‘সবিতাকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারব না’
Published: 7th, October 2025 GMT
দক্ষিণি তারকা নাগা চৈতন্য সম্প্রতি অভিনেতা জগপতি বাবুর টক শো ‘জয়াম্মু নিশ্চয়াম্মুরা’তে হাজির হয়েছিলেন। সেখানে তিনি প্রথমবারের মতো খোলামেলা কথা বলেছেন তাঁর স্ত্রী ও অভিনেত্রী সবিতা ধুলিপালার সঙ্গে সম্পর্ক এবং তাঁদের প্রেমের গল্প নিয়ে।
প্রেম শুরু ইনস্টাগ্রামে
নাগা চৈতন্য জানান, তাঁদের প্রেমের সূচনা হয়েছিল ইনস্টাগ্রামে। তিনি বলেন, ‘আমি ভাবতেও পারিনি আমার সঙ্গীকে একদিন ইনস্টাগ্রামে খুঁজে পাব। আমি ওর কাজের সঙ্গে পরিচিত ছিলাম। একদিন আমি আমার ক্লাউড কিচেন নিয়ে একটি পোস্ট করেছিলাম। সবিতা সেটিতে একটা ইমোজি দিয়ে মন্তব্য করে। সেখান থেকেই কথোপকথন শুরু হয়, এরপর আমাদের দেখা হয়।’ এর পর থেকেই ঘনিষ্ঠতা বাড়ে দুজনের। দীর্ঘ দুই বছরের সম্পর্কের পর ২০২৪ সালে তাঁরা বিয়ে করেন।
‘থান্ডেল’ নিয়ে অভিমান
চৈতন্যর সাম্প্রতিক মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘থান্ডেল’ তাঁকে দিয়েছে ক্যারিয়ারের প্রথম₹১০০ কোটি রুপি হিট। কিন্তু স্ত্রী সবিতা ছবিটি নিয়ে একেবারেই খুশি ছিলেন না। কারণ, ছবির একটি গানে ব্যবহৃত হয় ‘বুজ্জি ঠাল্লি’ নাম—যা আসলে সবিতার ডাকনাম। বিষয়টি নিয়ে নাগা বলেন, ‘ও ভাবল আমি পরিচালক চান্দু মন্ডেটিকে বলেছি নামটা গানটিতে ব্যবহার করতে। কিন্তু আমি কেন তা করব? ও এতটাই রেগে গিয়েছিল যে কয়েক দিন আমার সঙ্গে কথা বলেনি।’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, কোনো সম্পর্ক বাস্তবসম্মত হয় না, যদি তাতে ঝগড়া না থাকে।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হাতিয়া পৌরসভা আ.লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর হাতিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম ছাইফ উদ্দিনকে (৫৮) গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে দিকে তাকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এর আগে, গতকাল সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে হাতিয়া আদালত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ রাজনীতির পাশাপাশি ছাইফ উদ্দিন স্থানীয় আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি তিনটি সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের হওয়া মামলার আসামি ছিলেন।
সোমবার দুপুরের দিকে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য যৌথ বাহিনীর সদস্যরা হাতিয়া আদালত এলাকায় অবস্থান নেন। পরবর্তীতে একই দিন বিকাল ৫টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। তাৎক্ষণিক তার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ও মুক্তির দাবি করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী উপজেলা সদরের ওছখালীতে বিক্ষোভ করে। এসময় যৌথ বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দিলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
একই সময়ে আওয়ামী লীগ নেতার গ্রেপ্তারকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মিছিল করে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, “তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে তিনটি মামলা রয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল করার জন্য জড়ো হয়েছিলেন। পুলিশ তাদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। মঙ্গলবার বিকালে তাকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোর্পদ করা হবে।”
ঢাকা/সুজন/এস