রাকসু নির্বাচনের ফল আসতে ১৫ ঘণ্টা লাগতে পারে: রাবি উপাচার্য
Published: 16th, October 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণায় ১৫ ঘণ্টা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ভোট গণনা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এক সাক্ষাৎকারে উপাচার্য এ কথা জানান।
আরো পড়ুন:
রাকসুর ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে: পর্যবেক্ষণ দল
রাকসু: ‘এক ঘষাতেই’ মুছে গেছে অমোচনীয় কালির দাগ
তিনি বলেন, “রাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ হতে প্রায় ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে গণনা শুরু হয়েছে। ব্যালট পেপারগুলো গুছিয়ে ওএমআর মেশিনে তোলা গেলে সময় কিছুটা কম লাগবে।”
ভোটে প্রার্থীদের নানা অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এটা এক ধরনের ভোটের উৎসব ছিল। কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে—যেমন অমোচনীয় কালি মুছে যাওয়া, কিছু ব্যালটে স্বাক্ষর থাকা বা লিফলেট পাওয়া গেছে। তবে এসব অভিযোগে ভোটগ্রহণের স্বচ্ছতা নষ্ট হয়নি। জাল ভোট বা বড় ধরনের অনিয়মের কোনো অভিযোগ পাইনি।”
এক কেন্দ্রে আগে থেকে ব্যালটে স্বাক্ষর করে রাখার ব্যাপারে তিনি বলেন, “ভোটার উপস্থিতি বেশি থাকলে প্রিজাইডিং অফিসার আগে থেকেই কিছু ব্যালটে স্বাক্ষর করে রাখতে পারেন। তবে যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, নির্বাচন কমিশন তা যাচাই-বাছাই করবে।”
উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব বলেন, “এই ভোট ছাত্র-ছাত্রীদের। তারা সন্তুষ্ট, আর তাদের সন্তুষ্টিই আমার সন্তুষ্টি।”
এদিকে রাত ১০টা পর্যন্ত তিনটি হল সংসদের ব্যালটের ভোট গণনা শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই হলগুলোর ফল ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।
মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন, “মেয়েদের তিনটি হল সংসদের ব্যালট গণনা সম্পন্ন হয়েছে। এগুলোর ফল ঘোষণার পর আপনারা বুঝতে পারবেন, একটার পর একটা ফলাফল আসতে কত সময় লাগবে।”
ঢাকা/কেয়া/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য ট গণন
এছাড়াও পড়ুন:
বিমানবন্দরে ক্রিকেটারদের হেনস্থা, জড়িতদের ধরতে আইন–শৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য চেয়েছে বিসিবি
ঢাকার হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে বুধবার রাতে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে অসদাচরণ করা ব্যক্তিদের ভিডিও ফুটেজ দেখে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এ ছাড়া এক ফেসবুক পোস্টে মিরপুরে শনিবার থেকে শুরু ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের খেলা দেখতে গেলে দর্শকদের ‘শায়েস্তা’ করার হুমকিদাতাকেও খুঁজছে আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিসিবির একজন দায়িত্বশীল পরিচালক বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলোকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বুধবার রাতে দেশে ফিরে বেশ বাজে অভিজ্ঞতাই হয়েছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমসহ কয়েকজন ক্রিকেটারকে হেনস্থা করেছেন একদল লোক।
এ ঘটনার কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এসব ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় কিছু লোক নাঈমের গাড়ির খুব কাছে গিয়ে ‘ভুয়া, ভুয়া’ বলে দুয়ো দিচ্ছে, গালাগাল করছে। একই দৃশ্য দেখা গেছে তাসকিন আহমেদ বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় তাঁর গাড়ির আশেপাশেও। এসব ভিডিওতে ক্রিকেটারদের উদ্দেশে করা গালাগালও স্পষ্ট শোনা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির ওই পরিচালক মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে বলেছেন, ‘দুটি বিষয়ই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর নজরে আনা হয়েছে। তাঁরা এই দুই ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। সরকার বিষয়টিকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে।’
এশিয়া কাপের পর আরব আমিরাতে আফগানিস্তানকে টি–টোয়েন্টি সিরিজে ৩–০ তে ধবলধোলাই করলেও ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ উল্টো ধবলধোলাই হয়েছে। বিমানবন্দরে ক্রিকেটারদের প্রতি সে কারণেই ক্ষোভ জানিয়েছে কিছু লোক। তবে তাদের ক্ষোভের প্রকাশ ছিল আক্রমণাত্মক।
বাংলাদেশ দল খারাপ খেলায় ক্ষোভ জানিয়ে দেওয়া এক ব্যক্তির ফেসবুক পোস্টের ভাষাও একই রকম আক্রমণাত্মক। তাঁর বাসা মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের খুব কাছে উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘মিরপুরের কিছু ভাই ব্রাদার মিলে একটা টিম গঠন করতেসি, যারা এই অবস্থায়ও মাঠে এই দলের খেলা দেখতে আসবেন, তাদের শায়েস্তা করার জন্য।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘প্রিয় দলের খেলা দেখতে এসে কেউ বেধড়ক মার খেলে বা highly Injured হলে মিরপুরবাসীকে দায় দিতে পারবেন না।’
এ ধরনের ফেসবুক পোস্টকে বাংলাদেশ দলের দর্শক–সমর্থক এবং ক্রিকেটারদের জন্যও নিরাপত্তার হুমকি মনে করেন বিসিবির ওই পরিচালক, ‘খেলায় খারাপ ফলাফল হতে পারে। সে জন্য সমালোচনাও হতে পারে। কিন্তু এ ধরণের উসকানিমূলক হুমকি কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা স্টেডিয়ামকে ক্রিকেটার ও দর্শকদের জন্য নিরাপদ রাখতে চাই।’
বিসিবির অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, তারা মনে করে এই ঘটনার পেছনে একটি রাজনৈতিক দলের মদদ থাকতে পারে। আইন–শৃঙ্খলাবাহিনী সেটিও খতিয়ে দেখবে।
বিমাবন্দরের ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করে এর আগে ক্রিকেটার নাঈম এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন, ব্যর্থ হলেও ক্রিকেটাররা সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করেন।
নাঈম লিখেছেন, ‘আজ যেভাবে আমাদের প্রতি ঘৃণা (প্রকাশ করা হয়েছে), গাড়িতে আক্রমণ করা হয়েছে, তা সত্যিই কষ্ট দেয়। আমরা মানুষ, ভুল করি, কিন্তু কখনো দেশের প্রতি ভালোবাসা-চেষ্টার ঘাটতি রাখি না। প্রতিটা মুহূর্তে চেষ্টা করি দেশের জন্য, মানুষের জন্য, আপনাদের মুখে হাসি ফোটাতে।’