রূপগঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে জামাতের মতবিনিময় সভা
Published: 1st, December 2025 GMT
রূপগঞ্জে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রূপগঞ্জ উপজেলা শাখা। সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকালে মুড়াপাড়া বাজারস্থ জামায়াতের কার্যালয়ে এই সভার আয়োজন করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা জামাতের সূরা সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে জেলা আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইসরাফিল হুসাইন এর সঞ্চালনায় প্রদান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ ১ রূপগঞ্জ আসনের জামাত সমর্থিত প্রার্থী আনোয়ার হোসেন মোল্লা।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্র শিবিরের জেলা সভাপতি আকরাম হোসেন, উপজেলা পশ্চিম সেক্রেটারি হানিফ ভূঁইয়া, উপজেলা উত্তর সেক্রেটারি খাইরুল ইসলামসহ থানা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্যবৃন্দ।
সাংবাদিক সমাজের প্রতিনিধিত্বে ছিলেন রুপগঞ্জ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি, রূপগঞ্জ প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক সদস্য নাজমুল হুদা, সাংবাদিক ফোরামের সহ-সভাপতি মাসুদ করিম, সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম, শফিকুল আলম মামুনসহ রূপগঞ্জের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার নবীন প্রবীন সাংবাদিক বৃন্দ।
সভায় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। তাদের সঙ্গে অপ্রয়োজনীয় দ্বন্দ্ব বা দূরত্ব তৈরি হলে প্রকৃত চিত্র বিকৃত হয় এবং জনগণের আস্থার সংকট দেখা দেয়। তাই রাজনীতি ও প্রশাসনের সকল অঙ্গনে সাংবাদিকদের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক বজায় রাখার ওপর জোর দেওয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জ ১ রূপগঞ্জ আসনের জামাত সমিতির প্রার্থী আনোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, আমাদের দল প্রচার-প্রচারণা বা ব্যানার-ফেস্টুন নির্ভর রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়।
আমাদের মূল শক্তি হলো কর্মীদের আদর্শিক চেতনা, সাংগঠনিক কাঠামো এবং জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ। আমরা বিশ্বাস করি, কোনো দলই যদি জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করতে না পারে, তার কার্যকারিতা সীমিত থাকে।
তিনি আরও বলেন, তিনি বলেন আগামী প্রয়াস জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হলে, রূপগঞ্জের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদকসহ শীতলক্ষ্যার অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে কাজ করবেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ র পগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
বড় চ্যালেঞ্জ নির্বাচনের মাধ্যমে পিসফুল ট্রানজিশন: নাহিদ ইসলাম
জাতীয় ঐক্য ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হলে আসন্ন নির্বাচনের মাধ্যমেই একটি পিসফুল ট্রানজিশন ঘটাতে হবে বলে মনে করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, “সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে দেশ ও বিশ্ব বুঝবে—বাংলাদেশ স্থিতিশীলতার পথে যাচ্ছে। আর নির্বাচন শান্তিপূর্ণ না হলে অস্থিরতা থেকে যাবে, যা দেশের ভবিষ্যতের জন্য বড় ঝুঁকি।”
শনিবার (২৯ নভেম্বর) ঢাকার একটি হোটেলে ‘চতুর্থ বাংলাদেশ অর্থনীতি সম্মেলন ২০২৫’-এ বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “গত ১৬ বছরে দেশের অর্থনৈতিক যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা রাতারাতি বদলানো সম্ভব নয়। এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে কর্মসংস্থান সৃষ্টি বা বড় ধরনের অর্থনৈতিক পরিবর্তনও বাস্তবসম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। তবে সমাজকে ইতিবাচক সংকেত দিতে হবে যে সরকার সেই পথেই এগোচ্ছে। শিক্ষা সংস্কারে দক্ষতাভিত্তিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারলে তরুণদের কর্মসংস্থানের জটিলতা অনেকটাই সমাধান হবে।”
তিনি বলেন, “২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে জনগণ—বিশেষত তরুণরা—অর্থনৈতিক অনুপ্রেরণা ও আকাঙ্ক্ষা থেকেই রাস্তায় নেমেছিল। গণঅভ্যুত্থানের মূল প্রেক্ষাপট বুঝতে হলে এর আগের ফ্যাসিবাদী সময়ের অর্থনৈতিক কাঠামো—লুটতরাজ, ব্যাংক লোপাট, অর্থ পাচার এবং অলিগার্ক-চক্রের উত্থান—এসব আলোচনা করতে হবে। এই বৈষম্যই গণঅভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্লোগানকে জনপ্রিয় করেছে।”
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “আন্দোলনটি চাকরির দাবিতে হলেও এর পেছনে বৈষম্যের দীর্ঘ পটভূমি ছিল। তাই আন্দোলনের নাম রাখা হয় ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’, যাতে বৃহত্তর জনগণের সঙ্গে সংযোগ তৈরি হয়। সে সময় শ্রমিক মজুরি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, কর্মসংস্থানের মতো বৃহত্তর দাবিও ছিল আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত।”
তিনি আরো বলেন, “ফ্যাসিবাদী সময়ের বৈষম্যমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কারণে তরুণরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পড়াশোনা শেষে উপযুক্ত বা মর্যাদাপূর্ণ চাকরি না পাওয়া এবং সরকারি চাকরিতে কোটানির্ভর বৈষম্য—এসব থেকেই তাদের ক্ষোভ জমতে থাকে, যার বিস্ফোরণ ঘটে গণঅভ্যুত্থানে।”
নাহিদ ইসলাম বলেন, “গত এক দশকের তিনটি বড় ছাত্র আন্দোলন—প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাটবিরোধী আন্দোলন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং নিরাপদ সড়ক আন্দোলন—গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। অর্থনৈতিক চাপ ও বৈষম্যই এসব আন্দোলনের ভিত্তিকে আরো শক্ত করেছে।”
ঢাকা/রায়হান/ইভা