পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল এবং সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার যুবক সোহাগ হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী কওমী ছাত্র আন্দোলন নামের একটি সংগঠন। সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, দ্রুত ও ন্যায়সংগত তদন্ত সম্পন্ন করে অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার সাহস না পায়।

আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী কওমী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখা। সেখানে সংগঠনটির নেতারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী কওমী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ হিজবুল্লাহ বলেন, দ্রুত ও ন্যায়সংগত তদন্ত সম্পন্ন করে অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার সাহস না পায়। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোকে অবিলম্বে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

ভারত অখুশি হবে বলে অপূর্ব পালকে মৃত্যুদণ্ড না দিলে তা সবচেয়ে বড় ভুল হবে—এমন মন্তব্য করেন সংগঠনের ঢাকা মহানগর শাখার আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, কোরআন মুসলিম উম্মাহর আধ্যাত্মিক প্রাণ। এই পবিত্র কিতাবকে অবমাননার অর্থ গোটা মুসলিম জাতির হৃদয়ে আঘাত করা। এ ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড দেশজুড়ে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক র যকর

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়ির সহিংসতা তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি এইচআরএফবির

খাগড়াছড়িতে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও অপরাধীদের জবাবদিহি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)।

মঙ্গলবার সংগঠনটির সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই দাবি জানান। সাক্ষাৎ শেষে মানবাধিকার সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এইচআরএফবি জানায়, খাগড়াছড়ি জেলায় এক মারমা কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে বলপ্রয়োগ ও সংঘর্ষের সময় তিনজন আদিবাসী তরুণ নিহত হন। পাশাপাশি স্থানীয় আদিবাসী নাগরিকদের বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগের ঘটনার বিষয়ে প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ ছাড়া প্রতিনিধিদল সহিংসতার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের পাশাপাশি অপরাধীদের জবাবদিহি এবং অতিরিক্ত বলপ্রয়োগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন, গুইমারায় শান্তি ও আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, আদিবাসীদের জীবন ও সাংস্কৃতিক অধিকার রক্ষার বিষয়ে আলোচনা করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রতিনিধিদল ওই এলাকার পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য অবিলম্বে সরকারের কার্যকর হস্তক্ষেপ ও পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান। পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগ ও নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনকে নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের সমস্যাগুলোর টেকসই সমাধানের উপায় খোঁজার জন্য একটি জাতীয় সম্মেলন আয়োজনের আহ্বান জানান।

সাত সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশের (এইচআরএফবি) স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য এবং বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, ব্লাস্টের পরিচালক মাহবুবা আখতার, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ও এইচআরএফবির সদস্য ইফতেখারুজ্জামান, কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও এইচআরএফবির সদস্য পল্লব চাকমা, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী ও এইচআরএফবির স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য জাকির হোসেন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও এইচআরএফবির সদস্য বনশ্রী মিত্র নিয়োগী, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) উপদেষ্টা মাবরুক মোহাম্মদ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খাগড়াছড়ির সহিংসতা তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি এইচআরএফবির
  • পুলিশের ওপর একের পর এক হামলা, উদ্বেগে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন