নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, আমাদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান রাজপথে থেকে নেতা কর্মীদেরকে মূল্যায়ন করবেন। আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। এখন যারা মনোনয়নের জন্য দৌড়ঝাঁপ করছে তারা করুক, তাদের খায়েস জেগেছে, কারন তারা তো ১৫ বছর মাঠে ছিল না। 

শোনেন দেওইয়ার কিন্তু একটা বিবেক আছে, সুতরাং তারা দৌড়ঝাঁপ করুক। সারা বাংলাদেশে যারা মামলা খেয়েছে, মিটিং মিছিল করেছে, জেল খেটেছে, যাদের পরিবার-নিঘৃত হয়েছে তাদের মধ্য থেকেই নমিনেশন দেওয়া হবে। ইনশাল্লাহ আমি মনে করি আগামী দিনে আমিও আমার দলের সদস্য সচিবসহ যারা নারায়ণগঞ্জ এ রয়েছে তাদের মধ্যেই নমিনেশন পাবে ইনশাল্লাহ।

‎নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন বন্দর থানা অন্তর্গত ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মীসভা ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নে লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।

‎শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল চারটায় ২৪নং ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ বক্তরকান্দি এলাকায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

‎তিনি বলেন, আমরা এই বাংলাদেশকে একটি সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশী হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। যেখানে কোন সন্ত্রাস চাঁদাবাজি থাকবেনা। থাকবে না কোন শোষণ থাকবে না কোন দখলদারিত্ব। আমরা কোন দখলবাজি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসীতে বিশ্বাস করিনা। সুতরাং আগামীতে যদি আমরা ক্ষমতা আসি তাহলে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের কোন প্রশ্রয় দিব না। 

শুধু তাই না আমরা মাদককে চিরতরে নির্মূল করতে চাই। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের নির্বাচনে জনগণের ভোটে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে ইনশাল্লাহ। কারণ বিএনপি হলো এদেশের জনগণের দল। কারণ ইতিপূর্বে যতবার এ বিএনপি ক্ষমতায় গিয়েছিল এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য পাকাজ করেছে।

‎তিনি আরও বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যদি বিএনপির ক্ষমতায় আসে তাহলে নারীদের উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বিএনপি। প্রতিটি নারী সদস্যের জন্য ফ্যামিলি ও হেল্প কার্ডের ব্যবস্থা করা হবে। ফ্যামিলি কার্ডের মধ্যে চাল ডাল আটা থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় সকল জিনিসপত্র দেওয়া হবে।

 সেটা প্রতিমাসে তাদেরকে সরবরাহ করাহবে রাষ্ট্র থেকে সর্বনিম্ন ১০ থেকে ১২টাকা কেজিতে নামে মাত্র মূল্যে। বাংলাদেশের মানুষ যাতে খাদ্য নিয়ে কোন দুর্ভোগে না পরে। অন্তত মোটা ভাত ও মোটা কাপড় নিয়েও যাতে তাদের চিন্তা করতে না হয়। 

কারণ পেটে ক্ষুধা থাকলে দেশের জন্য কাজ করা যায় না পরিবার, দেশ,  সমাজ, কৃষি ও শিল্পের জন্যে জন্য কাজ করা যায় না। বিএনপি এ দেশের জনগণের দল সবসময় জনগণের উন্নয়নে কাজ করেন।

‎মহানগর ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজী মনির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাজী জাবেদ হোসেনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.

সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, বন্দর থানা বিএনপির শাহেনশাহ আহমেদ, বন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা।

‎আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ পনেজ, যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উল্লাহ টিপু, সোহেল খান বাবু, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক, ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. উজ্জ্বল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিনহাজ মিঠু প্রমুখ।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: সন ত র স ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স র ব এনপ র সন ত র স জনগণ র র জন য ক জ কর সদস য ক ষমত

এছাড়াও পড়ুন:

আইনি ভিত্তি ছাড়া জুলাই সনদ স্বাক্ষর করব না: নাহিদ 

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “আমরা আইনি ভিত্তি এবং অর্ডারের ব্যাপারে নিশ্চয়তা ছাড়া যদি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করি, সেটা মূল্যহীন হবে। পরের সরকার এলে কীসের পরিপ্রেক্ষিতে দেবে, কী টেক্সট হবে, সে নিশ্চয়তা আমরা চাই। সেই বিষয়টা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা জুলাই সনদের স্বাক্ষরের যেই অনুষ্ঠান বা যেই আয়োজনটা চলছে, সেখানে আমরা নিজেরা অংশীদার হব না।”

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বাংলা মোটরে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেছেন।

নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ সনদ স্বাক্ষরের আগেই প্রকাশ করতে হবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায় অনুসারে প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন। জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগেই সনদ বাস্তবায়নের যে আদেশটা হবে, সে আদেশের খসড়ায় আমাদের ঐকমত্য হতে হবে। তার ওপর ভিত্তি করে আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষরের বিষয়টা বিবেচনা করব।”

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, “আদেশের টেক্সট যেটা, তার খসড়া আমরা আগে দেখতে চাই। ড. ইউনূস তিনি যেহেতু জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শক্তিতে সরকার গঠন করেছেন, সেই জায়গা থেকে সেটা প্রেসিডেন্ট নয়, বরং গভর্মেন্ট হিসেবে ড. ইউনূস জারি করবেন।”

তিনি আরো বলেন, “জুলাই সনদের ৮৪টি সংস্কারের বিষয় একত্রে গণভোটে যাবে। গণভোটে নোট অব ডিসেন্টের আলাদা কোনো কার্যকারিতা থাকবে না। গণভোটের প্রশ্ন কী হবে, তা আগেই চূড়ান্ত করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে সেটা দেখাতে হবে।”

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম এই নেতা বলেন, “গণভোট দ্বারা জনগণ সনদ অনুমোদন করলে অর্থাৎ সনদের পক্ষে ভোট দিলে পরের সংসদকে কনস্টিটিউট পাওয়ার ডেলিগেট করা হবে। সনদ অনুযায়ী সংবিধান সংস্কার করার জন্য এই দাবির সঙ্গে মোটামুটি সবাই এখন একমত। আমাদের কাছে কিন্তু এখনো স্পষ্ট হয়নি, এটার কী সংশোধনী হবে?”

ঢাকা/রায়হান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তালেবান শাসকদের অবশ্যই ভারত–সমর্থিত জঙ্গিগোষ্ঠীকে দমন করতে হবে: পাকিস্তানি সেনাপ্রধান
  • ধানের শীষে ভোট দিতে জনসাধারনকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে : ভিপি রাজিব
  • জুলাই সনদের ভূত–ভবিষ্যৎ
  • ওসমানী উদ্যানে আবার স্থাপনার পেছনে লক্ষ্য ‘টাকা কামানো’: বাপা
  • স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুনর্গঠন: রাষ্ট্র মেরামতের কেন্দ্রে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা
  • পুতিনের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে কী কথা হলো আল-শারার
  • সার না পেলে কৃষকদের ডিসি অফিস ঘেরাওয়ের পরামর্শ মির্জা ফখরুলের
  • সরকারকে সবাই ব্যস্ত রেখেছে যেন নির্বাচন না হয়: মির্জা ফখরুল
  • আইনি ভিত্তি ছাড়া জুলাই সনদ স্বাক্ষর করব না: নাহিদ