন সবে ১৭। এরপর কেটে গেছে তিন দশকের বেশি। সেদিনের কিশোরী কেট উইন্সলেট এখন ৫০ বছর বয়সী নারী। ৫ অক্টোবর ৫০ পূর্ণ করে তিনি বলেছেন, ‘নারীরা বয়সে যত বড় হন, তত সুন্দর হয়ে ওঠেন।’

নারীরা বয়সে যত বড় হন, তত সুন্দর হয়ে ওঠেন। আমাদের মুখ আসলে আরও নিজের মতো হয়ে ওঠে, হাড়ের গড়নে ঠিকঠাক বসে যায়। জীবনের ছাপ, ইতিহাস যুক্ত হয়। আমি চোখের কোণের রেখা, হাতের পেছনের বলিরেখাকে খুব সুন্দর মনে করি।কেট উইন্সলেট

বয়স বাড়া মানেই অনেকের কাছে একধরনের অস্তিত্বসংকট, ভয় বা দুশ্চিন্তা। কিন্তু কেট একেবারেই তা নিয়ে ভাবেন না। নিজের মুখের রেখা লুকানোর পরিবর্তে গর্ব করে বলেন, ‘আমি আমার বলিরেখা নিয়ে গর্ব করি। এগুলো আমার জীবনের গল্প বলে—আমি কে, কোথায় গিয়েছি, কী দেখেছি।’

৫০ পূর্ণ হওয়া উপলক্ষে ভোগ ইউকে–তে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন অভিনেত্রী। সেই সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেছেন, ‘নারীরা বয়সে যত বড় হন, তত সুন্দর হয়ে ওঠেন। আমাদের মুখ আসলে আরও নিজের মতো হয়ে ওঠে, হাড়ের গড়নে ঠিকঠাক বসে যায়। জীবনের ছাপ, ইতিহাস যুক্ত হয়। আমি চোখের কোণের রেখা, হাতের পেছনের বলিরেখাকে খুব সুন্দর মনে করি।’

কেট উইন্সলেট.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ন দর

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: অনেকে হল ছাড়ছেন, দ্বিধাদ্বন্দ্বে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর শিক্ষার্থীরা ব্যাগসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র হাতে নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন—এমন দৃশ্য আজ রোববার সকাল থেকে চোখে পড়ে।

শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে কয়েক দফায় ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্প-পরবর্তী উদ্ভূত জরুরি পরিস্থিতিতে আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ রোববার বিকেল পাঁচটার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীরা হল ছাড়ছেন।

আজ সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, মেয়েদের হলের অনেক শিক্ষার্থী বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। ছেলেদের হলগুলো থেকেও শিক্ষার্থীরা বের হচ্ছেন। আর যাঁরা এখনো যাননি, তাঁরা কিছুটা দ্বিধায় আছেন।

আবার কিছু শিক্ষার্থী বলছেন, হুট করে হল ছাড়তে বলায় তাঁরা বিপদে পড়েছেন। কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, টিউশন আছে। অনেকে চাকরি করেন। হল বন্ধ থাকলে তাঁরা কোথায় থাকবেন এই কদিন।

অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। কয়েকজন শিক্ষার্থী বলছেন, বাধ্যতামূলক হল ত্যাগের নির্দেশ সংকটের স্থায়ী সমাধান নয়। কোনো আশ্বাস না দিয়েই হল বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

আবার কয়েকজন বলেছেন, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সেখানকার শিক্ষার্থীরা কর্মচারীদের ভবন দখলে নিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাঁদের সরানোর জন্যই প্রশাসন হল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।

তবে কোনো কোনো শিক্ষার্থী প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁরা হল ত্যাগও করছেন। তাঁরা বলছেন, হলে থাকতে আতঙ্কিত বোধ করছেন। কারণ, হল পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ।

গত শুক্রবারের ভূমিকম্পে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হন। গতকালও অন্তত ৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

গতকাল রাতে আতঙ্কিত হয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের ছাত্রীরা বাইরে বের হয়ে আসেন। তখন কয়েকজন ছাত্রী ‘প্যানিক অ্যাটাক’ করেন বলে জানা যায়।

এমন পরিস্থিতিতে হল ছাড়াটাকেই তুলনামূলক ভালো বিকল্প হিসেবে দেখছেন বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের এক শিক্ষার্থী।

সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইসমাইল নাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, তিনি হল ছাড়বেন নাকি থাকবেন, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত নন।

আরও পড়ুনভূমিকম্প-পরবর্তী জরুরি পরিস্থিতি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৫ দিন বন্ধ ঘোষণা১৪ ঘণ্টা আগে

গতকাল রাতে কয়েকজন শিক্ষার্থী উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন তিন দফা দাবিতে। আজ সকালে অবশ্য তাঁদের সেখানে দেখা যায়নি। তাঁদের তিন দফা দাবিগুলো হলো—বাধ্যতামূলক হল বন্ধ ঘোষণা স্থগিত করে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর শিক্ষার্থীদের নিরাপদ আবাসনের ফিজিবল সলিউশন দেখানো। ঝুঁকিপূর্ণ হলের শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা টাওয়ারে তুলে নিরাপদ আবাসন নিশ্চিত করা (যত দিন না নতুন ভবনের কাজ শেষ না হয়)। এই দুই দফা মেনে নেওয়ার পর হল বন্ধ করা হলে কর্মকর্তা-কর্মচারী-শিক্ষকদের কোয়ার্টারসহ পুরো বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করতে হবে।

আরও পড়ুনভূমিকম্পে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত, আগামীকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত১৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ