ব্যক্তিগত বা পেশাগত কাজের প্রয়োজনে অনেক সময় ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ বা ইনস্টাগ্রাম থেকে ভিডিও ডাউনলোড করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর এ ক্ষেত্রে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের পছন্দের অ্যাপ হচ্ছে ভিডমেট। জনপ্রিয় এই ভিডিও ডাউনলোডার অ্যাপের তুলনায় সহজে ব্যবহার উপযোগী আরও বেশ কয়েকটি অ্যাপ পাওয়া যায় অনলাইনে। ভিডমেটের বিকল্প অ্যাপগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক—

১.

স্ন্যাপটিউব

স্ন্যাপটিউবকে ভিডমেটের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অ্যাপটির মাধ্যমে সহজেই ভিন্ন মাধ্যম থেকে বিভিন্ন ফরম্যাটের (এমপি৩, এম৪এ) ভিডিও ডাউনলোড করা যায়। ফলে যাঁরা নিয়মিত বিভিন্ন মাধ্যম থেকে ভিডিও ডাউনলোড করেন, তাঁদের জন্য অ্যাপটি বেশ কার্যকর। পিকচার-ইন-পিকচার সমর্থন ও ব্যাকগ্রাউন্ড ডাউনলোডের পাশাপাশি বিল্ট-ইন ফাইল ম্যানেজারের মাধ্যমে ডাউনলোড করা ভিডিও সাজিয়ে রাখা যায় অ্যাপটিতে।

২. নিউপাইপ

গোপনীয়তা নিয়ে সচেতন ব্যবহারকারীদের জন্য তৈরি নিউপাইপ অ্যাপটির ইন্টারফেস বেশ সাধারণ। এতে কোনো বিজ্ঞাপন বা পপ আপ দেখানো হয় না, ফলে বিভিন্ন বিষয়ে অনুমতিও কম দিতে হয়। শুধু তা–ই নয়, অ্যাপটি ব্যবহারের জন্য নতুন কোনো অ্যাকাউন্ট খোলার দরকার হয় না, ফলে সহজে ও নিরাপদে ব্যবহার করা যায়। এই অ্যাপের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি ফোনের র‌্যাম, জায়গা ও ব্যাটারি কম ব্যবহার করে। ফলে পুরোনো বা কম র‍্যামযুক্ত ফোন ব্যবহারকারীরা সহজেই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন।

৩. ভিডিও ডাউনলোডার এইচডি-ভিডো

যাঁরা দ্রুত ভিডিও ডাউনলোড করতে চান, তাঁদের জন্য ভালো অপশন হচ্ছে ভিডিও ডাউনলোডার এইচডি-ভিডো। অ্যাপটিতে ভিডিওর ইউআরএল পেস্ট করে নির্দিষ্ট রেজল্যুশনের ভিডিও ডাউনলোড করা যায়। ফোনে কম ক্ষমতার প্রসেসর থাকলেও সহজে ব্যবহার করা যায় এই অ্যাপ। সহজ ইন্টারফেসযুক্ত অ্যাপটির মাধ্যমে চাইলে সাধারণ থেকে এইচডি ফরম্যাটের ভিডিও ডাউনলোড করা সম্ভব।

৪. ভিডিওডার

ভিডিওডার অ্যাপের ইন্টারফেস আধুনিক ও কাস্টমাইজ করা যায়। ফলে বিভিন্ন ওয়েবসাইট সমর্থনের পাশাপাশি ডাউনলোড কনভার্ট করার সুযোগ দিয়ে থাকে অ্যাপটি। একসঙ্গে একাধিক ফাইল ডাউনলোডের (ব্যাচ ডাউনলোডিং) পাশাপাশি অ্যাপটি কম্পিউটারেও ব্যবহার করা যায়।

৫. হিটিউব

হিটিউব দ্রুত কাজ করে এবং মোবাইল ফ্রেন্ডলি। সহজ ইন্টারফেসের অ্যাপটি একাধিক ফরম্যাটে ফাইল ডাউনলোডের সুবিধা দেয়। একাধিক ফরম্যাট সমর্থনের পাশাপাশি ফোনে কম জায়গা দখল করে অ্যাপটি। ফলে ফোনে ধারণক্ষমতা কম থাকলেও ব্যবহার করা যায়।

৬. স্ন্যাপডাউনলোডার

ফোনের পাশাপাশি উইন্ডোজ ও ম্যাক সব অপারেটিং সিস্টেমে চলা কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায় স্ন্যাপডাউনলোডার। ক্রস প্ল্যাটফর্ম সুবিধার অ্যাপটির মাধ্যমে ৪কে ও ৮কে রেজল্যুশনে ভিডিও ডাউনলোডের পাশাপাশি ফাইল কনভার্ট ও কাস্টম নামকরণ (অটো রিনেমিং) করা সম্ভব। ফলে কম্পিউটারে বড় ভিডিও ডাউনলোডের জন্য বেশ কার্যকর এই অ্যাপ।

৭. ভিডিও ও মিউজিক ডাউনলোডার

ক্ল্যাসিক ঘরানার অ্যাপটির ইন্টারফেস সাধারণ, কিন্তু নির্ভরযোগ্য। সাধারণ ও এইচডি মানের ভিডিও ডাউনলোড করার পাশাপাশি ফাইল ম্যানেজমেন্ট সুবিধা রয়েছে অ্যাপটিতে। প্লে লিস্ট ক্যাপচার বা অটো রিনেমিং সুবিধা না থাকলেও দ্রুত ভিডিও ডাউনলোড করতে পারে অ্যাপটি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ভ ড ও ড উনল ড র ব যবহ র কর ফরম য ট র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ভিডিও ডাউনলোডের জন্য বিকল্প ৭ অ্যাপ

ব্যক্তিগত বা পেশাগত কাজের প্রয়োজনে অনেক সময় ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ বা ইনস্টাগ্রাম থেকে ভিডিও ডাউনলোড করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর এ ক্ষেত্রে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের পছন্দের অ্যাপ হচ্ছে ভিডমেট। জনপ্রিয় এই ভিডিও ডাউনলোডার অ্যাপের তুলনায় সহজে ব্যবহার উপযোগী আরও বেশ কয়েকটি অ্যাপ পাওয়া যায় অনলাইনে। ভিডমেটের বিকল্প অ্যাপগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক—

১. স্ন্যাপটিউব

স্ন্যাপটিউবকে ভিডমেটের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অ্যাপটির মাধ্যমে সহজেই ভিন্ন মাধ্যম থেকে বিভিন্ন ফরম্যাটের (এমপি৩, এম৪এ) ভিডিও ডাউনলোড করা যায়। ফলে যাঁরা নিয়মিত বিভিন্ন মাধ্যম থেকে ভিডিও ডাউনলোড করেন, তাঁদের জন্য অ্যাপটি বেশ কার্যকর। পিকচার-ইন-পিকচার সমর্থন ও ব্যাকগ্রাউন্ড ডাউনলোডের পাশাপাশি বিল্ট-ইন ফাইল ম্যানেজারের মাধ্যমে ডাউনলোড করা ভিডিও সাজিয়ে রাখা যায় অ্যাপটিতে।

২. নিউপাইপ

গোপনীয়তা নিয়ে সচেতন ব্যবহারকারীদের জন্য তৈরি নিউপাইপ অ্যাপটির ইন্টারফেস বেশ সাধারণ। এতে কোনো বিজ্ঞাপন বা পপ আপ দেখানো হয় না, ফলে বিভিন্ন বিষয়ে অনুমতিও কম দিতে হয়। শুধু তা–ই নয়, অ্যাপটি ব্যবহারের জন্য নতুন কোনো অ্যাকাউন্ট খোলার দরকার হয় না, ফলে সহজে ও নিরাপদে ব্যবহার করা যায়। এই অ্যাপের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি ফোনের র‌্যাম, জায়গা ও ব্যাটারি কম ব্যবহার করে। ফলে পুরোনো বা কম র‍্যামযুক্ত ফোন ব্যবহারকারীরা সহজেই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন।

৩. ভিডিও ডাউনলোডার এইচডি-ভিডো

যাঁরা দ্রুত ভিডিও ডাউনলোড করতে চান, তাঁদের জন্য ভালো অপশন হচ্ছে ভিডিও ডাউনলোডার এইচডি-ভিডো। অ্যাপটিতে ভিডিওর ইউআরএল পেস্ট করে নির্দিষ্ট রেজল্যুশনের ভিডিও ডাউনলোড করা যায়। ফোনে কম ক্ষমতার প্রসেসর থাকলেও সহজে ব্যবহার করা যায় এই অ্যাপ। সহজ ইন্টারফেসযুক্ত অ্যাপটির মাধ্যমে চাইলে সাধারণ থেকে এইচডি ফরম্যাটের ভিডিও ডাউনলোড করা সম্ভব।

৪. ভিডিওডার

ভিডিওডার অ্যাপের ইন্টারফেস আধুনিক ও কাস্টমাইজ করা যায়। ফলে বিভিন্ন ওয়েবসাইট সমর্থনের পাশাপাশি ডাউনলোড কনভার্ট করার সুযোগ দিয়ে থাকে অ্যাপটি। একসঙ্গে একাধিক ফাইল ডাউনলোডের (ব্যাচ ডাউনলোডিং) পাশাপাশি অ্যাপটি কম্পিউটারেও ব্যবহার করা যায়।

৫. হিটিউব

হিটিউব দ্রুত কাজ করে এবং মোবাইল ফ্রেন্ডলি। সহজ ইন্টারফেসের অ্যাপটি একাধিক ফরম্যাটে ফাইল ডাউনলোডের সুবিধা দেয়। একাধিক ফরম্যাট সমর্থনের পাশাপাশি ফোনে কম জায়গা দখল করে অ্যাপটি। ফলে ফোনে ধারণক্ষমতা কম থাকলেও ব্যবহার করা যায়।

৬. স্ন্যাপডাউনলোডার

ফোনের পাশাপাশি উইন্ডোজ ও ম্যাক সব অপারেটিং সিস্টেমে চলা কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায় স্ন্যাপডাউনলোডার। ক্রস প্ল্যাটফর্ম সুবিধার অ্যাপটির মাধ্যমে ৪কে ও ৮কে রেজল্যুশনে ভিডিও ডাউনলোডের পাশাপাশি ফাইল কনভার্ট ও কাস্টম নামকরণ (অটো রিনেমিং) করা সম্ভব। ফলে কম্পিউটারে বড় ভিডিও ডাউনলোডের জন্য বেশ কার্যকর এই অ্যাপ।

৭. ভিডিও ও মিউজিক ডাউনলোডার

ক্ল্যাসিক ঘরানার অ্যাপটির ইন্টারফেস সাধারণ, কিন্তু নির্ভরযোগ্য। সাধারণ ও এইচডি মানের ভিডিও ডাউনলোড করার পাশাপাশি ফাইল ম্যানেজমেন্ট সুবিধা রয়েছে অ্যাপটিতে। প্লে লিস্ট ক্যাপচার বা অটো রিনেমিং সুবিধা না থাকলেও দ্রুত ভিডিও ডাউনলোড করতে পারে অ্যাপটি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ