রূপগঞ্জে যুবদল নেতার ছত্রছায়ায় বেপরোয়া আ’লীগ নেতা ফিরোজ
Published: 17th, October 2025 GMT
কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (নারায়ণগঞ্জ-১) ও সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর আস্থাভাজন কামরুল হাসান ফিরোজের ‘রাজত্ব’ এখনো বহাল রয়েছে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের সরকারের পতন হলেও তার ক্ষমতার দাপট বদলেনি তিনি শুধু ক্ষমতাবানের হাত বদল করে ভুলতা ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদুল্লা মিয়ার হাত ধরেছেন অপরাধ সাম্রাজ্য ঠিক রাখতে।
এলাকায় যুবদল নেতা শাহাদুল্লা মিয়ার ক্ষমতার প্রভাব দেখাচ্ছেন তিনি। বিগত ১৬ বছরের মতো এখনো এলাকার জমি দখল, চাঁদাবাজি, সালিশ বাণিজ্যসহ সকল কাজ বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে এলাকার জনসাধারণের মাঝে ফ্যাসিবাদের আতঙ্ক কাটেনি।
আওয়ামী লীগের দোসর এখনো কীভাবে বহাল তবিয়তে থাকেন, এমন প্রশ্ন এলাকাবাসীর মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। স্থানীয় যুবদল নেতা শাহাদুল্লা মিয়ার ব্যবসায়ী পার্টনার করে রামরাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন বলে দাবি এলাকাবাসীর।
জানা যায়, আওয়ামী লীগের ১৬ বছরে সব ধরনের অপকর্ম করে এই আওয়ামী লীগের কামরুল হাসান ফিরোজ আব্দুর রহমানের জমি জোরপূর্বক দখলে নিয়েছেন, স্থানীয় এডভোকেট শাহিন মিয়ার জমি জোরপূর্বক দখলে নিয়েছেন, দখলে নিয়েছেন জহিরুল হকের, সবুজের, অন্তরের ইয়ানুস মিয়ার, মাহফুজ মিয়ার ও বাবুল মিয়ার জমি জবরদখল করে নিয়েছেন।
৫ আগস্টে পালা বদলের পর ক্ষমতাবান হিসেবে বেছে নিয়েছেন ভুলতা ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদুল্লা মিয়ার। তার হাত ধরেই গত ১২ অক্টোবর সকালে ফাতেমা নামের এক বিধবা নারীর ৫০ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখলে নিতে লোকজন নিয়ে যান।
জমিটির চারপাশে দেয়াল নির্মাণ শ্রমিক ও সাইনবোর্ড টানিয়ে দেন ওই যুবদল নেতার নামে। এ ঘটনার ছবি তুলতে গেলে খবরের কাগজের সংবাদদাতা রুবেল শিকদারকে হুমকি ধামকি দেন শাহাদুল্লা মিয়া ও কামরুল হাসান ফিরোজ।
ভুক্তভোগী ফাতেমা বেগম বলেন, আমার বাপ দাদার ওয়ারিশ সূত্রে মালিকানা পাই সেই জমিটি আমার দাদা, বাবা ভোগদখলে ছিলেন। আওয়ামী লীগ আমলে দখলে নিতে হামলা চালায়। গত ৫ আগস্টের পরে তিনি ভুলতা ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদুল্লা মিয়া ও তার লোকজনকে সাথে নিয়ে গত রোববার আসেন জমি দখলে নিতে আসেন।
পরে পুলিশে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে বুঝিয়ে সরিয়ে দেন। এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
আরেক ভুক্তভোগী জহিরুল হক বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ আমলে আমার জমি জোরপূর্বক দখলে নিয়ে গেছে এই আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হাসান ফিরোজ ও তার লোকজন। আমার কাগজপত্র সব কিছু ঠিক থাকার পরেও কোন সমাধান পাইনি। জমির কাছে যেতে পারছি।
উল্টো প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকির মধ্যে থাকতে হচ্ছে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর ভাবছিলাম এবার বুঝি জমিটার সুরাহা হবে আমার জমি আমি ফেরত পাবো। তা আর হলোনা এখন সে খোলস পাল্টে ভুলতা ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদুল্লা মিয়ার হাত ধরে সব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। আমার জমি আমি ফেরত চাই। এ বিষয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হাসান ফিরোজের সাথে যোগাযোগ করতে একাধিকবার ফোন করা হলে তার ব্যবহৃত নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।
যুবদল নেতা শাহাদুল্লা মিয়া বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত এসব অভিযোগ সত্য নহে। আামর সাথে আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হাসান ফিরোজের কোনো সম্পর্ক নেই। আমি তার কাছ থেকে একটি জমি ক্রয় করেছি এ জমি নিয়ে ফাতেমা নামে একজন বিভিন্নভাবে আইন আদালত পুলিশ দিয়ে হয়রানি করে আসছে। এরজের ধরেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অপপ্রচার করছে।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, ফাতেমা বেগমের অভিযোগ পেয়েছি। ফাতেমা বেগমসহ যারা ভুক্তভোগী রয়েছেন থানায় অভিযোগ করলে সহযোগিতা করা হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ য বদল ন ত ৫ আগস ট আওয় ম ক ষমত
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ: স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র সংবিধানে থাকছে
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিসহ (সিপিবি) চারটি বাম দলের আপত্তির পর জুলাই জাতীয় সনদ–২০২৫-এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। চূড়ান্ত সনদে বলা হয়েছে, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫০(২) সংশোধন করা হবে এবং এ সংশ্লিষ্ট পঞ্চম ও ষষ্ঠ তফসিল সংবিধানে রাখা হবে না। অর্থাৎ জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধানে সংস্কার হলে তাতে সংবিধানের তফসিলে ৭ মার্চের ভাষণ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা থাকবে না। তবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র সংবিধানের তফসিলে থাকবে।