বায়ুদূষণে আজ বুধবার সকালে বিশ্বের ১২৫টি নগরীর মধ্যে ঢাকার অবস্থান সপ্তম।  রাজধানীতে আজ সকাল আটটার দিকে আইকিউএয়ারের ঢাকার গড় বায়ুমান ১৩৭। এই মান সংবেদনশীল গোষ্ঠী অর্থাৎ বয়স্ক মানুষ, গর্ভবতী নারী, শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তির জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। রাজধানীর তিন স্থানে আজ বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর।

বায়ুদূষণে আজ বিশ্বের নগরীগুলোর মধ্যে শীর্ষ স্থানে আছে মিশরের রাজধানী কায়রো, স্কোর ১৮১।

বায়ুদূষণে ঢাকার এই অবস্থান তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।

আজ সকালে বৃষ্টি নেই। গতকালও অবশ্য বৃষ্টি হয়েছিল। আর বৃষ্টি হলে ঢাকার দূষণের মান কমে যায়। প্রাকৃতিক এ ঘটনা ছাড়া দূষণ রোধে আর কোনো ব্যবস্থাই আসলে কার্যকর নেই বলেই মনে করেন দূষণ বিশেষজ্ঞরা। সরকারি নানা উদ্যোগ ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে। বৃষ্টি হলে নগরীর দূষণ কমে কয়েক দিন, তারপর আবার বাড়ে। জুলাই সবচেয়ে কম দূষণের মাস। বৃষ্টি থাকার পরও গত সেপ্টেম্বর মাসে একাধিক দিন ঢাকার দূষণ বেড়েছে। দুয়েক দিন বিশ্বের শীর্ষ দূষিত নগরীর তালিকাতেও থেকেছে। চলতি অক্টোবর মাস থেকেই সাধারণত দূষণ বাড়তে থাকে।

নগরীর তিন স্থানে দূষণ পরিস্থিতি বেশ খারাপ। এর মধ্যে আছে কল্যাণপুর, মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং এবং মিরপুরেরই শিয়ালবাড়ি সরকারি অফিসার্স কোয়ার্টার। এসব এলাকার বায়ুর স্কোর যথাক্রমে ২০০, ১৮৬ ও ১৮১। এ মান অস্বাস্থ্যকর।

নগরবাসীর জন্য পরামর্শ

আজ ঢাকার যে বায়ুমান, তার পরিপ্রেক্ষিতে নগরবাসীর জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছে আইকিউএয়ার। এর মধ্যে আছে ঘরের বাইরে গেলে বিশেষ করে সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর মানুষদের অবশ্যই মাস্ক পরে যেতে হবে, জানালা বন্ধ রাখতে হবে, ঘরের বাইরে ব্যায়াম যতটুকু সম্ভব এড়িয়ে যেতে হবে। আর যেসব এলাকায় বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর সেসব এলাকায় অবশ্যই বাড়ির বাইরে গেলে মাস্ক পরতে হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: নগর র

এছাড়াও পড়ুন:

করদাতার ১০ খাতের আয়ে কর বসে, আয়ের খাতগুলো কী কী

এ দেশে একজন করদাতাকে তাঁর বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্নে আয়ের খাতগুলো দেখাতে হয়। আপনি কোন কোন খাত থেকে সারা বছরে আয় করলেন, তা রিটার্ন ফরমে দেখিয়ে দিতে হয়। এ জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়কর জমার রিটার্ন ফরমে একজন করদাতার মোট আয়কে ১০ ধরনের আয় দিয়ে বিভাজন করেছে।

এর মানে হলো, ওই ১০ ধরনের আয় রিটার্ন ফরমে লিখে মোট আয় নির্ধারণ করতে হবে। পরে ওই আয়ের ওপর নিয়ম অনুসারে কর বসবে। তবে একজন করদাতার ওই ১০টি খাতের সব কটিতে আয় না–ও থাকতে পারে। তাই সব খাতেই আয় থাকতে হবে, বিষয়টি তেমন নয়।

একজন করদাতা আইটি ১১গ (২০২৩) রিটার্নের খাতভিত্তিক আয়ের বিবরণ ও মোট আয় নির্ধারণ করতে পারবেন।

৩০ নভেম্বর বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমার সময় শেষ হচ্ছে।

এবার দেখা যাক, ওই ১০টি আয়ের খাত কী কী; যার ভিত্তিতে করদাতার মোট আয় নির্ধারিত হয়।

১. চাকরি থেকে আয়

সরকারি, বেসরকারি বা যেকোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে অর্জিত বেতন, ভাতা, বোনাস, ইনসেনটিভসহ সব ধরনের পারিশ্রমিক এই খাতে দেখাতে হয়।

২. ভাড়া থেকে আয়

বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান বা অন্য যেকোনো সম্পত্তি ভাড়া দিয়ে বছরে যে আয় হয়, তা এখানে উল্লেখ করতে হবে।

৩. কৃষি থেকে আয়

কৃষিজমি, ফসল, ফল, সবজি, পশুপালন বা যেকোনো কৃষিকাজ থেকে অর্জিত আয় এই খাতে অন্তর্ভুক্ত।

৪. ব্যবসা থেকে আয়

ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্যবসা বা পেশাগত কার্যক্রম (যেমন ডাক্তার, আইনজীবী, পরামর্শক ইত্যাদি) থেকে প্রাপ্ত আয় এখানে দেখানো হয়।

৫. মূলধনি আয়

মুনাফা, ভাড়া, রয়্যালটি, সুদ বা অন্য সব মূলধনি সম্পদের ব্যবহারের বিনিময়ে অর্জিত আয় এই খাতে পড়ে।

৬. আর্থিক পরিসম্পদ থেকে আয়

ব্যাংকের সুদ বা মুনাফা, লভ্যাংশ, সঞ্চয়পত্রের মুনাফা, ট্রেজারি বন্ড বা সিকিউরিটিজ থেকে আয় এই অংশে উল্লেখ করতে হয়।

৭. অন্যান্য উৎসের আয়

রয়্যালটি, লাইসেন্স ফি, সম্মানী, ফি, সরকার প্রদত্ত নগদ ভর্তুকি বা যেকোনো বিচ্ছিন্ন ধরনের আয় এই খাতে পড়ে।

৮. ফার্ম বা ব্যক্তিসংঘের আয় থেকে প্রাপ্য অংশ

পার্টনারশিপ ব্যবসা বা ব্যক্তিসংঘের সদস্য হিসেবে যে আয় প্রাপ্য হয়, তা এখানে যোগ করতে হয়।

৯. অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তান, স্ত্রী বা স্বামীর আয়

যদি পরিবারের সদস্যদের কেউ করদাতা না হন এবং তাঁদের আয় করদাতার সঙ্গে যোগ হয়, তাহলে সেই আয়ের অংশ এই খাতে দেখাতে হয়।

১০. বিদেশে অর্জিত করযোগ্য আয়

বিদেশে কাজ, বিনিয়োগ বা সম্পদ থেকে অর্জিত করযোগ্য আয় থাকলে তা এই অংশে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ