দক্ষিণি তারকা নাগা চৈতন্য সম্প্রতি অভিনেতা জগপতি বাবুর  টক শো ‘জয়াম্মু নিশ্চয়াম্মুরা’তে হাজির হয়েছিলেন। সেখানে তিনি প্রথমবারের মতো খোলামেলা কথা বলেছেন তাঁর স্ত্রী ও অভিনেত্রী সবিতা ধুলিপালার সঙ্গে সম্পর্ক এবং তাঁদের প্রেমের গল্প নিয়ে।

প্রেম শুরু ইনস্টাগ্রামে
নাগা চৈতন্য জানান, তাঁদের প্রেমের সূচনা হয়েছিল ইনস্টাগ্রামে। তিনি বলেন, ‘আমি ভাবতেও পারিনি আমার সঙ্গীকে একদিন ইনস্টাগ্রামে খুঁজে পাব। আমি ওর কাজের সঙ্গে পরিচিত ছিলাম। একদিন আমি আমার ক্লাউড কিচেন নিয়ে একটি পোস্ট করেছিলাম। সবিতা সেটিতে একটা ইমোজি দিয়ে মন্তব্য করে। সেখান থেকেই কথোপকথন শুরু হয়, এরপর আমাদের দেখা হয়।’ এর পর থেকেই ঘনিষ্ঠতা বাড়ে দুজনের। দীর্ঘ দুই বছরের সম্পর্কের পর ২০২৪ সালে তাঁরা বিয়ে করেন।

‘থান্ডেল’ নিয়ে অভিমান
চৈতন্যর সাম্প্রতিক মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘থান্ডেল’ তাঁকে দিয়েছে ক্যারিয়ারের প্রথম₹১০০ কোটি রুপি হিট। কিন্তু স্ত্রী সবিতা ছবিটি নিয়ে একেবারেই খুশি ছিলেন না। কারণ, ছবির একটি গানে ব্যবহৃত হয় ‘বুজ্জি ঠাল্লি’ নাম—যা আসলে সবিতার ডাকনাম। বিষয়টি নিয়ে নাগা বলেন, ‘ও ভাবল আমি পরিচালক চান্দু মন্ডেটিকে বলেছি নামটা গানটিতে ব্যবহার করতে। কিন্তু আমি কেন তা করব? ও এতটাই রেগে গিয়েছিল যে কয়েক দিন আমার সঙ্গে কথা বলেনি।’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, কোনো সম্পর্ক বাস্তবসম্মত হয় না, যদি তাতে ঝগড়া না থাকে।’

বাগ্‌দানের অনুষ্ঠানে সবিতা ও নাগা। এক্স থেকে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দাপুটে জয়ে ক্যাম্প ন্যুতে বার্সেলোনার প্রত্যাবর্তন

ফেরান তোরেসের দুর্দান্ত জোড়া গোল আর শুরুর দিকেই রবার্ট লেভানদোভস্কির আঘাত; সব মিলিয়ে দুই বছর পর ন্যু ক্যাম্পে ফিরে এসে একেবারে রাজকীয় ভঙ্গিতেই নিজেদের উপস্থিতি জানান দিল বার্সেলোনা। ১০ জনের বিলবাওকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে লা লিগায় টানা তিন জয়ের আনন্দে ভাসল কাতালানরা।

নবায়ন কাজের কারণে দীর্ঘ বিরতির পর ন্যু ক্যাম্পে এটি ছিল বার্সার প্রথম ম্যাচ। শুরুতেই যেন সেই অপেক্ষার সব ক্ষত মুছে দিলেন লেভানদোভস্কি। ম্যাচের মাত্র চার মিনিটে প্রতিপক্ষের বক্সের বাইরে বল কাড়ার পর নিচু শটে উনাই সিমোনকে পরাস্ত করেন তিনি।

আরো পড়ুন:

দ্রুততম ৪৪ গোলে রোনালদোর রেকর্ড ভাঙলেন এমবাপ্পে

মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে বার্সেলোনাকে হারাল রিয়াল

এরপর দানি ওলমোর প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেয় বিলবাওয়ের রক্ষণ দেয়াল। লামিন ইয়ামালের শটও রুখে দেন সিমোন। অন্যদিকে আক্রমণে উঠেও সুযোগ নষ্ট করেন উনাই গোমেজ ও নিকো উইলিয়ামস। আয়েরিক লাপোর্তের হেডও পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।

এরপর ফেরান তোরেস ও ফিরমিন লোপেজও গোলের খোঁজে সক্রিয় হন। গার্সিয়া চোট কাটিয়ে একাদশে ফিরেই বিলবাওয়ের নিশ্চিত গোল ঠেকান।

হাফটাইমের ঠিক আগে ইয়ামালের দারুণ বাঁকানো পাসে সুযোগ পান তোরেস। নিচু শটে সিমোনকে পরাস্ত করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। সিমোন ছুঁয়ে দিলেও গোল ঠেকাতে পারেননি।

বিরতির পর মাত্র তিন মিনিটের মাথায় লোপেজ দারুণ এক প্রচেষ্টায় সোজা শটে তৃতীয় গোলটি করেন। ৫৪ মিনিটে লোপেজের ওপর বিপজ্জনক ট্যাকল করে ওইহান সানসেট লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে বিলবাওয়ের দুর্ভাগ্য আরও ঘনীভূত হয়।

এরপর ডানি ভিভিয়ান হুমকি তৈরি করলেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। পাল্টা আক্রমণে ওলমোর শটও অল্পের জন্য বাইরে যায়। ভিভিয়ান পরে আরেকবার হেডে গোল করতে উদ্যত হয়েছিলেন, তবে গার্সিয়ার গ্লাভসে আটকে যায় বল।

অবশেষে ৯০ মিনিটে ইয়ামালের সূক্ষ্ম পাস ধরে ঠান্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে ম্যাচের শেষ শব্দটি লিখে দেন ফেরান তোরেস।

দুই বছর পর ঘরের মাঠে ফিরল বার্সেলোনা। আর তোরেস-ইয়ামালরা যেন সেই আনন্দকে ফুটিয়ে তুললেন মাঠজুড়ে গোলের আতশবাজিতেই।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ