মাটির দলা আঙুলের চাপে হয়ে ওঠে শিল্পকর্ম। শোনা যায়, গ্রামীণ জীবনে অবসর কাটানোর জন্য মানুষ প্রথমে খেলনার মতো ছোট ছোট মাটির পুতুল বানাতে শুরু করে। ধীরে ধীরে পূজা-পার্বণ ও সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানের অংশ হয়ে ওঠে এই পুতুল। মৃৎশিল্পী নরম মাটি দিয়ে প্রথমে মাথা, শরীর ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তৈরি করেন, তারপর আঙুলে টিপে টিপে আকার দেন। শেষে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে আঁকা হয় সূক্ষ্ম নকশা। কখনো রোদে শুকিয়ে, কখনো চুলায় পুড়িয়ে পুতুলকে শক্ত করা হয়। যেহেতু দুই আঙুলের চাপে টিপে টিপে এই মাটির পুতুল তৈরি করা হয়। তাই একে বলা হয় টেপাপুতুল।

মা-সন্তান, নারী-পুরুষ, কুকুর-বিড়াল, মাছ-নৌকা, হাতি-ঘোড়া, ফুল-গাছ, বাউল, ঢাক বাজাচ্ছেন ঢাকি, খেতে কাজ করছেন কিষানি, হরিণ, বিড়ালের গলা থেকে কাঁটা বের করছে বক কিংবা রান্না করছেন মা—কত ধরনের পুতুলই না আছে। আগে রঙের ব্যবহারও ছিল প্রকৃতিনির্ভর। লাল, হলুদ, নীল, সবুজ ও সাদা ছিল প্রধান রং। তবে আজকাল বাজারে সহজলভ্য কৃত্রিম রং দিয়েও এগুলো সাজানো হচ্ছে।

আরও পড়ুনদীর্ঘদিন সুস্থ শরীর পেতে চাইলে হার্ভার্ডের গবেষণা অনুযায়ী এই ৫ অভ্যাস চর্চা করুন১২ ঘণ্টা আগেখেলা থেকে সাজেগয়নায় টেপা পুতুলের ব্যবহার.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দাপুটে জয়ে ক্যাম্প ন্যুতে বার্সেলোনার প্রত্যাবর্তন

ফেরান তোরেসের দুর্দান্ত জোড়া গোল আর শুরুর দিকেই রবার্ট লেভানদোভস্কির আঘাত; সব মিলিয়ে দুই বছর পর ন্যু ক্যাম্পে ফিরে এসে একেবারে রাজকীয় ভঙ্গিতেই নিজেদের উপস্থিতি জানান দিল বার্সেলোনা। ১০ জনের বিলবাওকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে লা লিগায় টানা তিন জয়ের আনন্দে ভাসল কাতালানরা।

নবায়ন কাজের কারণে দীর্ঘ বিরতির পর ন্যু ক্যাম্পে এটি ছিল বার্সার প্রথম ম্যাচ। শুরুতেই যেন সেই অপেক্ষার সব ক্ষত মুছে দিলেন লেভানদোভস্কি। ম্যাচের মাত্র চার মিনিটে প্রতিপক্ষের বক্সের বাইরে বল কাড়ার পর নিচু শটে উনাই সিমোনকে পরাস্ত করেন তিনি।

আরো পড়ুন:

দ্রুততম ৪৪ গোলে রোনালদোর রেকর্ড ভাঙলেন এমবাপ্পে

মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে বার্সেলোনাকে হারাল রিয়াল

এরপর দানি ওলমোর প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেয় বিলবাওয়ের রক্ষণ দেয়াল। লামিন ইয়ামালের শটও রুখে দেন সিমোন। অন্যদিকে আক্রমণে উঠেও সুযোগ নষ্ট করেন উনাই গোমেজ ও নিকো উইলিয়ামস। আয়েরিক লাপোর্তের হেডও পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।

এরপর ফেরান তোরেস ও ফিরমিন লোপেজও গোলের খোঁজে সক্রিয় হন। গার্সিয়া চোট কাটিয়ে একাদশে ফিরেই বিলবাওয়ের নিশ্চিত গোল ঠেকান।

হাফটাইমের ঠিক আগে ইয়ামালের দারুণ বাঁকানো পাসে সুযোগ পান তোরেস। নিচু শটে সিমোনকে পরাস্ত করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। সিমোন ছুঁয়ে দিলেও গোল ঠেকাতে পারেননি।

বিরতির পর মাত্র তিন মিনিটের মাথায় লোপেজ দারুণ এক প্রচেষ্টায় সোজা শটে তৃতীয় গোলটি করেন। ৫৪ মিনিটে লোপেজের ওপর বিপজ্জনক ট্যাকল করে ওইহান সানসেট লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে বিলবাওয়ের দুর্ভাগ্য আরও ঘনীভূত হয়।

এরপর ডানি ভিভিয়ান হুমকি তৈরি করলেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। পাল্টা আক্রমণে ওলমোর শটও অল্পের জন্য বাইরে যায়। ভিভিয়ান পরে আরেকবার হেডে গোল করতে উদ্যত হয়েছিলেন, তবে গার্সিয়ার গ্লাভসে আটকে যায় বল।

অবশেষে ৯০ মিনিটে ইয়ামালের সূক্ষ্ম পাস ধরে ঠান্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে ম্যাচের শেষ শব্দটি লিখে দেন ফেরান তোরেস।

দুই বছর পর ঘরের মাঠে ফিরল বার্সেলোনা। আর তোরেস-ইয়ামালরা যেন সেই আনন্দকে ফুটিয়ে তুললেন মাঠজুড়ে গোলের আতশবাজিতেই।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ