ইবিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
Published: 12th, October 2025 GMT
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ক্লাস করতে আসা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করেছে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
রবিবার (১২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন ভবনের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে ইবি থানায় সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরো পড়ুন:
ইঁদুর মারার ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল বর্গা চাষির
বান্দরবান সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে বিজিবি সদস্য আহত
আটক ছাত্রলীগ নেতা হলেন অর্থনীতি বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী হুসাইন তুষার। তিনি ইবি শাখা ছাত্রলীদের সহ-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি শাহ আজিজুর রহমান হলের (তৎকালীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল) ২১৩ নম্বর রুমে থাকতেন।
জানা যায়, ছাত্রলীগ নেতা তুষার রবিবার অর্থনীতি বিভাগে মাস্টার্সের ক্লাস করতে আসেন। এ সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে মীর মোশাররফ হোসেন ভবনের সামনে দেখতে পেয়ে আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসেন।
শাখা ছাত্রদলের সদস্য রাফিজ আহমেদ বলেন, “এই ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালে বিভিন্ন অপকর্ম করেছে। শিক্ষার্থীদের হুমকি ধামকি দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদন্ত কমিটির লিস্টে অনেকেরই নাম আসেনি। শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নামে শোকজ নোটিশ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ছাত্রলীগ এখন আবার সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।”
আটক ছাত্রলীগ নেতা হুসাইন তুষার বলেন, “আমার অনার্স শেষ হয়েছে। পূর্বে শুধু পরীক্ষা দিতে এসেছিলাম। তখন কেউ কিছু বলেনি। আজ মাস্টার্সের পরীক্ষা দিতে এলে তারা আমকে আটক করে।”
প্রক্টর অধ্যাপক ড.
ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, “তিনি বর্তমানে আমাদের হেফাজতে আছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেমন বলবে, আমরা সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল আটক
এছাড়াও পড়ুন:
‘বেগম খালেদা জিয়ার হার্ট ও চেস্টে ইনফেকশন হয়েছে’
বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আবারো ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার হার্ট ও চেস্টে ইনফেকশন হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। রবিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে হাসপাতালের সামনে তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের একথা জানান।
এমএফ সিদ্দিকী বলেন, “গত কয়েক মাস ধরেই উনি খুব ঘন ঘন আক্রান্ত হচ্ছিলেন। আজকে আমরা যে কারণে এখানে (এভারকেয়ার হাসপাতালে) ভর্তি করিয়েছি সেটা হচ্ছে, উনার কতগুলো সমস্যা একসঙ্গে দেখা দিয়েছে। সেটা হচ্ছে, উনার চেস্টে ইনফেকশন হয়েছে।”
আরো পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৬
ভূমিকম্পে হুড়োহুড়িতে আহত ২৯ শ্রমিক এখনো হাসপাতালে
‘উনার হার্টের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। উনার হার্টে পারমানেন্ট পেসমেকার আছে এবং হার্টে উনার স্ট্যান্ডিং করা হয়েছিল, রিং পড়ানো হয়েছিল। তারপরেও উনার মাইট্রোস্টেনোসিস নামে একটা কন্ডিশন আছে, সেজন্য চেস্টে হওয়াতে উনার একসাথে হার্ট এবং ফুসফুস দুটোই এ্যাট এ টাইম আক্রান্ত হওয়াতে উনার খুব রেসপিরেটরি ডিস্ট্রেস হচ্ছিল। সেজন্য এখানে আমরা খুব দ্রুত ওনাকে নিয়ে এসেছি।”
বেগম খালেদা জিয়া ২৪ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন জানিয়ে এফএম সিদ্দিকী বলেন, “হাসপাতালে আনার পর আমরা তাৎক্ষণিকভাবে যে পরীক্ষাগুলো করা দরকার তা করেছি। আমরা প্রাথমিকভাবে যে রিপোর্ট পেয়েছি, সে অনুযায়ী মেডিকেল বোর্ডের সবাই বসে উনাকে এন্টিবায়োটিক দিয়েছি। উনাকে যেভাবে প্রাথমিক এবং জরুরি চিকিৎসা দেওয়ার দরকার ছিল সেটা দিয়েছি।”
“আশা করছি, ২৪ ঘন্টার মধ্যে আরো কিছু রিপোর্ট আসবে। উনি আমাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। আমরা মনে করছি, নেক্সট ১২ ঘণ্টায় উনার পরবর্তী পরিস্থিতি কী হয় সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই মুহূর্তে উনি আমাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা এবং মনিটরিংয়ের মধ্যে আছেন। কেবিনেই তিনি আছেন।”
এর আগে, রাত ৮টায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধায়নে আছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনকে হাসপাতালে নেওয়ার পরপর কিছু টেস্ট করা হয়। এরপর অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকাদারের সভাপতিত্বে মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসে। এই বৈঠকে অধ্যাপক এফএস সিদ্দিকী, ডা. জাফর্ ইকবাল, ডা. জিয়াউল হক, ডা. মামুন আহমেদ, অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাইফুল ইসলাম এবং লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি ডা. জুবাইদা রহমান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে জনহোপকিংস হসপিটালের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা অংশ নেন।
অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী বলেন, “মেডিকেল বোর্ডের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ম্যাডামের চিকিৎসা শুরু হয়েছে।”
অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, “আমরা বলতে চাই, ম্যাডামের জন্য ডেফিনেটলি সুচিকিসার ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করে নিবিড়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অত্যন্ত উৎকন্ঠিত কোনো বিষয় আমরা মনে করছি না।”
তিনি বলেন, “আমরা মনে করছি, উনার চিকিৎসাটা যদি এখন যেভাবে শুরু হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ তাহলে আগামী ১২ ঘণ্টার পর মেডিকেল বোর্ড আবার বসবেন। বসার পর পরবর্তী উনার স্বাস্থ্যের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে কি ধরনের চিকিৎসার পরিবর্তন আনা যায়, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা বোর্ড নেবেন।”
তিনি জানান, লন্ডন থেকে তারেক রহমান ও উনার সহধর্মিনী জুবাইদা রহমান তাদের ‘আম্মু’র ব্যাপারে সর্বাক্ষনিক যোগাযোগ রাখছেন। ম্যাডামের ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর সহধর্মিনী সৈয়দা শামিলা রহমান এখানেই আছেন, উনাদের আত্বীয়-স্বজনরা ম্যাডামের চিকিৎসার ব্যাপারে সবসময় সহযোগিতা ও খোঁজ-খবর রাখছেন।
বেগম খালেদা জিয়া দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন উল্লেখ করে জাহিদ জানান, ম্যাডাম আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।
৭৯ বছর বয়েসী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
গত ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। চিকিৎসার জন্য ১১৭ দিন লন্ডনে অবস্থান শেষে গত ৬ মে দেশে ফেরেন। সূত্র: বাসস।
ঢাকা/মাসুদ