বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে গিয়ে দোয়া করেছেন দলটির চেয়ারপারসন ও জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী খালেদা জিয়া।

বিএনপির একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া বুধবার রাত ১০টায় গুলশানের বাসভবন থেকে শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরের উদ্দেশে যাত্রা করেন। রাত ১১টার দিকে শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে তাঁর গাড়িবহর দেখা যায়। তিনি সেখানে রাত ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত অবস্থান করেন। সেখানে স্বামীর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন তিনি।

খালেদা জিয়ার উপস্থিতির খবর ছড়িয়ে পড়লে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবর এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন। এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ অন্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

পূর্বঘোষিত কোনো কর্মসূচি ছাড়া জিয়াউর রহমানের কবরে খালেদা জিয়ার আসার কারণ জানতে চাইলে দলটির নেতা এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা কোনো আনুষ্ঠানিকতা নয়। ম্যাডাম তাঁর হাজব্যান্ডের (স্বামীর) কবরে দোয়া করার জন্য এসেছেন।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

রাশিয়া–ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থমকে গেছে

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে আলোচনা করতে গত আগস্টে বৈঠকে বসেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দুই নেতার ওই বৈঠকের পর যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে আশার আলো দেখা গিয়েছিল। কিন্তু বৈঠকের প্রায় দুই মাস পেরোলেও সংঘাত বন্ধে কোনো লক্ষণ চোখে পড়ছে না। উল্টো রাশিয়া-ইউক্রেন দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে প্রাণহানির পাশাপাশি অবকাঠামোও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর মধ্যে গতকাল বুধবার রাশিয়া বলেছে, ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠক সত্ত্বেও ইউক্রেনে শান্তিচুক্তি অর্জনের গতি ‘কমে গেছে’।

যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজ শহরের একটি বিমানঘাঁটিতে দুই শীর্ষ নেতা সাক্ষাৎ করেছিলেন। তবে সাড়ে তিন বছর ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কোনো ধরনের চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেননি তাঁরা। এরপর লড়াই বন্ধে কূটনৈতিক প্রচেষ্টাও ভেস্তে গেছে।

রুশ সংবাদ সংস্থাগুলো গতকাল রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভের একটি বক্তব্য প্রকাশ করেছে। তিনি বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের স্বীকার করতে হবে যে চুক্তির পক্ষে (ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে) অ্যাঙ্কোরেজে যে শক্তিশালী গতির সৃষ্টি হয়েছিল, তা হারিয়ে গেছে।’ তিনি এ অচলাবস্থার জন্য ইউরোপকে দায়ী করেছেন। তারা শেষ পর্যন্ত ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এ বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় দফায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন ট্রাম্প। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যেই’ ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু যুদ্ধ থামাতে পুতিনের আপাত অনিচ্ছায় তিনি ক্রমেই বিরক্ত হয়ে উঠেছেন।

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ফক্স নিউজকে জানান, ইউক্রেনে দূরপাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর কথা বিবেচনা করছে ওয়াশিংটন। ওয়াশিংটনের এমন সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন রিয়াবকভ। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠালে ইউক্রেনকে ভয়াবহ পরিণতি বরণ করতে হবে।

রিয়াবকভ আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন কিছু করলে রাশিয়া দ্রুত পারমাণবিক পরীক্ষা চালাবে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের পারমাণবিক পরীক্ষামূলক অবকাঠামো প্রস্তুত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

পাঁচ হাজার বর্গকিলোমিটার ভূখণ্ড রাশিয়ার দখলে

যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই গত মঙ্গলবার পুতিন বলেছেন, রুশ বাহিনী চলতি বছর ইউক্রেনের প্রায় পাঁচ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করেছে। মস্কো যুদ্ধক্ষেত্রে সম্পূর্ণ কৌশলগত প্রভাব ধরে রেখেছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ