দেশের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান চলচ্চিত্রে দাপিয়ে বেড়ানোর পাশাপাশি নিয়মিত কাজ করছেন বিজ্ঞাপনচিত্রে। তারই ধারাবাহিকতায় নতুন একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে অংশ নিলেন।
বিজ্ঞাপনটি নির্মাণ করেছেন জনপ্রিয় নির্মাতা আদনান আল রাজীব। টানা তৃতীয়বারের মতো একসঙ্গে কাজ করলেন শাকিব খান ও রাজীব। দুজনের কাজের বোঝাপড়া ও পেশাদারিত্ব দীর্ঘদিনের, ফলে তাদের জুটি বরাবরই ‘বাণিজ্যিকভাবে সফল’ বলে সুনাম রয়েছে।
আরো পড়ুন:
শাকিবের নায়িকা পাকিস্তানের হানিয়া
শিল্পীদের হাসির পাত্রে পরিণত করেছে: শাকিল খান
২০১৯ সালে আদনান আল রাজীব শাকিব খানকে নিয়ে পরপর দুটি মোবাইল ফোনের বিজ্ঞাপন নির্মাণ করেছিলেন—যা প্রচারের পর ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। শাকিবকে নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে রাজীব বলেছিলেন, “শাকিব খানের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, তিনি ইতিবাচক কিছু করতে চান। তার মধ্যে দারুণ উদ্যম আছে। আমরাও চেষ্টা করি নতুন কিছু করার।”
এদিকে, শাকিব খান অভিনীত নতুন সিনেমা ‘সোলজার’-এর দৃশ্যধারণও শুরু হয়েছে। সাকিব ফাহাদের পরিচালনায় এই সিনেমায় শাকিবের বিপরীতে কে অভিনয় করছেন তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, সিনেমায় শাকিব খানের নায়িকা হিসেবে তানজিন তিশাকে দেখা যেতে পারে। এছাড়া সিনেমাটিতে আরো থাকবেন তারিক আনাম খান, তৌকীর আহমেদ, জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী প্রমুখ।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ নেতা দুই ভাইয়ের বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ
ফরিদপুরের বোয়ালমারীর পরমেশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মান্নান মাতুব্বর ও ভাই সিদ্দিকী মাতুব্বরের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার ময়েনদিয়া বাজারে এ ঘটে।
তাঁরা দুজন আওয়ামী লীগের নেতা। মান্নান মাতুব্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের গণস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক। তিনি একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষী দিয়েছিলেন। সিদ্দিকী মাতুব্বর পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর তাঁদের বাড়িতে হামলা হলো।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রায় ঘোষণার পর ময়েনদিয়া বাজারে একটি আনন্দমিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বাজারের বিভিন্ন অলিগলি ঘুরে সন্ধ্যার দিকে বাজারসংলগ্ন এলাকায় যায়। এ সময় মিছিল থেকে একদল লোক প্রথমে সিদ্দিক মাতুব্বরের বাড়িতে ও পরে মান্নান মাতুব্বরের বাড়িতে হামলা ও আগুন ধরিয়ে দেয়। তখন পরিবারের সদস্যরা কেউ বাড়িতে ছিলেন না। পাশের ডহর নগর পুলিশ ফাঁড়ির কয়েকজন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে এলে হামলাকারীরা চলে যান।
সিদ্দিক মাতুব্বর অভিযোগ করেন, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি পাশের সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের বড়খারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদের স্বজন ও সমর্থকেরা এই হামলায় জড়িত। তাঁর ভাই ইউপি চেয়ারম্যান মান্নান মাতুব্বর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আবুল কালাম আজাদের মামলার একজন সাক্ষী ছিলেন। এই ক্রোধ থেকেই আজাদের ছেলে ও স্বজনেরা আনন্দমিছিলের নামে বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আবুল কালাম আজাদের ছেলে মাসুম বিল্লাহ ওরফে জেহাদ বলেন, তিনি গত দেড় সপ্তাহ ঢাকায় আছেন। ঢাকায় থেকে এলাকায় মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া কীভাবে সম্ভব?
মাসুম বিল্লাহ আরও বলেন, ‘আমার বাবার বিরুদ্ধে শুধু মান্নান মাতুব্বর একা নন, আরও অনেকে সাক্ষী দিয়েছেন। আমরা জানি, তাঁরা নিজে থেকে এ সাক্ষী দেননি, জোর করে দেওয়ানো হয়েছিল। কোনো সাক্ষীর সঙ্গে তাঁদের পরিবারের খারাপ সম্পর্ক নেই, তবে এলাকা কোনো ঘটনা ঘটলে তাঁদের নাম জড়িয়ে অভিযোগ দেওয়া ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
এর আগে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ১৭ অক্টোবর মান্নান মাতুব্বর ও তাঁর ভাই সিদ্দিক মাতুব্বরের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এ ঘটনায় বোয়ালমারী থানায় মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আবুল কালাম আজাদের ছেলে ও স্বজনদের আসামি করে একটি মামলা করা হয়। ওই হামলার ঘটনার পর ওই দুই ভাইয়ের পরিবার এলাকায় থাকছেন না।
ময়েনদিয়া বাজার সমিতির সভাপতি মাহবুব হাসান বলেন, গতকাল বিকেলে তিনি, সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের নিয়ে পাশের সালথা উপজেলার একটি গ্রামে একটি কাজে গিয়েছিলেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে বাজারে ফিরে জানতে পারেন মান্নান মাতুব্বর ও সিদ্দিক মাতুব্বরের বাড়িতে হামলা হয়েছে। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন, তা তাঁর জানা নেই।
ডহর নগর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আল আমীন বলেন, তিনি অতিরিক্ত দয়িত্ব পালনে ভাঙ্গা উপজেলায় ছিলেন। এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানতে পারবেন।
এ বিষয়ে ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, ময়েনদিয়া এলাকায় গতকাল ভাঙচুরের কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে সে বিষয়ে ডহরনগর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র নিশ্চয় ব্যবস্থাই নেবে।