পবিত্র কোরআন অবমাননায় অভিযুক্ত দুই যুবকের মৃত্যুদণ্ড চায় বৈষম্যবিরোধী কওমী ছাত্র আন্দোলন
Published: 8th, October 2025 GMT
পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল এবং সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার যুবক সোহাগ হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী কওমী ছাত্র আন্দোলন নামের একটি সংগঠন। সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, দ্রুত ও ন্যায়সংগত তদন্ত সম্পন্ন করে অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার সাহস না পায়।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী কওমী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখা। সেখানে সংগঠনটির নেতারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী কওমী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ হিজবুল্লাহ বলেন, দ্রুত ও ন্যায়সংগত তদন্ত সম্পন্ন করে অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার সাহস না পায়। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোকে অবিলম্বে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
ভারত অখুশি হবে বলে অপূর্ব পালকে মৃত্যুদণ্ড না দিলে তা সবচেয়ে বড় ভুল হবে—এমন মন্তব্য করেন সংগঠনের ঢাকা মহানগর শাখার আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, কোরআন মুসলিম উম্মাহর আধ্যাত্মিক প্রাণ। এই পবিত্র কিতাবকে অবমাননার অর্থ গোটা মুসলিম জাতির হৃদয়ে আঘাত করা। এ ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড দেশজুড়ে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক র যকর
এছাড়াও পড়ুন:
করদাতার ১০ খাতের আয়ে কর বসে, আয়ের খাতগুলো কী কী
এ দেশে একজন করদাতাকে তাঁর বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্নে আয়ের খাতগুলো দেখাতে হয়। আপনি কোন কোন খাত থেকে সারা বছরে আয় করলেন, তা রিটার্ন ফরমে দেখিয়ে দিতে হয়। এ জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়কর জমার রিটার্ন ফরমে একজন করদাতার মোট আয়কে ১০ ধরনের আয় দিয়ে বিভাজন করেছে।
এর মানে হলো, ওই ১০ ধরনের আয় রিটার্ন ফরমে লিখে মোট আয় নির্ধারণ করতে হবে। পরে ওই আয়ের ওপর নিয়ম অনুসারে কর বসবে। তবে একজন করদাতার ওই ১০টি খাতের সব কটিতে আয় না–ও থাকতে পারে। তাই সব খাতেই আয় থাকতে হবে, বিষয়টি তেমন নয়।
একজন করদাতা আইটি ১১গ (২০২৩) রিটার্নের খাতভিত্তিক আয়ের বিবরণ ও মোট আয় নির্ধারণ করতে পারবেন।
৩০ নভেম্বর বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমার সময় শেষ হচ্ছে।
এবার দেখা যাক, ওই ১০টি আয়ের খাত কী কী; যার ভিত্তিতে করদাতার মোট আয় নির্ধারিত হয়।
১. চাকরি থেকে আয়
সরকারি, বেসরকারি বা যেকোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে অর্জিত বেতন, ভাতা, বোনাস, ইনসেনটিভসহ সব ধরনের পারিশ্রমিক এই খাতে দেখাতে হয়।
২. ভাড়া থেকে আয়
বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান বা অন্য যেকোনো সম্পত্তি ভাড়া দিয়ে বছরে যে আয় হয়, তা এখানে উল্লেখ করতে হবে।
৩. কৃষি থেকে আয়
কৃষিজমি, ফসল, ফল, সবজি, পশুপালন বা যেকোনো কৃষিকাজ থেকে অর্জিত আয় এই খাতে অন্তর্ভুক্ত।
৪. ব্যবসা থেকে আয়
ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্যবসা বা পেশাগত কার্যক্রম (যেমন ডাক্তার, আইনজীবী, পরামর্শক ইত্যাদি) থেকে প্রাপ্ত আয় এখানে দেখানো হয়।
৫. মূলধনি আয়
মুনাফা, ভাড়া, রয়্যালটি, সুদ বা অন্য সব মূলধনি সম্পদের ব্যবহারের বিনিময়ে অর্জিত আয় এই খাতে পড়ে।
৬. আর্থিক পরিসম্পদ থেকে আয়
ব্যাংকের সুদ বা মুনাফা, লভ্যাংশ, সঞ্চয়পত্রের মুনাফা, ট্রেজারি বন্ড বা সিকিউরিটিজ থেকে আয় এই অংশে উল্লেখ করতে হয়।
৭. অন্যান্য উৎসের আয়
রয়্যালটি, লাইসেন্স ফি, সম্মানী, ফি, সরকার প্রদত্ত নগদ ভর্তুকি বা যেকোনো বিচ্ছিন্ন ধরনের আয় এই খাতে পড়ে।
৮. ফার্ম বা ব্যক্তিসংঘের আয় থেকে প্রাপ্য অংশ
পার্টনারশিপ ব্যবসা বা ব্যক্তিসংঘের সদস্য হিসেবে যে আয় প্রাপ্য হয়, তা এখানে যোগ করতে হয়।
৯. অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তান, স্ত্রী বা স্বামীর আয়
যদি পরিবারের সদস্যদের কেউ করদাতা না হন এবং তাঁদের আয় করদাতার সঙ্গে যোগ হয়, তাহলে সেই আয়ের অংশ এই খাতে দেখাতে হয়।
১০. বিদেশে অর্জিত করযোগ্য আয়
বিদেশে কাজ, বিনিয়োগ বা সম্পদ থেকে অর্জিত করযোগ্য আয় থাকলে তা এই অংশে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।