সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সুন্দর নারায়ণগঞ্জ গড়তে চাই : এড. সাখাওয়াত
Published: 11th, October 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই দেশে সুশাসন, জবাবদিহিমূলক প্রশাসন ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে। আগামী নির্বাচনে জনগণ যদি ভালোবেসে বিএনপিকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করে, তাহলে বিএনপি সেই দফাগুলোর মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটাবে ইনশাল্লাহ।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন নারায়ণগঞ্জ সদর থানা অন্তর্গত ১৮নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মীসভা ও বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নে লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শনিবার ( ১১ অক্টোবর ) বিকেল চারটায় শহরের ১৮নং ওয়ার্ডের শীতলক্ষ্যার মোড়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, “জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস—এই আদর্শে বিশ্বাসী বিএনপি জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে থেকে কাজ করছে। যারা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাদের বিএনপিতে স্থান নেই। আমরা সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সুন্দর নারায়ণগঞ্জ গড়তে চাই।”
এড.
মহানগর ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি'র সভাপতি শাহজালাল সরদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আল আরিফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম সরদার, গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এড. নুরুল কাদির সোহাগ, সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন শাহিন মাদবর, সহ- সভাপতি আলতাফ মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন জাকির, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ নাসির উদ্দিন, সদর থানা শ্রমিকদলের আহ্বায়ক অলক ইসলাম, সদস্য সচিব নাসির সরদার, বিএনপি নেতা কাজী সেজান, ছাত্রদল নেতা আনোয়ারুল ইসলাম নাঈম প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: সন ত র স ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স সদর থ ন রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
পিআর পদ্ধতিতে জনগণের কোনো সুবিধা নেই: মঈন খান
পিআর পদ্ধতি দলীয় কিছু আসন বৃদ্ধি ছাড়া জনগণের জন্য কোনো সুবিধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
ড. মঈন খান বলেন, “আমি কেন পিআর চাচ্ছি? একটু যদি আমরা খোলাখুলি বলি, পিআরটা চাচ্ছি এই কারণে যে, আমি পার্লামেন্টে কিছু বেশি সিট (আসন) পাব, এর বাইরে কিছু নাই। এখন আমি পার্লামেন্টে অধিকতর ক্ষমতাবান হব, অধিক সিট পাব সেই কারণে মানুষের মৌলিক যে দাবি সেটাকে আমি অগ্রাহ্য করব? এটা তো গণতন্ত্রের ভাষা নয়। কাজেই সেই দিক থেকে এটা সেলফ কনট্রাডিক্টরি। আসুন, মানুষের কল্যাণে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করি, এখানে খোলা মন নিয়ে কাজ করতে হবে।”
আরো পড়ুন:
ভেদাভেদ ভুলে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করতে হবে: দুলু
জনতা চায় নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, এটিই আমাদের লক্ষ্য: ফখরুল
আব্দুল মঈন খান বলেন, “দেখুন, পিআর করার অর্থটা কি? পিআর হচ্ছে ব্যক্তির যে অবস্থান সেটাকে দুর্বল করে দলের অবস্থানকে আরো শক্তিশালী করে দিচ্ছে অর্থাৎ মানুষ ভোট দিবে দলকে এবং দল নির্ধারণ করে দেবে কে প্রার্থী হবেন।”
ড. মঈন খান বলেন, “তাহলে কি হচ্ছে? আমাদের যে মৌলিক চিন্তাধারা, জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে এবং জনগণের প্রতিনিধিরা সরাসরি জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে সেইটা তো তাহলে আর থাকছে না। দলকে শক্তিশালী করে দিতে আমরা জনপ্রতিনিধিকে দুর্বল করে দিয়ে সেখানে একটি দলকে যদি আমরা শক্তিশালী করে দেই তাহলে কিন্তু মানুষের যে সিস্টেমটা তৈরি হবে সেটাও কিন্তু একটা সেলফ কন্ট্রাডিকশন। সেলফ কন্ট্রাডিকশন এই কারণে যে মানুষ সাধারণ মানুষের যে প্রত্যাশা, সেটা হচ্ছে এই, দল যেন অতিরিক্ত শক্তিশালী না হয়, বিশেষ করে বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক ইতিহাস আমরা বিগত ৫৪ বছরে দেখেছি। যখনই দল বেশি শক্তিশালী হয়ে গেছে তখনই কিন্তু জনগণের জন্য দুর্যোগ নেমে এসেছে।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ