অক্টোবরে ২০৬ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য উদ্ধার: বিজিবি
Published: 9th, November 2025 GMT
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত অক্টোবর মাসে সারা দেশে পরিচালিত অভিযানে মোট ২০৬ কোটি ৪২ লাখ ৬৯ হাজার টাকা মূল্যের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী, মাদকদ্রব্য, অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে।
রবিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
আরো পড়ুন:
ভাই-বোনের শেষ দেখা করাল বিজিবি
কলমাকান্দায় ৩৯ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার
বিজিবি জানায়, জব্দ করা পণ্যের মধ্যে রয়েছে-৩ কেজি ২৬২.
এছাড়া জব্দ করা যানবাহনের মধ্যে রয়েছে ১০টি ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান, ২১টি পিকআপ-মহেন্দ্র, ২টি ট্রাক্টর, ৪টি প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস, ৯টি ট্রলি, ১৯৭টি নৌকা, ৩২টি সিএনজি-ইজিবাইক, ৪৯টি মোটরসাইকেল এবং ৩০টি বাইসাইকেল বা ভ্যান।
অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৪টি দেশি-দেশীয় পিস্তল, ১টি রিভলবার, ৩টি মর্টার সেল, ৬টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ৩টি ম্যাগাজিন, ৫৩ রাউন্ড গোলাবারুদ, ২৫০ গ্রাম বিস্ফোরক, ২টি ডেটোনেটর এবং ৭টি অন্যান্য অস্ত্র।
বিজিবির অভিযানে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- ১৩ লাখ ৮২ হাজার ৪৬২ পিস ইয়াবা, ৩ কেজি ২০৫ গ্রাম হেরোইন, ৫,৪৬৫ বোতল ফেনসিডিল, ১০,৫৮২ বোতল বিদেশি মদ, ২৫১.৫ লিটার বাংলা মদ, ১,২৬৭ ক্যান বিয়ার, ১,৭৮২ কেজি গাঁজা, ১ লাখ ৩০ হাজার ৭৫৯ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৫৫,৯১৭টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট-ইনজেকশন, ৪,০৮২ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ৬,৩০৯টি এ্যানেগ্রা-সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ১৩০ কেজি ইয়াবা পাউডার এবং ৭ লাখ ২৭ হাজার ৭৬৮ পিস বিভিন্ন প্রকার নেশাজাতীয় ট্যাবলেট ও ওষুধ।
অক্টোবর মাসে সীমান্ত এলাকায় বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ মাদক ও চোরাচালান কার্যক্রমে জড়িত ১৮৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ২১০ জন বাংলাদেশি নাগরিক ও ৩ জন ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ৪৯৩ জন মিয়ানমারের নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলেও বিজিবি থেকে জানানো হয়।
ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আসিফ মাহমুদ
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
রবিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গ্রিন রোডে ধানমন্ডি থানা নির্বাচন অফিসে ঢাকা-১০ আসনে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘‘ঢাকা থেকে নির্বাচনে অংশ নেব এটা এখন প্রায় নিশ্চিত। তাই নিজের ভোটটাও ঢাকায় স্থানান্তর করছি, যেন ভোটটা অপচয় না হয়। যদিও আগে ভোটার হয়েছি, কিন্তু কখনো ভোট দিতে পারিনি। ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি। এবার অন্তত নিজের ভোটটি দিতে পারব, এটা নিশ্চিত করতে চেয়েছি।’’
তিনি আরও জানান, কোন আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে ঢাকাতেই নির্বাচনে অংশ নেবেন তিনি।
পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘‘এখন পর্যন্ত পরিকল্পনা আছে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার। পরে পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
সাংবাদিকরা জানতে চান, বিএনপি কি তার জন্য কোনো আসন ফাঁকা রাখছে বা কোনো ধরনের আলোচনা চলছে কি না। জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘‘আমার কারও সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। কে আসন ফাঁকা রাখলো বা না রাখলো সেটা আমার জানার বিষয় নয়। ব্যক্তিগতভাবে আমার সিদ্ধান্ত, এককভাবেই নির্বাচন করবো।’’
ঢাকা/এএএম//