সাঁইত্রিশে গায়কের মৃত্যু, মেয়েকে নিয়ে শেষ পোস্ট ভাইরাল
Published: 23rd, November 2025 GMT
সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ভারতের পাঞ্জাবি গায়ক হারমান সিধু। শনিবার (২২ নভেম্বর) পাঞ্জাবের মানসা জেলায় এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। গায়কের বয়স হয়েছিল ৩৭ বছর। ইন্ডিয়া টুডে এ খবর প্রকাশ করেছে।
এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নিজ গ্রামে ফেরার সময় মানসা–পাটিয়ালা সড়কে একটি স্থানীয় একটি বাড়ির সামনে গায়কের গাড়িটি একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা খায়। সংঘর্ষে গাড়িটি সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ঘটনাস্থলেই গায়কের মৃত্যু হয়।
আরো পড়ুন:
বক্স অফিসে অজয়-রাকুলের সিনেমার হালচাল কী?
‘সাইয়ারা’ নায়িকার সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন, মুখ খুললেন নায়ক
গায়ক মৃত্যুকালে স্ত্রী ও ছোট একটি মেয়ে রেখেছেন। দুর্ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে হারমান সিধুর একটি পোস্ট। এ ভিডিওতে গায়ককে তার কন্যার সঙ্গে দেখা যায়। ভিডিও দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন তার অনুরাগীরা।
এ ভিডিওতে দেখা যায়, এক হাঁটু গেড়ে বসে মেয়েকে একটি ফুল দিচ্ছেন সিধু। ছোট্ট মেয়েটি বেগুনি রঙের পোশাক পরে ক্যামেরার সামনে হাসিমুখে পোজ দিচ্ছিল। মুহূর্তগুলো এখন অনেকের চোখে জল এনে দিচ্ছে।
পাঞ্জাবি সংগীতাঙ্গনে হারমান সিধু সবচেয়ে বেশি পরিচিত ছিলেন ‘পেপার ইয়া পেয়ার’ গানের জন্য। এ গানে তার সঙ্গে ছিলেন জনপ্রিয় গায়িকা পূজা। গানটি এখনো শ্রোতাদের কাছে সমান জনপ্রিয়। তা ছাড়া হারমান সিধুর জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে—‘কোই চক্কর নাই’, ‘বেবে বাপু’, ‘বাব্বর শের’, ‘মুলতান ভার্সেস রাশিয়া’ ইত্যাদি।’
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ছেলের দায়ের কোপে বাবার মাথা বিচ্ছিন্ন
চাঁদপুরের কচুয়ায় ছেলের দায়ের কোপে বাবার মাথা বিচ্ছিন্ন হয়েছে। পালিয়ে যাওয়ার সময় হত্যাকারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে কচুয়া উপজেলার বাইছারা নোয়াপাড়া প্রধানীয়া বাড়িতে আব্দুল খালেক নামে ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা করে তার ছেলে মো. হোসাইন (৩০)।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বাবা ও ছেলের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হোসাইন ঘরে থাকা ধারালো দা দিয়ে বাবার মাথা ও শরীরে একের পর এক কোপ দিতে থাকে। ঘটনাস্থলেই আব্দুল খালেকের মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরিবারের দাবি, হোসাইন দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন।
আব্দুল খালেকের বড় ছেলে নোমান সরকার বলেছেন, আমার ভাই এমন ভয়ঙ্কর কাজ করবে, কখনো ভাবিনি। ও মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল। এমন নৃশংসতায় আমরা সবাই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন সাংবাদিকদের বলেছেন, খবর পেয়ে এসে দেখি, লাশ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এমন ঘটনা আমাদের এলাকায় আগে কখনো ঘটেনি। হত্যাকারীর বিরুদ্ধে অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা হওয়া উচিত।
চাঁদপুরের কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আজিজুল ইসলাম জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের পর পালানোর সময় স্থানীয়রা হোসাইনকে আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আব্দুল খালেকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি আমরা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি।
ঢাকা/জয়/রফিক