সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু শুনলে বা দেখলেই ঝাঁপিয়ে না পড়তে তারেকের পরামর্শ
Published: 7th, October 2025 GMT
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু বলা, লেখা বা সেসব বিশ্বাস করার ক্ষেত্রে সচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, কোনো মন্তব্য করার আগে এতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে কি না, তা ভাবতে হবে। পাশাপাশি কোনো কিছু দেখলেই বা শুনলেই তা বিশ্বাস না করে যাচাই–বাছাই করে দেখার কথা বলেন তিনি।
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের উত্তরে তারেক রহমান এ কথা বলেন। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব আজ মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়। এই পর্বে তারেক রহমান সংস্কার, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক, ওয়ান–ইলেভেন এবং রাজনীতির বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে আমি বলতে চাই যে অবশ্যই প্রত্যেক মানুষের অধিকার আছে। যেহেতু আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। মানুষের বাক্ ও ব্যক্তিস্বাধীনতায় আমরা বিশ্বাস করি। প্রত্যেক মানুষের অধিকার আছে, তার মতামত প্রকাশ করার। তবে আমরা যদি সকলে এতটুকু সচেতন হই যে আমি আমার মত প্রকাশ করলাম, কিন্তু এই মতপ্রকাশের ফলে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলো কি না? এই বিষয়টিকে যদি আমরা বিবেচনায় রাখি, একটি মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হলো কি না, ক্ষতিগ্রস্ত হলো কি না? এই বিষয়টিকে বোধ হয় আমাদের বিবেচনায় রাখা উচিত; এটি এক নম্বর।’
দ্বিতীয়ত, তারেক রহমান যাচাই-বাছাই করে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, ‘ফ্যাক্ট হচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়ার বহুল ব্যবহারের ফলে ডিসইনফরমেশন বা মিসইনফরমেশন, এই বিষয়ও চলে এসেছে সামনে। এ কথাও চলে এসেছে। একটি জিনিস আমি দেখলাম বা শুনলাম, সাথে সাথেই আমি সেটিতে ঝাঁপিয়ে পড়লাম, তা না করে আমার মনে হয়, ফ্যাক্ট চেক বলে যেই কথাটি আছে সোশ্যাল মিডিয়াতে, এটা সব জায়গায় আছে। এ ব্যাপারেও যদি আমরা একটু অ্যালার্ট থাকি সবাই, এ ব্যাপারে যদি একটু সচেতন থাকি যে ঠিক আছে, এটি একটু যাচাই–বাছাই করে নিই।’
এ প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘যদি সত্য হয়, অবশ্যই আমার সেখানে মতামত থাকবে, কিন্তু যদি মিথ্যা হয় বিষয়টি, কেন আমি এখানে মতামত দেব। একটি মিথ্যার সাথে আমি কেন নিজেকে সংশ্লিষ্ট করব। একটি খারাপ কিছুর সাথে কেন আমি নিজেকে সংশ্লিষ্ট করব। এটি আমি আমার মতামতটা প্রকাশ করলাম।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেকে নিয়ে তৈরি মিম বা কার্টুনকে কীভাবে দেখেন জানতে চাইলে তারেক রহমান বলেন, ‘আমি এনজয় করি বেশ, বেশ এনজয় করি।’
তারেক রহমান বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া তিনিও কমবেশি আছেন। এখানে বহু বহু মানুষ আছেন, লক্ষকোটি মানুষ আছেন। এর মাধ্যমে খুব দ্রুত একজনের সঙ্গে আরেকজনের যোগাযোগ করা যায়।
এর নেতিবাচক ব্যবহারের দিক তুলে ধরতে গিয়ে তারেক রহমান ডিনামাইটের উদাহরণ টেনে বলেন, পাহাড় ভেঙে কীভাবে মানুষের চলাচলের রাস্তাঘাট তৈরি করা যায়, কীভাবে চাষের জমি চাষ করা যায়, সে জন্য ডিনামাইট আবিষ্কৃত হয়েছিল। পরে দেখা গেলে, এটি মানুষ হত্যার মতো জঘন্য কাজেও ব্যবহার করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন ব যবহ র মত মত
এছাড়াও পড়ুন:
দাপুটে জয়ে ক্যাম্প ন্যুতে বার্সেলোনার প্রত্যাবর্তন
ফেরান তোরেসের দুর্দান্ত জোড়া গোল আর শুরুর দিকেই রবার্ট লেভানদোভস্কির আঘাত; সব মিলিয়ে দুই বছর পর ন্যু ক্যাম্পে ফিরে এসে একেবারে রাজকীয় ভঙ্গিতেই নিজেদের উপস্থিতি জানান দিল বার্সেলোনা। ১০ জনের বিলবাওকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে লা লিগায় টানা তিন জয়ের আনন্দে ভাসল কাতালানরা।
নবায়ন কাজের কারণে দীর্ঘ বিরতির পর ন্যু ক্যাম্পে এটি ছিল বার্সার প্রথম ম্যাচ। শুরুতেই যেন সেই অপেক্ষার সব ক্ষত মুছে দিলেন লেভানদোভস্কি। ম্যাচের মাত্র চার মিনিটে প্রতিপক্ষের বক্সের বাইরে বল কাড়ার পর নিচু শটে উনাই সিমোনকে পরাস্ত করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
দ্রুততম ৪৪ গোলে রোনালদোর রেকর্ড ভাঙলেন এমবাপ্পে
মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে বার্সেলোনাকে হারাল রিয়াল
এরপর দানি ওলমোর প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেয় বিলবাওয়ের রক্ষণ দেয়াল। লামিন ইয়ামালের শটও রুখে দেন সিমোন। অন্যদিকে আক্রমণে উঠেও সুযোগ নষ্ট করেন উনাই গোমেজ ও নিকো উইলিয়ামস। আয়েরিক লাপোর্তের হেডও পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।
এরপর ফেরান তোরেস ও ফিরমিন লোপেজও গোলের খোঁজে সক্রিয় হন। গার্সিয়া চোট কাটিয়ে একাদশে ফিরেই বিলবাওয়ের নিশ্চিত গোল ঠেকান।
হাফটাইমের ঠিক আগে ইয়ামালের দারুণ বাঁকানো পাসে সুযোগ পান তোরেস। নিচু শটে সিমোনকে পরাস্ত করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। সিমোন ছুঁয়ে দিলেও গোল ঠেকাতে পারেননি।
বিরতির পর মাত্র তিন মিনিটের মাথায় লোপেজ দারুণ এক প্রচেষ্টায় সোজা শটে তৃতীয় গোলটি করেন। ৫৪ মিনিটে লোপেজের ওপর বিপজ্জনক ট্যাকল করে ওইহান সানসেট লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে বিলবাওয়ের দুর্ভাগ্য আরও ঘনীভূত হয়।
এরপর ডানি ভিভিয়ান হুমকি তৈরি করলেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। পাল্টা আক্রমণে ওলমোর শটও অল্পের জন্য বাইরে যায়। ভিভিয়ান পরে আরেকবার হেডে গোল করতে উদ্যত হয়েছিলেন, তবে গার্সিয়ার গ্লাভসে আটকে যায় বল।
অবশেষে ৯০ মিনিটে ইয়ামালের সূক্ষ্ম পাস ধরে ঠান্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে ম্যাচের শেষ শব্দটি লিখে দেন ফেরান তোরেস।
দুই বছর পর ঘরের মাঠে ফিরল বার্সেলোনা। আর তোরেস-ইয়ামালরা যেন সেই আনন্দকে ফুটিয়ে তুললেন মাঠজুড়ে গোলের আতশবাজিতেই।
ঢাকা/আমিনুল