বার বার মনে হচ্ছে ভূমিকম্প হচ্ছে, করণীয় জেনে নিন
Published: 23rd, November 2025 GMT
সম্প্রতি রাজধানীতে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই অনেক মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। ভূমিকম্প সবার মনেই কম-বেশি মানসিক চাপ তৈরি করে। এবং এই চাপ হঠাৎই তৈরি হয়। হঠাৎ প্রচণ্ড মানসিক চাপের সম্মুখীন হলে আমাদের শরীরে অ্যাড্রেনালিন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। কারও কারও ক্ষেত্রে এই অ্যাড্রেনালিনের প্রভাবে হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন এবং রক্তপ্রবাহে সাময়িকভাবে খানিকটা অস্বাভাবিকতা সৃষ্টি হতে পারে।
বিশেষ করে ভূমিকম্প পরবর্তী মাথা ঘোরা সিন্ড্রোম দেখা দিতে পারে। বার বার মনে হতে পারে ‘ভূমিকম্প হচ্ছে’। মানসিক অবস্থা এমন হলে বুঝতে হবে আপনি পোস্ট আর্থকোয়েক ডিজিনেস সিনড্রম-এ আক্রান্ত। এর ফলে শরীরে দ্রুত কিছু পরিবর্তন আসতে পারে।
আরো পড়ুন:
ভাত কী সত্যিই ওজন বাড়ায়?
কণ্ঠস্বর ভালো রাখার জন্য যেসব অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন
অ্যাডাপ্টেশন সিন্ড্রোম
মস্তিষ্ক কম্পনের সাথে খাপ খাইয়ে নেয় এবং কম্পন বন্ধ হয়ে গেলেও সেই অনুভূতি বজায় রাখে।
দৃষ্টিগত সমস্যা
ভূমিকম্পের সময় দেখা এবং অনুভব করা এই দুইয়ের মধ্যে তথ্যের অসামঞ্জস্যের কারণে মাথা ঘোরা এবং দৃষ্টিগত সমস্যা হতে পারে।
মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ
ভূমিকম্প একটি ভীতিকর অভিজ্ঞতা। একবার ভূমিকম্প হওয়ার পরে তীব্র মানসিক চাপ অনুভব করলে আপনার মনে হতে পারে ‘ঝাঁকুনি দিচ্ছে’।
সমস্যা সমাধানে করণীয়
এক.
দুই. গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, ধ্যান বা যোগব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
তিন. পর্যাপ্ত জল পান করুন।
উল্লেখ্য, যদি লক্ষণগুলো দীর্ঘস্থায়ী বা কয়েক ঘণ্টা বা দিনের বেশি থাকে তাহলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন।
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব স থ যকর জ বন ভ ম কম প সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: শেখ রেহানার মামলায় যুক্তিতর্ক ২৫ নভেম্বর
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি হবে ২৫ নভেম্বর।
ঢাকার চার নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. রবিউল আলম আজ রোববার এই তারিখ ধার্য করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম জানান, আজ মামলায় আসামিদের পরীক্ষা ও আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য ছিল। মামলায় গ্রেপ্তার থাকা একমাত্র আসামি রাজউকের সদস্য মোহাম্মদ খুরশিদ আলমকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানিতে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তবে তিনি এই মামলায় নিজের পক্ষে সাফাই দিতে রাজি হননি। মামলার অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় তাঁরা আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানির সুযোগ পাচ্ছেন না।
এর আগে ১৮ নভেম্বর এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করেন আদালত। মামলায় ৩২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
গত ৩১ জুলাই এটিসহ তিন মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। অভিযোগ গঠনের শুনানির সময়ে আসামিরা পলাতক থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
পৃথক তিন মামলায় শেখ রেহানা, টিউলিপ সিদ্দিক, শেখ হাসিনাসহ ১৭ জন; আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, শেখ হাসিনাসহ ১৮ জন এবং রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, শেখ হাসিনাসহ ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে পৃথক ৬ মামলা করে দুদক। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকসহ আরও অনেককে আসামি করা হয়।