ভিডিও ডাউনলোডের জন্য বিকল্প ৭ অ্যাপ
Published: 7th, October 2025 GMT
ব্যক্তিগত বা পেশাগত কাজের প্রয়োজনে অনেক সময় ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ বা ইনস্টাগ্রাম থেকে ভিডিও ডাউনলোড করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর এ ক্ষেত্রে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের পছন্দের অ্যাপ হচ্ছে ভিডমেট। জনপ্রিয় এই ভিডিও ডাউনলোডার অ্যাপের তুলনায় সহজে ব্যবহার উপযোগী আরও বেশ কয়েকটি অ্যাপ পাওয়া যায় অনলাইনে। ভিডমেটের বিকল্প অ্যাপগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক—
১.স্ন্যাপটিউব
স্ন্যাপটিউবকে ভিডমেটের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অ্যাপটির মাধ্যমে সহজেই ভিন্ন মাধ্যম থেকে বিভিন্ন ফরম্যাটের (এমপি৩, এম৪এ) ভিডিও ডাউনলোড করা যায়। ফলে যাঁরা নিয়মিত বিভিন্ন মাধ্যম থেকে ভিডিও ডাউনলোড করেন, তাঁদের জন্য অ্যাপটি বেশ কার্যকর। পিকচার-ইন-পিকচার সমর্থন ও ব্যাকগ্রাউন্ড ডাউনলোডের পাশাপাশি বিল্ট-ইন ফাইল ম্যানেজারের মাধ্যমে ডাউনলোড করা ভিডিও সাজিয়ে রাখা যায় অ্যাপটিতে।
২. নিউপাইপগোপনীয়তা নিয়ে সচেতন ব্যবহারকারীদের জন্য তৈরি নিউপাইপ অ্যাপটির ইন্টারফেস বেশ সাধারণ। এতে কোনো বিজ্ঞাপন বা পপ আপ দেখানো হয় না, ফলে বিভিন্ন বিষয়ে অনুমতিও কম দিতে হয়। শুধু তা–ই নয়, অ্যাপটি ব্যবহারের জন্য নতুন কোনো অ্যাকাউন্ট খোলার দরকার হয় না, ফলে সহজে ও নিরাপদে ব্যবহার করা যায়। এই অ্যাপের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি ফোনের র্যাম, জায়গা ও ব্যাটারি কম ব্যবহার করে। ফলে পুরোনো বা কম র্যামযুক্ত ফোন ব্যবহারকারীরা সহজেই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন।
৩. ভিডিও ডাউনলোডার এইচডি-ভিডোযাঁরা দ্রুত ভিডিও ডাউনলোড করতে চান, তাঁদের জন্য ভালো অপশন হচ্ছে ভিডিও ডাউনলোডার এইচডি-ভিডো। অ্যাপটিতে ভিডিওর ইউআরএল পেস্ট করে নির্দিষ্ট রেজল্যুশনের ভিডিও ডাউনলোড করা যায়। ফোনে কম ক্ষমতার প্রসেসর থাকলেও সহজে ব্যবহার করা যায় এই অ্যাপ। সহজ ইন্টারফেসযুক্ত অ্যাপটির মাধ্যমে চাইলে সাধারণ থেকে এইচডি ফরম্যাটের ভিডিও ডাউনলোড করা সম্ভব।
৪. ভিডিওডারভিডিওডার অ্যাপের ইন্টারফেস আধুনিক ও কাস্টমাইজ করা যায়। ফলে বিভিন্ন ওয়েবসাইট সমর্থনের পাশাপাশি ডাউনলোড কনভার্ট করার সুযোগ দিয়ে থাকে অ্যাপটি। একসঙ্গে একাধিক ফাইল ডাউনলোডের (ব্যাচ ডাউনলোডিং) পাশাপাশি অ্যাপটি কম্পিউটারেও ব্যবহার করা যায়।
৫. হিটিউবহিটিউব দ্রুত কাজ করে এবং মোবাইল ফ্রেন্ডলি। সহজ ইন্টারফেসের অ্যাপটি একাধিক ফরম্যাটে ফাইল ডাউনলোডের সুবিধা দেয়। একাধিক ফরম্যাট সমর্থনের পাশাপাশি ফোনে কম জায়গা দখল করে অ্যাপটি। ফলে ফোনে ধারণক্ষমতা কম থাকলেও ব্যবহার করা যায়।
৬. স্ন্যাপডাউনলোডারফোনের পাশাপাশি উইন্ডোজ ও ম্যাক সব অপারেটিং সিস্টেমে চলা কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায় স্ন্যাপডাউনলোডার। ক্রস প্ল্যাটফর্ম সুবিধার অ্যাপটির মাধ্যমে ৪কে ও ৮কে রেজল্যুশনে ভিডিও ডাউনলোডের পাশাপাশি ফাইল কনভার্ট ও কাস্টম নামকরণ (অটো রিনেমিং) করা সম্ভব। ফলে কম্পিউটারে বড় ভিডিও ডাউনলোডের জন্য বেশ কার্যকর এই অ্যাপ।
৭. ভিডিও ও মিউজিক ডাউনলোডারক্ল্যাসিক ঘরানার অ্যাপটির ইন্টারফেস সাধারণ, কিন্তু নির্ভরযোগ্য। সাধারণ ও এইচডি মানের ভিডিও ডাউনলোড করার পাশাপাশি ফাইল ম্যানেজমেন্ট সুবিধা রয়েছে অ্যাপটিতে। প্লে লিস্ট ক্যাপচার বা অটো রিনেমিং সুবিধা না থাকলেও দ্রুত ভিডিও ডাউনলোড করতে পারে অ্যাপটি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ভ ড ও ড উনল ড র ব যবহ র কর ফরম য ট র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
হাবিপ্রবিতে বহুল প্রতীক্ষিত দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত
বর্ণাঢ্য আয়োজনে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) বহুল প্রতীক্ষিত দ্বিতীয় সমাবর্তন ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে, সমাবর্তন উপলক্ষে আসা হাজারো গ্র্যাজুয়েট, অভিভাবক, অতিথি এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিণত হয় উৎসব ও উদ্দীপনার মিলনস্থলে।
আরো পড়ুন:
হাবিপ্রবিতে স্কলার সামিট অনুষ্ঠিত
এবারো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা নেবে হাবিপ্রবি
শনিবার (২২ নভেম্বর) এ উপলক্ষ্যে দুপুর দেড়টায় শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এর নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে সমাবর্তনস্থলে যায়।
জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলো পাঠ শেষে শিক্ষা উপদেষ্টা সমাবর্তনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এর সভাপতিত্বে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য দেন হাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এনামউল্যা।
এরপর স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ডিনগণ গ্র্যাজুয়েটদের শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে ডিগ্রি প্রদানের সমার্পণ করেন। ডিগ্রি প্রদান শেষে শিক্ষা উপদেষ্টা ‘আচার্য স্বর্ণপদক’ প্রদান করেন।
পরবর্তীতে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন হাবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এছাড়াও বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজিম উদ্দিন খান।
সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সিআর আবরার বলেন, “ফ্যাসিবাদী শক্তির দমননীতি অতিক্রম করে শিক্ষার্থীরা যে সাহস, মনোবল ও দেশপ্রেম প্রদর্শন করেছে, তা ইতিহাসে অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। দেশ আজ নতুন সূচনার পথে। দীর্ঘ দেড় দশকের দমন—পীড়নের অবসান ঘটিয়ে আমরা একটি মুক্ত ও প্রাণবন্ত পরিবেশে ফিরেছি। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্ম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাহসী ভূমিকা দেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
তিনি বলেন, “দেশের সীমিত সম্পদের মধ্যেও গবেষণা উন্নয়নে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার যুগান্তকারী উদ্যোগ নিয়েছে।” তিনি শিক্ষকবৃন্দকে গবেষণা জোরদার করা, শিক্ষার্থীদের যুক্ত করা এবং নতুন জ্ঞানের অনুসন্ধানে আরো অগ্রণী ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, “১৮ কোটি মানুষের কষ্টার্জিত অর্থে পরিচালিত এই বিশ্ববিদ্যালয় আপনাদের কাছে একটি পবিত্র আমানত। প্রশাসনিক, আর্থিক ও একাডেমিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সময়ের দাবি।”
এবারের দ্বিতীয় সমাবর্তনে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি মিলিয়ে ৮ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী ডিগ্রি অর্জন করেন।
ঢাকা/সাকিব/মেহেদী