মাদাগাস্কারে তরুণদের গণ-অভ্যুত্থানের সুবিধভোগী কি তাহলে সেনাবাহিনী
Published: 18th, October 2025 GMT
‘এটি কোনো অভ্যুত্থান নয়।’ কথাটি মাদাগাস্কারের সামরিক কর্মকর্তা কর্নেল মাইকেল র্যান্ড্রিয়ানিরিনার। তিনি ১২ অক্টোবর মাদাগাস্কারে ‘অভ্যুত্থান’ ঘটিয়ে ক্ষমতা দখল করেছেন। সিএপিএসএটি নামে একটি বিশেষ সামরিক ইউনিটের কর্নেল র্যান্ড্রিয়ানিরিনা ১৪ অক্টোবর নিজেকে মাদাগাস্কের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা দেন। তিনি দাবি করেছেন, মালাগাসি জনগণের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তিনি ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন। মালাগাছি বলতে মাদাগাস্কারের নাগরিকদের বোঝানো হয়।
কর্নেল মাইকেল র্যান্ড্রিয়ানিরিনা গতকাল শুক্রবার মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
কয়েক সপ্তাহ ধরে মাদাগাস্কারের রাজধানী আন্তানানারিভোতে তরুণেরা প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছিলেন। দেশটিতে বিদ্যুৎ ও পানির সংকটের কারণে প্রথমে সড়কে নেমেছিলেন তরুণেরা। ২৫ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া বিক্ষোভ সরকারের পক্ষ থেকে কঠোরভাবে দমন করা হয়।
দেশটিতে বিক্ষোভ দ্রুত রূপ নেয় দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, মৌলিক সেবার অভাবসহ বৃহত্তর অসন্তোষের এক গণ–অভ্যুত্থানে। এ বিক্ষোভকে নেপাল, মরক্কোসহ অন্যান্য দেশে শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে বিক্ষোভের প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে গত শনিবার সমর্থন দেয় সিএপিএসএটি নামের সেনা ইউনিট। পরদিন এই ইউনিটের পক্ষ থেকে মাদাগাস্কারের পুরো সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। এর পর থেকে প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা মূলত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।
রাজধানী আন্তানানারিভোর ১৩ মে স্কয়ারে হাজারো বিক্ষোভকারী নেচেগেয়ে স্লোগান দিতে দিতে রাজোয়েলিনার বিরুদ্ধে মিছিল করেন। দ্বৈত নাগরিকত্ব ও সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্সের সমর্থন পাওয়ায় মাদাগাস্কারকে ‘ফরাসি দালাল’ বলে আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভকারীরা নানা ব্যানারও প্রদর্শন করেন। অনেক বিক্ষোভকারীর হাতে ছিল মাদাগাস্কারের জাতীয় পতাকা ছিল।
বিক্ষোভের এক পর্যায়ে সিএপিএসএটির কর্নেল মাইকেল র্যান্ড্রিয়ানিরিনা মঞ্চে উঠে জিজ্ঞাসা করেন, ‘আপনারা কি সামরিক হস্তক্ষেপ মেনে নিতে প্রস্তুত?’ এরপরই জনতা উল্লাসধ্বনিতে ফেটে পড়ে।
কর্নেল মাইকেল র্যান্ড্রিয়ানিরিনা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের সব কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পরবর্তী সব কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট আবেদন হয়েছে।
বাংলাদেশ কংগ্রেসের পক্ষে দলটির মহাসচিব আইনজীবী মো. ইয়ারুল ইসলাম হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আজ বুধবার রিটটি দায়ের করেন।
বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী ও বিচারপতি রাজিউদ্দিন আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে রিটের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মো. ইয়ারুল ইসলাম।