নাশকতার প্রমাণ পেলে দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে সরকার
Published: 18th, October 2025 GMT
নাশকতা বা অগ্নিসংযোগের কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে সরকার তাৎক্ষণিক ও দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্প্রতি সংঘটিত একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জনমনে যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার তা গভীরভাবে অবগত। আমরা সকল নাগরিককে আশ্বস্ত করতে চাই—নিরাপত্তা সংস্থাগুলো প্রতিটি ঘটনা গভীরভাবে তদন্ত করছে এবং মানুষের জীবন ও সম্পদ সুরক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে।”
আরো পড়ুন:
শাহজালালে যাত্রীসেবা রাতেই চালুর আশা বিমান উপদেষ্টার
৫ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি শাহজালালের আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৩৭ ইউনিট
এতে আরো বলা হয়েছে, “নাশকতা বা অগ্নিসংযোগের কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে সরকার তাৎক্ষণিক ও দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে। কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বা উসকানির মাধ্যমে জনজীবন ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করার সুযোগ দেওয়া হবে না।”
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিবৃতি
“আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই—যদি এসব অগ্নিকাণ্ড নাশকতা হিসেবে প্রমাণিত হয়, এবং এর উদ্দেশ্য হয় জনমনে আতঙ্ক বা বিভাজন সৃষ্টি করা, তবে তারা সফল হবে কেবল তখনই, যখন আমরা ভয়কে আমাদের বিবেচনা ও দৃঢ়তার ওপর প্রাধান্য দিতে দেব।”
“বাংলাদেশ অতীতেও বহু কঠিন সময় অতিক্রম করেছে। আমরা ঐক্য, সংযম ও দৃঢ় সংকল্প নিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের উত্তরণের পথে যেকোনো হুমকির মোকাবিলা করব। আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।”
ঢাকা/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড ম হ ম মদ ইউন স আগ ন সরক র ন শকত
এছাড়াও পড়ুন:
বাঙালি সেনানায়কদের প্রথম সম্মিলিত বৈঠক
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের পাতায় তেলিয়াপাড়ার নাম খুব বেশি উচ্চারিত হয় না। হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার এই চা-বাগান যেমন সবুজ ছায়ায় লুকিয়ে আছে, অনেকটা তেমনি যেন ইতিহাসেও তেলিয়াপাড়া অন্তরালে। তার অস্তিত্ব নীরব।
হবিগঞ্জ জেলা শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরের নির্জন এই চা-বাগানেই হয়েছিল ঐতিহাসিক এক গোপন বৈঠক। দিনটি ছিল ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ সেক্টরভিত্তিক ইতিহাস, সেক্টর-তিন বইয়ের সূত্রে জানা যায়, তেলিয়াপাড়া চা-বাগান ব্যবস্থাপকের বাংলোতে সেদিন বৈঠকে বসেছিলেন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ২৭ জন সেনা কর্মকর্তা। মুক্তিযুদ্ধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরিকল্পনা নেন তাঁরা। গড়ে ওঠে মুক্তিযুদ্ধের ৩ নম্বর সেক্টরের প্রথম সেনা সদর দপ্তর।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত তেলিয়াপাড়া বিওপির পুরানো ভবন, যা ১৯৬৭ সালে নির্মিত হয়। নতুন ভবন নির্মিত হওয়ায় এটি পরিত্যক্ত