বগুড়ায় নেশার টাকা জন্য মামাত বোন ও ভাগ্নেকে খুন: পুলিশ
Published: 18th, October 2025 GMT
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় নেশার টাকার জন্য মোটরসাইকেল চুরি করার উদ্দেশ্যে গিয়ে মামাত বোন রাণী বেগম ও ভাগ্নে ইমরান হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করে জিসান ও তার সহযোগীরা। হত্যার একমাস পর তিন আসামিকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ এমন তথ্য জানিয়েছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও মিডিয়া মুখপাত্র আতোয়ার রহমান এ সব তথ্য জানান।
আরো পড়ুন:
কক্সবাজারে ফুফাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামাতো ভাই হত্যার অভিযোগ
লক্ষ্মীপুরে আলোচিত মা-মেয়ে হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা গ্রেপ্তার
গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার সাদুল্লাপুর বটতলা গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রী রাণী বেগম (৪০) এবং ছেলে ইমরান হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পর ইমরানের মোটর সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
এ মামলায় গ্রেপ্তার জিসান নিহত রাণী বেগমের ফুফাত ভাই এবং ইমরান তার ভাগ্নে।
গত ১৫ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ঢাকার আশুলিয়ার পূর্ব নরসিংহপুর এলাকা থেকে আসামি মাহী ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যে রাজধানীর খিলক্ষেতের ডুমনি বাজার থেকে জিসান (২০) ও মো.
এই ঘটনার পর নিহত রাণী বেগমের মা শিবগঞ্জ থানায় জিসানের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। সেই মামলার তদন্ত করে মাহী ইসলাম ও মো. সৈকতকে শনাক্ত করে পুলিশ। কিন্তু তারা পলাতক ছিলেন। নওগাঁ সদর এলাকা থেকে লুট হওয়া মোটর সাইকেলও উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার রহমান জানান, আদালতের নির্দেশে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের রিমান্ড পাওয়া যায়। এ সময় নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, তারা নেশায় আসক্ত থাকায় বিভিন্ন লোকজনের কাছে টাকা ধার করে ঋণগ্রস্ত হয়। এই ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য পূর্বপরিকল্পিতভাবে জিসান তার সহযোগীদের নিয়ে তার মামাত বোন রাণী বেগমের বাসায় যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘তাদের উদ্দেশ্য ছিল ইমরানের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি কৌশলে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু ইমরান বিষয়টি বুঝতে পারলে তাকে দা দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে জখম করে। পাশের ঘরে থাকা রাণী বেগম এসে ছেলেকে বাঁচাতে চেষ্টা করলে তাকেও কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর ইমরানের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল এবং গহনা নিয়ে পালিয়ে যায়।’’
ঢাকা/এনাম/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য হত য র ইমর ন
এছাড়াও পড়ুন:
বাম গণতান্ত্রিক শক্তি রাষ্ট্রক্ষমতায় গিয়ে কৃষকের প্রকৃত মুক্তি আনবে
দুঃশাসন হটিয়ে বাম গণতান্ত্রিক শক্তি রাষ্ট্রক্ষমতায় গিয়েই বৈষম্যহীন রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তুলে কৃষকের প্রকৃত মুক্তি আনবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতারা।
আজ শনিবার রাজধানীর মুক্তিভবনে কৃষকের তেভাগা আন্দোলন ও ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী ইলা মিত্রের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় সিপিবি নেতারা এই মন্তব্য করেন।
সভায় নেতারা বলেন, তেভাগা আন্দোলন মূলত শ্রেণিহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার বিপ্লব। কৃষকদের তেভাগা কায়েম হলেও মুক্তি মেলেনি। তেভাগা আন্দোলনের সময়কালে লড়াইটা ছিল জমিদার ও জোতদারের বিরুদ্ধে। এখন কৃষকের লড়াই বহুমাত্রিক। পুঁজিবাদী সমাজ কাঠামোয় পূঁজির মালিক, কৃষি উপকরণের উৎপাদক বহুজাতিক কোম্পানি, বাজার সিন্ডিকেটের একচেটিয়া বাণিজ্য কৃষকদের নিঃস্ব করে দিচ্ছে।
ইলা মিত্রের ছবিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ঢাকা দক্ষিণ কমিটি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ঢাকা জেলা কমিটি, বাংলাদেশ কৃষক সমিতি, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী।
আলোচনা সভায় বক্তরা