বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সামগ্রিকভাবে প্রবৃদ্ধির গতি আরো বেড়েছে। ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে বাংলাদেশের পারচেসিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স (পিএমআই) ২.৭ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ৬১.৮-এ উন্নীত হয়েছে।

মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ঢাকা এবং পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ (পিইবি) রবিবার (৯ নভেম্বর) যৌথভাবে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এমসিসিআই ও পিইবি, যুক্তরাজ্য সরকারের সহায়তায় এবং সিঙ্গাপুর ইনস্টিটিউট অব পারচেসিং অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস ম্যানেজমেন্ট (এসআইপিএমএম)-এর কারিগরি সহযোগিতায় এ সূচকটি তৈরি করেছে।

আরো পড়ুন:

আজিজুলের সেঞ্চুরিতে সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতে সিরিজ বাঁচাল বাংলাদেশ

বক্তব্য রাখার সময় ড.

ইউনূসের সতর্ক থাকা উচিত: ভারত

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৃষি, উৎপাদন, নির্মাণ ও সেবাসহ সব প্রধান খাতেই দ্রুততর সম্প্রসারণ লক্ষ্য করা গেছে। কৃষি ও নির্মাণ খাত উভয়ই পুনরায় সম্প্রসারণের ধারায় ফিরে এসেছে, যা সামগ্রিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করেছে।

পিএমআই সূচকটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের গতি ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে সময়োপযোগী তথ্য প্রদান করে, যা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, বিনিয়োগকারী ও নীতিনির্ধারকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা হিসেবে কাজ করে। খবর বাসসের।

ঢাকা/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অর্থনীতির গতি কিছুটা বেড়েছে

দেশের অর্থনীতির গতি উত্থান-পতনের মধ্যে রয়েছে। এক মাস বাড়লে পরের মাসে আবার কমছে। তবে গত দুই মাস ধরে অর্থনীতির গতি বাড়ছে। সেপ্টেম্বরে সম্প্রসারণের গতি সামান্য বাড়লেও গত অক্টোবরে সেই গতি বৃদ্ধি দ্রুততর হয়েছে।

পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স বা পিএমআইয়ের সার্বিক মান গত জানুয়ারিতে ছিল ৬৫ দশমিক ৭ পয়েন্ট। পরের তিন মাসে পিএমআই মান ধারাবাহিকভাবে কমেছে। তারপরের চার মাস উত্থান-পতনের মধ্যে ছিল। সেপ্টেম্বরে পিএমআইয়ের মান দশমিক ৮ পয়েন্ট বেড়ে হয় ৫৯ দশমিক ১ পয়েন্ট। আর গত মাসে ২ দশমিক ৭ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ৬১ দশমিক ৮ পয়েন্ট।

ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স (এমসিসিআই) ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ যৌথভাবে পিএমআই প্রণয়ন করছে। আজ রোববার অক্টোবর মাসের পিএমআই প্রকাশ করা হয়।

পিএমআইয়ের সার্বিক উন্নতির পেছনের কারণ হচ্ছে, কৃষি ব্যবসা, নির্মাণ, পণ্য উৎপাদন ও সেবা—এই চার খাতের সম্প্রসারণ দ্রুত হয়েছে।

অর্থনীতির প্রধান খাত কৃষি, নির্মাণ, উৎপাদন ও সেবা খাতের ৪০০টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীদের মতামতের ভিত্তিতে পিএমআই প্রকাশ করা হয়। সূচক তৈরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কাঁচামাল ক্রয়, পণ্যের ক্রয়াদেশ, কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। মূলত পিএমআই শূন্য থেকে ১০০ নম্বরের মধ্যে পরিমাপ করা হয়। সূচকের মান ৫০-এর বেশি হলে অর্থনীতির সম্প্রসারণ এবং ৫০-এর নিচে হলে সংকোচন বোঝায়।

উৎপাদন খাত ১৩ মাস ধরে সম্প্রসারণ অব্যাহত রয়েছে। গত মাসে সম্প্রসারণের গতি সামান্য বেড়েছে। এই খাতে নতুন ক্রয়াদেশ, রপ্তানি, কারখানার কাঁচামাল ক্রয়, উৎপাদন, কর্মসংস্থান ও পণ্য সরবরাহ সূচকগুলো সম্প্রসারণে ফিরেছে। গত সেপ্টেম্বরে উৎপাদন খাতের সূচকের মান ছিল ৬৫ পয়েন্ট। গত মাসে তা বেড়ে ৬৬ দশমিক ১ পয়েন্ট হয়েছে।

নির্মাণ খাত টানা চার মাস ধরে সংকোচনের ধারায় চলে গিয়েছিল। পরের মাসে সেটি আবার সম্প্রসারণ ধারায় ফেরে। গত মাসে সেই গতি বেড়ে হয় ৫৬ দশমিক ৫ পয়েন্ট। নির্মাণ খাতে নতুন ব্যবসা, নির্মাণ কার্যক্রম, কর্মসংস্থান ও কাঁচামাল কেনাকাটার সূচকে সম্প্রসারণ হয়েছে।

এদিকে কৃষি ব্যবসায় গত সেপ্টেম্বর সম্প্রসারণ ধারায় ফেরে। গত মাসে সেই সম্প্রসারণের গতি বেশ বেড়েছে। তাতে অক্টোবরে কৃষি ব্যবসার সূচকের মান দাঁড়ায় ৫৯ দশমিক ৬ পয়েন্ট। কৃষি ব্যবসা খাতের নতুন ব্যবসা, ব্যবসায়িক কার্যক্রম ও ইনপুট খরচ সূচকগুলো সম্প্রসারণে ফিরে আসায় এই উন্নতি হয়েছে।

সেবা খাত টানা ১৩ মাস ধরে সম্প্রসারণ ধারায় আছে। আগের তুলনায় গতি কমেছে। এই খাতে নতুন ব্যবসা, ব্যবসা কার্যক্রম, কর্মসংস্থান ও কাঁচামাল কেনাকাটার সূচক সম্প্রসারণ রয়েছে। সেপ্টেম্বরে নির্মাণ খাতের সূচকের মান ছিল ৫৮ দশমিক ৭ পয়েন্ট। গত মাসে সেটি বেড়ে হয়েছে ৬১ পয়েন্ট।

পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এম মাসরুর রিয়াজ বলেন, অক্টোবর মাসে পিএমআইয়ের ফলাফল ইঙ্গিত দিচ্ছে যে বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতি সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছে, যার মূল প্রণোদনা এসেছে অনুকূল ফসলের অবস্থা ও কৃষি খাতে ভালো ফলনের প্রত্যাশা থেকে। অর্থনীতির অন্যান্য খাতও বছরের শেষ প্রান্তিকে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুততর সম্প্রসারণের হার প্রদর্শন করেছে, যখন মাসিক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতি ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অর্থনীতির গতি কিছুটা বেড়েছে