নাশকতা বা অগ্নিসংযোগের কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে সরকার তাৎক্ষণিক ও দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, “দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্প্রতি সংঘটিত একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জনমনে যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার তা গভীরভাবে অবগত। আমরা সকল নাগরিককে আশ্বস্ত করতে চাই—নিরাপত্তা সংস্থাগুলো প্রতিটি ঘটনা গভীরভাবে তদন্ত করছে এবং মানুষের জীবন ও সম্পদ সুরক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে।”

আরো পড়ুন:

শাহজালালে যাত্রীসেবা রাতেই চালুর আশা বিমান উপদেষ্টার

৫ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি শাহজালালের আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৩৭ ইউনিট

এতে আরো বলা হয়েছে, “নাশকতা বা অগ্নিসংযোগের কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে সরকার তাৎক্ষণিক ও দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে। কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বা উসকানির মাধ্যমে জনজীবন ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করার সুযোগ দেওয়া হবে না।”

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিবৃতি

“আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই—যদি এসব অগ্নিকাণ্ড নাশকতা হিসেবে প্রমাণিত হয়, এবং এর উদ্দেশ্য হয় জনমনে আতঙ্ক বা বিভাজন সৃষ্টি করা, তবে তারা সফল হবে কেবল তখনই, যখন আমরা ভয়কে আমাদের বিবেচনা ও দৃঢ়তার ওপর প্রাধান্য দিতে দেব।”

“বাংলাদেশ অতীতেও বহু কঠিন সময় অতিক্রম করেছে। আমরা ঐক্য, সংযম ও দৃঢ় সংকল্প নিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের উত্তরণের পথে যেকোনো হুমকির মোকাবিলা করব। আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।”

ঢাকা/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড ম হ ম মদ ইউন স আগ ন সরক র ন শকত

এছাড়াও পড়ুন:

পাঁচ দিনে দেশে তিন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

গত পাঁচ দিনে দেশে তিনটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

রাজধানীর মিরপুরে পোশাক কারখানা ও কেমিক্যাল গোডাউন, চট্টগ্রাম ইপিজেডের একটি কারখানা এবং সবশেষ দেশের প্রধান বিমানবন্দর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।

আরো পড়ুন:

নাশকতার প্রমাণ পেলে দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে সরকার

শাহজালালে যাত্রীসেবা রাতেই চালুর আশা বিমান উপদেষ্টার

জানা গেছে, গত ১৪ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে ভয়াবহ তিনটি অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এর একটি রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়ির রাসায়নিকের গুদামে ও আরেকটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে। গত ১৬ অক্টোবর আগুন লাগে চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকার একটি তোয়ালে কারখানায়।

সবশেষ বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ২টায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট।

অন্তর্বর্তী সরকারের বিৃবতি
ঢাকার বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজসহ অন্যান্য অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নাশকতা বা অগ্নিসংযোগের কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে সরকার তাৎক্ষণিক ও দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে দেওয়া সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, “কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বা উসকানির মাধ্যমে জনজীবন ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করার সুযোগ দেওয়া হবে না।”

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিবৃতি

“দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্প্রতি সংঘটিত একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জনমনে যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার তা গভীরভাবে অবগত। আমরা সকল নাগরিককে আশ্বস্ত করতে চাই, নিরাপত্তা সংস্থাগুলো প্রতিটি ঘটনা গভীরভাবে তদন্ত করছে এবং মানুষের জীবন ও সম্পদ সুরক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে”, বলা হয় বিবৃতিতে।

বিবৃতিতে সরকার আরো বলেছে, “আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, যদি এসব অগ্নিকাণ্ড নাশকতা হিসেবে প্রমাণিত হয়, এবং এর উদ্দেশ্য হয় জনমনে আতঙ্ক বা বিভাজন সৃষ্টি করা, তবে তারা সফল হবে কেবল তখনই, যখন আমরা ভয়কে আমাদের বিবেচনা ও দৃঢ়তার ওপর প্রাধান্য দিতে দেব।”

অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ অতীতেও বহু কঠিন সময় অতিক্রম করেছে। আমরা ঐক্য, সংযম ও দৃঢ় সংকল্প নিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের উত্তরণের পথে যেকোনো হুমকির মোকাবিলা করব। আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।”

ঢাকা/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাঁচ দিনে দেশে তিন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
  • নাশকতার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেলে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হবে: সরকারের বিবৃতি