গত পাঁচ দিনে দেশে তিনটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

রাজধানীর মিরপুরে পোশাক কারখানা ও কেমিক্যাল গোডাউন, চট্টগ্রাম ইপিজেডের একটি কারখানা এবং সবশেষ দেশের প্রধান বিমানবন্দর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।

আরো পড়ুন:

নাশকতার প্রমাণ পেলে দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে সরকার

শাহজালালে যাত্রীসেবা রাতেই চালুর আশা বিমান উপদেষ্টার

জানা গেছে, গত ১৪ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে ভয়াবহ তিনটি অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এর একটি রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়ির রাসায়নিকের গুদামে ও আরেকটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে। গত ১৬ অক্টোবর আগুন লাগে চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকার একটি তোয়ালে কারখানায়।

সবশেষ বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ২টায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট।

অন্তর্বর্তী সরকারের বিৃবতি
ঢাকার বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজসহ অন্যান্য অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নাশকতা বা অগ্নিসংযোগের কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে সরকার তাৎক্ষণিক ও দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে দেওয়া সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, “কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বা উসকানির মাধ্যমে জনজীবন ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করার সুযোগ দেওয়া হবে না।”

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিবৃতি

“দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্প্রতি সংঘটিত একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জনমনে যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার তা গভীরভাবে অবগত। আমরা সকল নাগরিককে আশ্বস্ত করতে চাই, নিরাপত্তা সংস্থাগুলো প্রতিটি ঘটনা গভীরভাবে তদন্ত করছে এবং মানুষের জীবন ও সম্পদ সুরক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে”, বলা হয় বিবৃতিতে।

বিবৃতিতে সরকার আরো বলেছে, “আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, যদি এসব অগ্নিকাণ্ড নাশকতা হিসেবে প্রমাণিত হয়, এবং এর উদ্দেশ্য হয় জনমনে আতঙ্ক বা বিভাজন সৃষ্টি করা, তবে তারা সফল হবে কেবল তখনই, যখন আমরা ভয়কে আমাদের বিবেচনা ও দৃঢ়তার ওপর প্রাধান্য দিতে দেব।”

অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ অতীতেও বহু কঠিন সময় অতিক্রম করেছে। আমরা ঐক্য, সংযম ও দৃঢ় সংকল্প নিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের উত্তরণের পথে যেকোনো হুমকির মোকাবিলা করব। আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।”

ঢাকা/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন সরক র র ব

এছাড়াও পড়ুন:

জনগণ বিশ্বাস করে এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত: ফখরুল

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড ও কয়েকজন আহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষার বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করতেই ফ্যাসিস্টদের দোসররা জোরালোভাবে নানা ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ড শুরু করেছে।”

আরো পড়ুন:

ঘোর অন্ধকার থেকে আলোতে এসেছি: মির্জা ফখরুল 

সরকারকে সবাই ব্যস্ত রেখেছে যেন নির্বাচন না হয়: মির্জা ফখরুল

“এ ধরনের অপকর্ম ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য দেশের আপামর মানুষকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। কারণ দেশকে অস্থিতিশীল করতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শত্রুরা এখনো সদা তৎপর রয়েছে। সম্প্রতি দেশে কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এবং আজ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে আগুন লাগার ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা। এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত বলে জনগণ বিশ্বাস করে,” বলেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, “হাজারো শহীদের আত্মত্যাগ আর অসংখ্য ছাত্র জনতার নিদারুণ যন্ত্রণাকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। তবে গণঅভ্যুত্থানের সাফল্য এবং সম্ভাবনা নস্যাৎ করে দিতে স্বৈরাচারের অংশীদাররা এখনো ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে।”

“আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি সর্তক থাকলে বাংলাদেশকে আর নৈরাজ্যের গভীর অন্ধকারে নিক্ষেপ করা যাবে না। ষড়যন্ত্র কিংবা অপপ্রচার চালিয়ে গত ১৬ বছরের অনাচার অবিচার থেকে জনগণকে বিস্মৃত করা যাবে না,” যোগ করেন তিনি।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জনগণ বিশ্বাস করে এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত: ফখরুল
  • নাশকতার প্রমাণ পেলে দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে সরকার
  • নাশকতার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেলে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হবে: সরকারের বিবৃতি
  • সৌদির ফ্লাইট সিলেটে অবতরণ, ঢাকাগামী বিমান বন্ধ
  • শাহজালালে কার্গো ভিলেজে আগুন: ঢাকাগামী ফ্লাইট নামল সিলেটে
  • শাহজালালে বিমান ওঠানামা বন্ধ
  • কার্গো ভিলেজে আগুন: নিয়ন্ত্রণে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমানবাহিনী