চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বালুবাহী ট্রাকচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার ভোরে উপজেলার চট্টগ্রাম-হাটহাজারী সড়কের দিকনদণ্ডী ইউনিয়নের লালিয়ারহাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত দুজন সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। তাঁরা নগরের একটি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন আবিদুল হাসান (৩৫) ও ইফতেখার রাহাত (৩০)। এর মধ্যে আবিদুল হাসান হাটহাজারী পৌরসভার আলীপুরে চানগাজী চৌধুরীবাড়ির মৃত নুর আহমদ চৌধুরীর ছেলে আর ইফতেখার রাহাত একই বাড়ির মোহাম্মদ ইউছুপ চৌধুরীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল রাতে আবিদুল হাসান হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান ভাতিজা ইফতেখারুল। সেখানে চিকিৎসা শেষে ভোরে দুজন অটোরিকশায় বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় পেছন থেকে একটি বালুবাহী ট্রাক অটোরিকশাটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই ইফতেখারুলের মৃত্যু হয়। আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সকাল আটটার দিকে আবিদুলেরও মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া অটোরিকশার আরও দুই যাত্রী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জানতে চাইলে রাউজান হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, একটি বালুবাহী ট্রাক পেছন থেকে অটোরিকশাটিকে চাপা দেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রাকটি পায়নি। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইফত খ র

এছাড়াও পড়ুন:

ছেলের দায়ের কোপে বাবার মাথা বিচ্ছিন্ন

চাঁদপুরের কচুয়ায় ছেলের দায়ের কোপে বাবার মাথা বিচ্ছিন্ন হয়েছে। পালিয়ে যাওয়ার সময় হত্যাকারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।

শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে কচুয়া উপজেলার বাইছারা নোয়াপাড়া প্রধানীয়া বাড়িতে আব্দুল খালেক নামে ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা করে তার ছেলে মো. হোসাইন (৩০)।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বাবা ও ছেলের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হোসাইন ঘরে থাকা ধারালো দা দিয়ে বাবার মাথা ও শরীরে একের পর এক কোপ দিতে থাকে। ঘটনাস্থলেই আব্দুল খালেকের মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরিবারের দাবি, হোসাইন দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন।

আব্দুল খালেকের বড় ছেলে নোমান সরকার বলেছেন, আমার ভাই এমন ভয়ঙ্কর কাজ করবে, কখনো ভাবিনি। ও মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল। এমন নৃশংসতায় আমরা সবাই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন সাংবাদিকদের বলেছেন, খবর পেয়ে এসে দেখি, লাশ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এমন ঘটনা আমাদের এলাকায় আগে কখনো ঘটেনি। হত্যাকারীর বিরুদ্ধে অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা হওয়া উচিত।

চাঁদপুরের কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আজিজুল ইসলাম জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের পর পালানোর সময় স্থানীয়রা হোসাইনকে আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আব্দুল খালেকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি আমরা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি।

ঢাকা/জয়/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ