সিদ্ধিরগঞ্জে ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্প্রে ছিটানোসহ সচেতনতায় লিফট বিতরণ
Published: 8th, October 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আদমজীনগর বেহারী কলোনী, সুমিলপাড়া, এসও, বার্মাশীল, সোনামিয়া মার্কেট সহ বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্প্রে ছিটানোসহ জনসাধারনের উদ্দেশ্যে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়েছে।
বুধবার (৮ অক্টোবর) দিনব্যাপী ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন এ কর্মসূচীর আয়োজন করেন। এসময় রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নরে লক্ষে লিফলেটও বিতরণ করা হয়েছে। ্িবতরণের সময় বিএনপি নেতৃবৃন্দ ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে জনসাধারণকে তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার সালাম জানান।
এতে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক আখতারুজ্জামান মৃধা সিনিঃ সহ-সভাপতি কামাল হোসেন, ওয়াশিম আসলাম,সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুন খন্দকার, ৬নং ওয়ার্ড যুবদলের সহ-সভাপতি হানিফ ব্যাপারী স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা হুমায়ুনসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমূখ।।
ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বলেন, সারাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। এর ফলে মৃত্যুও বাড়ছে। ডেঙ্গু রোধে অধ্যাপক মামুন মাহমুদের নির্দেশনায় আমরা বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গু নিধন ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নিয়েছি এবং বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছি।
আমাদের এলাকায় মাদক বড় একটি সমস্যা। সকলের সচেতনতায় এবং সহযোগীতা মাদক নির্মূলেও আমরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবো, ইনশা-আল্লাহ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
আমি কোনো মিডিয়া যেহেতু বন্ধ করব না, আমি নতুন মিডিয়া দেব: তথ্য উপদেষ্টা
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের নীতি হলো কোনো গণমাধ্যম বন্ধ করা হবে না। আর যেহেতু বন্ধ করা হবে না, তাই নতুন গণমাধ্যমের অনুমোদন দেওয়া হবে, যাতে বাজার প্রতিযোগিতামূলক হয়।
আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (অ্যাটকো) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তথ্য উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
মাহফুজ আলম বলেন, ‘গত ১৫ বছরে যতগুলো টিভির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, অবশ্যই রাজনৈতিকভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীকালে সেগুলো কী ভূমিকা পালন করেছে, আপনারা জানেন। এখানে অবশ্যই পক্ষপাত ছিল।’
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, এই সরকারের নীতি হচ্ছে কোনো গণমাধ্যম বন্ধ হবে না। ফলে প্রক্রিয়াটি কী? নতুন যে প্রজন্ম, যারা এই গণ-অভ্যুত্থান করেছে বা যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী, তাদের স্পেস (জায়গা) তৈরি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে নতুন গণমাধ্যম দেওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো মিডিয়া যেহেতু বন্ধ করব না, আমি নতুন মিডিয়া দেব।’
প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা আরও বলেন, নতুন আইনে দিতে পারলে সবচেয়ে সুখবর হতো। কিন্তু নতুন আইন করতে হলে এই সরকারের আমলে বা এই পুরো ব্যবস্থার ভেতর কখনো নতুন গণমাধ্যম আসতে পারবে না। নতুন গণমাধ্যম এলে বাজার প্রতিযোগিতামূলক হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অ্যাটকোর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় সভার বিষয়বস্তু জানানো হয়।
মতবিনিময় সভায় দেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোর নিজস্ব আচরণবিধি (কোড অব কনডাক্ট) প্রণয়ন করে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
আরও পড়ুনপুরোনো প্রক্রিয়ায় নতুন দুটি টিভি চ্যানেলের লাইসেন্স, কারা পেল ০৭ অক্টোবর ২০২৫এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো তাদের আচরণবিধি জনসমক্ষে প্রকাশ করলে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারবে, তারা সেটি মেনে চলছে কি না। এতে চ্যানেলগুলোর জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা বাড়বে।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, কেবল টিভি ডিজিটালাইজ করার জন্য ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করা হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে স্বল্প সময়ের মধ্যে আবার সভা করা হবে। সংশ্লিষ্ট অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে কেবল টিভি ডিজিটালাইজেশনের বিষয়ে সরকার একটি নীতিমালা প্রণয়ন করবে।
মাহফুজ আলম বলেন, টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট (টিআরপি) বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে দ্রুত একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুনটিভির লাইসেন্স নিয়ে সারজিস ও আজাদ মজুমদারের বক্তব্যে যে বিষয় নেই৬ ঘণ্টা আগেমতবিনিময় সভায় অ্যাটকোর প্রতিনিধিরা কেবল টিভি ডিজিটালাইজেশনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তাঁরা কেবল টিভিকে ডিজিটালে রূপান্তরের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। বেসরকারি টিভি চ্যানেলের জন্য কোনো আইন বা নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের মতামত নেওয়ার জন্য অ্যাটকোর পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সভায় অ্যাটকোর নেতারা বলেন, বর্তমানে বেসরকারি চ্যানেলের ওপর সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ বা চাপ নেই।
মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, অ্যাটকোর কোষাধ্যক্ষ জহির উদ্দীন মাহমুদ, পরিচালক মোস্তফা কামাল, পরিচালক আবদুস সালাম, পরিচালক নাভিদুল হক ও পরিচালক টিপু আলম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনবেসরকারি টেলিভিশনের রাজনৈতিক লাইসেন্স১৯ অক্টোবর ২০১৩