অনিচ্ছা সত্ত্বেও বার্সেলোনাকে মায়ামিতে খেলার অনুমতি দিল উয়েফা
Published: 7th, October 2025 GMT
বার্সেলোনা–ভিয়ারিয়ালের লা লিগা ম্যাচ যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে আয়োজন করা হতে পারে, এমন খবর সামনে এসেছিল আরও আগে। নানামুখী আপত্তিতে এই প্রচেষ্টা আলোর মুখ দেখে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা ছিল। শেষ পর্যন্ত ব্যাপারটি আংশিক আলোর মুখ দেখেছে। অনেকটা অনিচ্ছা সত্ত্বেও এই দুই দলের লিগ ম্যাচ যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে আয়োজনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা।
সোমবার উয়েফা জানায়, নিজ দেশের বাইরে ঘরোয়া লিগের ম্যাচ আয়োজনের ধারণার ‘স্পষ্ট বিরোধী’ তারা। তবে ফিফার অস্পষ্ট নীতিমালার কারণে ব্যতিক্রম হিসেবে দুটি প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে উয়েফা। এ দুই প্রস্তাবের একটি লা লিগার (বার্সেলোনা-ভিয়ারিয়াল) এবং অন্যটি সিরি আ’র (এসি মিলান-কোমো) ম্যাচ নিয়ে।
আগামী ২১ ডিসেম্বর মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে বার্সেলোনা-ভিয়ারিয়ালের লা লিগার ম্যাচ আয়োজন করা যাবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে সময় নিয়েছিল উয়েফা। তবে শুধু লা লিগার ম্যাচই নয়, এসি মিলান ও কোমোর মধ্যে সিরি আ–র ম্যাচও আগামী ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার পার্থে আয়োজনের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে উয়েফা।
আরও পড়ুনমেসির শহরে বার্সেলোনার ম্যাচ, আপত্তি রিয়াল মাদ্রিদের১৩ আগস্ট ২০২৫ম্যাচ দুটি মায়ামি ও পার্থে আয়োজন করা যায় কি না, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ফিফা। ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি এখনো নতুন বিধিমালা প্রণয়নের কাজ সম্পন্ন করার পথে রয়েছে। তবে এমন সিদ্ধান্তটি ইউরোপজুড়ে সমর্থকগোষ্ঠীগুলোর তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়েছে।
লা লিগার ম্যাচে মায়ামিতে খেলবে বার্সেলোনা–ভিয়ারিয়াল.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হাতিয়া পৌরসভা আ.লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর হাতিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম ছাইফ উদ্দিনকে (৫৮) গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে দিকে তাকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এর আগে, গতকাল সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে হাতিয়া আদালত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ রাজনীতির পাশাপাশি ছাইফ উদ্দিন স্থানীয় আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি তিনটি সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের হওয়া মামলার আসামি ছিলেন।
সোমবার দুপুরের দিকে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য যৌথ বাহিনীর সদস্যরা হাতিয়া আদালত এলাকায় অবস্থান নেন। পরবর্তীতে একই দিন বিকাল ৫টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। তাৎক্ষণিক তার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ও মুক্তির দাবি করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী উপজেলা সদরের ওছখালীতে বিক্ষোভ করে। এসময় যৌথ বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দিলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
একই সময়ে আওয়ামী লীগ নেতার গ্রেপ্তারকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মিছিল করে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, “তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে তিনটি মামলা রয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল করার জন্য জড়ো হয়েছিলেন। পুলিশ তাদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। মঙ্গলবার বিকালে তাকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোর্পদ করা হবে।”
ঢাকা/সুজন/এস