যুক্তরাষ্ট্র ক্ষমা করলে দেশ ছাড়তে রাজি ছিলেন মাদুরো
Published: 3rd, December 2025 GMT
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো যুক্তরাষ্ট্রের নিশ্চয়তায় নিরাপদে দেশ ছেড়ে পালানোর সব সুযোগ হারিয়েছেন। গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মাদুরোর একটি সংক্ষিপ্ত ফোনালাপ হয়। এ সময় মাদুরোর একাধিক অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন ট্রাম্প। ওই ফোনালাপ সম্পর্কে অবগত চারটি সূত্র এমন তথ্য জানিয়েছে।
ভেনেজুয়েলার ওপর কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত চাপের মধ্যে গত ২১ নভেম্বর ট্রাম্পের সঙ্গে মাদুরোর ফোনালাপ হয়। এর আগে মার্কিন সেনারা গত সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিক থেকে ক্যারিবীয় সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরে সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকায় অন্তত ২১টি হামলা চালান। এসব হামলায় ৮৩ জনের মতো নিহত হন। নিকোলা মাদুরোর বিরুদ্ধে সামরিক চাপের অংশ হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসন এসব অভিযান পরিচালনা করছে।
মাদুরো ও তাঁর সরকার এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তাদের দাবি, তেলসহ ভেনেজুয়েলার বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নিতে যুক্তরাষ্ট্র ‘সরকার পরিবর্তনের’ চেষ্টা করছে।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত তিনটি সূত্র জানিয়েছে, ফোনালাপে মাদুরো ট্রাম্পকে বলেছেন, তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে থাকা সব মামলায় ক্ষমা পেলে তিনি ভেনেজুয়েলা ছেড়ে যেতে প্রস্তুত। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে চলা একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা তুলে নেওয়ার কথাও বলেন মাদুরো।
ওই তিনটি সূত্রের ভাষ্য, এ সময় ভেনেজুয়েলার শতাধিক সরকারি কর্মকর্তার ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে ট্রাম্পকে অনুরোধ করেন মাদুরো। তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন, মাদক পাচার কিংবা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।
অপর দিকে দুটি সূত্র জানিয়েছে, নতুন নির্বাচনের আগে একটি অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালনার দায়িত্ব ভাইস প্রেসিডেন্ট দেলসি রদ্রিগেজকে দিতে চান বলেও অনুরোধ করেন মাদুরো।
১৫ মিনিটের কম সময়ের ওই ফোনালাপে মাদুরোর অধিকাংশ অনুরোধই প্রত্যাখ্যান করেন ট্রাম্প। তবে তিনি মাদুরোকে জানান, পরিবারের সদস্যসহ ভেনেজুয়েলা ছেড়ে পছন্দের গন্তব্যে যাওয়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় পাবেন তিনি। দুটি সূত্রের মতে, সে সুযোগ শুক্রবার শেষ হয়ে যায়।
এদিকে ক্যারিবীয় অঞ্চলে ভেনেজুয়েলার উপকূল ঘিরে বড় ধরনের সামরিক সমাবেশ ঘটিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সন্দেহজনক মাদকবাহী নৌকায় বেশ কিছুদিন ধরে হামলা চালানো হচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র অন র ধ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত গিয়ে নিখোঁজ ২ বাংলাদেশি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার একটি সীমান্ত দিয়ে ভারতে গরু আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন দুই বাংলাদেশি যুবক। গত রবিবার (৩০ নভেম্বর) মধ্যরাতে তারা ভারতে প্রবেশ করে নিখোঁজ হন।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিজিবির ৫৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “লোকমুখে শুনেছি, দুই বাংলাদেশি ভারতে গরু আনতে গিয়ে নিখোঁজ রয়েছেন। এ নিয়ে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তারা এ বিষয়ে অবগত নয় বলে জানিয়েছে।”
আরো পড়ুন:
ভারতে দুটি ট্রলারসহ ২৮ বাংলাদেশি জেলে আটক
বক্স অফিসে ধানুশ-কৃতির প্রেম কতটা জমেছে?
নিখোঁজরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের চরপাকা-শ্যামপুর এলাকার আমিরুল ইসলামের ছেলে আব্দুল মমিন (২৯) ও একই ইউনিয়নের ক্যাম্পপাড়া এলাকার মৃত মজিবুরের ছেলে ইব্রাহীম আলী (৩৮)।
এলাকাবাসী জানান, গত রবিবার মধ্যরাতে শিবগঞ্জের রঘুনাথপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ১০/৭ এসআর থেকে আনুমানিক ৪ কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে নিমতিতা এলাকায় কয়েকজন বাংলাদেশি গরু আনতে যান। এ সময় ভারতের ৭১ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ নিমতিতা ক্যাম্পের টহলদল তাদের ধাওয়া করে। তারা দৌঁড়ে পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দেন। বিএসএফ সদস্যরা স্পিডবোট দিয়ে তাদের ধাওয়া করে।
এ ঘটনায় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি নিখোঁজ দুই যুককের পরিবারের সদস্যরা। তবে, তারা দাবি করেছেন, রবিবার মধ্যরাত থেকে মমিন ও ইব্রাহীমের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “রবিবার রাতে কয়েকজন ভারতে গরু আনতে যান। বিএসএফ তাদের ধাওয়া করলে অন্যরা পালাতে পারলেও দুইজনকে আটক করা হয়। তাদের মারধর করে হাত-পা বেঁধে পদ্মা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। যারা পালিয়ে এসেছে, তাদের কাছ থেকে একথা শোনা যাচ্ছে।”
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “লোকমুখে শুনেছি, দুই বাংলাদেশি ভারতে গরু আনতে গিয়ে নিখোঁজ রয়েছেন। এ নিয়ে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তারা এ বিষয়ে অবগত নয় বলে জানিয়েছে। আমরা ঘটনাটি হেডকোয়াটারে জানিয়েছি। এ নিয়ে কোন তথ্য পেলে পরবর্তীতে জানানো হবে।”
ঢাকা/মেহেদী/মাসুদ