শীতকালে চোখ সহজেই সংক্রমিত হতে পারে। শীতে ঠান্ডা লাগার সাথে সাথে চোখে ভাইরাল কনজাংটিভাইটিস হতে পারে। সেজন্য এই সময় সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা  উচিত। এবং হাত ধোয়ার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি। এ ছাড়া বাইরে বের হওয়ার সময় বেশ কিছু নিয়ম মানতে পারেন। 

বাইরে বেরোনোর সময় সানগ্লাস পরুন। এই অভ্যাস সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনী রশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করে। শীতকালে ব্লেফারাইটিস বা চোখের পাতার প্রদাহ বেড়ে যেতে পারে। কারণ ঠান্ডা বাতাস তেল এবং ব্যাকটেরিয়া জমতে সাহায্য করে। এই সময় চোখের পাতা পরিষ্কার রাখুন এবং প্রয়োজন হলে চোখের পাতার জন্য বিশেষভাবে তৈরি উষ্ণ সেঁক বা কমপ্রেস ব্যবহার করতে পারেন।

আরো পড়ুন:

শীতকালীন সুপারফুড ‘বেতো শাক’ খেলে যেসব উপকার পাবেন

খাওয়ার আগে নাকি পরে হাঁটা ভালো

চোখের মেকআপ করার আগে, নিশ্চিত করুন যে আপনার মুখ এবং চোখের পাতা খুব পরিষ্কার।কখনও কারও সাথে চোখের মেকআপ শেয়ার করবেন না, এমনকি পরিবারের সদস্য বা ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সাথেও না।
ঘুমানোর আগে আপনার চোখের মেকআপ পরিষ্কার করে নিন। চোখের মেকআপ সামগ্রী তিন মাসের বেশি ব্যবহার করবেন না।

শীতকালে বাতাস শুষ্ক থাকে, যা চোখের জলীয় অংশকে বাষ্পীভূত করে দেয়।ফলে এই আবহাওয়ায় সহজেই চোখ শুষ্ক হয়ে পড়ে। যদি চোখ শুষ্ক লাগে, তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কৃত্রিম লুব্রিকেন্ট ড্রপ ব্যবহার করুন। 

সূত্র: এভরিডে হেলথ

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব স থ যকর জ বন চ খ র ম কআপ

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে সূচকের পতনে সপ্তাহ শুরু

চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (৯ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ নিয়ে টানা ৬ কার্যদিবস পুঁজিবাজারে পতন ঘটেছে। এর ফলে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ হাজার পয়েন্টের ঘরে নেমে এসেছে, যা চার মাস আগের অস্থানে নেমে এসেছে।

এদিন আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে। একইসঙ্গে পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।

আরো পড়ুন:

২২ বিনিয়োগকারীকে ৪০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড হাইকোর্টে বহাল

বিএসইসির নতুন মার্জিন রুলসের গেজেট প্রকাশ

বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। রবিবার সকালে ডিএসইএক্স সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। তবে লেনদেন শুরুর ১১ মিনিটের পর থেকে সূচকের পতন লক্ষ্য করা যায়। লেনদেন শেষ পর্যন্ত পতনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত ছিল। গত কয়েক মাসের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন অনেক কমে গেছে।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৬৮.০১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮৯৯ পয়েন্টে। এর আগে চলতি বছরের ৩ জুলাই ডিএসইএক্স সূচক ছিল ৪ হাজার ৮৯৪ পয়েন্টে। এদিন ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৬.৬০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২২ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১১.৮১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯২৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে মোট ৪১০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৩৪টি কোম্পানির, কমেছে ৩২৯টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৭টির।

এদিন, ডিএসইতে মোট ৪০২ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪১৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৫.৯৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৫৭৯ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭৫ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৮৮৩ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৪.৪৪ পয়েন্ট কমে ৮৭০ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ১১.৩৮ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৪০১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সিএসইতে মোট ১৫৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৪২টি কোম্পানির, কমেছে ১০৯টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪টির।

সিএসইতে ২২ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

ঢাকা/এনটি/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ