দীর্ঘদিনের কাফ ইনজুরি থেকে সেরে উঠে মাঠে ফিরতে যাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। চলতি মাসের শেষ দিকে ভারত সফরে ‘এ’ দলের হয়ে খেলবেন তিনি। বর্তমানে পাকিস্তানে চলমান টেস্ট সিরিজে ইনজুরির কারণে বাইরে আছেন বাভুমা। আর ওয়ানডে দলেও তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে যেন ভারত সফরের আগেই পুরোপুরি ফিট হয়ে নেতৃত্ব দিতে পারেন। বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত দুইটি চারদিনের ম্যাচের মধ্যে দ্বিতীয়টিতে তাকে পাওয়া যাবে।

দক্ষিণ আফ্রিকা ১৪ নভেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারত সফরে দুইটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে এবং পাঁচটি টি–টোয়েন্টি খেলবে। এটি তাদের পরপর দ্বিতীয় উপমহাদেশ সফর, পাকিস্তান সফরের পর। একই সঙ্গে এটি ২০২৫–২০২৭ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রেরও দ্বিতীয় বিদেশ সফর।

আরো পড়ুন:

বিশ্রামের দিনে চেনা ডেরায় নতুন পরিচয়ে স‌্যামি

হিলির সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারাল অস্ট্রেলিয়া

সেপ্টেম্বর মাসে ইংল্যান্ডে সীমিত ওভারের সিরিজে খেলতে গিয়ে কাফ ইনজুরিতে পড়ায় বাভুমা দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা রক্ষার শুরুটা মিস করেছেন।

‘এ’ দলের চারদিনের ম্যাচগুলোতে নেতৃত্ব দেবেন টপ-অর্ডার ব্যাটার মার্কেস অ্যাকারম্যান। দলে আছেন টেস্ট স্কোয়াডে থাকা জুবায়ের হামজা ও প্রেনেলান সুব্রায়েন। যারা বর্তমানে পাকিস্তানে টেস্ট খেলছেন। লাহোর টেস্টে ৯৩ রানে হারের ম্যাচে খেলেছিলেন সুব্রায়েন। এছাড়া জাতীয় দলের হয়ে হোয়াইট বল ক্রিকেট খেলা পেসার কোডি ইউসুফও রয়েছেন এই দলে।

দুইটি চারদিনের ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে বেঙ্গালুরুর বিসিসিআই সেন্টার অব এক্সিলেন্সে, ৩০ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত।

এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ দল রাজকোটে ১৩ থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে খেলবে। সেই সিরিজে ইনজুরি কাটিয়ে ফিরছেন কিশোর বামহাতি পেসার কোয়েনা মাফাকা। যিনি পাকিস্তান সফরের হোয়াইট-বল ম্যাচগুলোতে খেলতে পারেননি হ্যামস্ট্রিং সমস্যার কারণে।

বাভুমার এই প্রত্যাবর্তন দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য নিঃসন্দেহে বড় প্রাপ্তি। বিশেষ করে ভারত সফরের মতো কঠিন চ্যালেঞ্জের আগে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সফর র ইনজ র

এছাড়াও পড়ুন:

মিরপুরে আগুনের ঘটনায় শ্রমিকেরা ‘সেফ এক্সিট’ পাননি

রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হওয়ার এক দিন পরও পুলিশ এজাহারভুক্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। বুধবার রাতে নিহত পোশাকশ্রমিক ছানোয়ার হোসেনের ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে আলম রাসায়নিকের গুদামের মালিক শাহ আলমসহ আটজনের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগে রূপনগর থানায় মামলা করেন।

বৃহস্পতিবার রাতে যোগাযোগ করা হলে পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এজাহারভুক্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন ‘আলম কেমিক্যাল গোডাউন’ নামের ওই রাসায়নিকের গুদামের ব্যবস্থাপক আকরাম, এভারগ্রিন কালার প্রিন্ট ফ্যাক্টরির মালিক, ব্যবস্থাপক, এনআরএস-ওয়াস ফ্যাক্টরির মালিক, এনআরএস-ওয়াস ফ্যাক্টরির ব্যবস্থাপক, শাহ আলী ওয়াস ফ্যাক্টরি মালিক, শাহজালী ওয়াস ফ্যাক্টরির ব্যবস্থাপক। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

রূপনগর থানায় হওয়া মামলায় অভিযোগ করা হয়, শাহ আলম আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য শিয়ালবাড়ি আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অনুমোদনহীন ভবনে দাহ্য পদার্থ মজুত করেন। গত মঙ্গলবার এই গুদামে আগুন লাগলে তা দ্রুত আশপাশের ভবনগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে পাশের ভবনে থাকা এভারগ্রিন কালার প্রিন্ট ফ্যাক্টরি, এনআরএস ওয়াস ফ্যাক্টরি ও শাহ আলী ওয়াস ফ্যাক্টরিতেও আগুন লাগে। আগুনের ভয়ে এসব কারখানার শ্রমিকেরা দিগ্‌বিদিক ছোটাছুটি করেন।

শ্রমিকেরা ভবনগুলো থেকে নামার কোনো সেফ এক্সিট পাননি। আবার কয়েকটি ভবনের প্রধান ফটকে তালা লাগানো ছিল। শ্রমিকেরা প্রাণ বাঁচাতে ভবনের ছাদে গিয়েও বের হতে পারেননি। সেখানেও তালা লাগানো ছিল। মামলার আসামিরা আবাসিক এলাকার ভবনগুলো বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করে সেখানে কর্মরত শ্রমিকদের নিরাপত্তাব্যবস্থা মাথায় না রেখে কারখানা পরিচালনা করে আসছিলেন। ভবনগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ–ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এতে আগুনে পুড়ে ১৬ জন শ্রমিক নিহত হন।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, কারখানার যন্ত্রাংশ, কাঁচামালসহ বিভিন্ন রাসায়নিক এবং ঘটনাস্থলের পাশে থাকা ৩টি মোটরসাইকেল, ১৫টি গ্যাস সিলিন্ডার, রাস্তায় থাকা পিকআপের সামনের অংশসহ ২টি রিকশা পুড়ে যাওয়ায় প্রাথমিকভাবে ৩০ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

১৬ মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

শিয়ালবাড়িতে আগুনে পুড়ে নিহত ১৬ জনের ময়নাতদন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে সম্পন্ন হয়েছে। তাঁদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রূপনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মুখলেছুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার ছয় মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। তাঁরা হলেন মাহিরা আক্তার (১৪), নার্গিস আক্তার (১৮), নুরে আলম (২৩), সানোয়ার হোসেন (২২), আবদুল্লাহ আল-মামুন (৩৯) ও রবিউল ইসলাম রবিন (১৯)।

বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়া ১০ মরদেহের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন মুনা আক্তার সামিরা (১৪), ফারজানা আক্তার (১৫) ও মুক্তা আক্তার (৩০)। বাকি এক নারী ও ছয় পুরুষের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ