সিদ্ধিরগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী সাহেব আলীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও সিদ্ধিরগঞ্জের অপরাধ চক্রের অন্যতম সদস্য নূর নবীকে (৩০) একটি বিদেশি পিস্তলসহ গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-১১।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের আটি হাউজিং এলাকার একটি বাসায় গোপন অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-১১'র অপস অফিসার গোলাম মোর্শেদ।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আটি হাউজিং এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব-১১ এর একটি বিশেষ দল। এ সময় নূর নবীর কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়। সে আটি হাউজিং এলাকার মোহাম্মদ আলমগীরের ছেলে।

গোলাম মোর্শেদ জানান, নূর নবী দীর্ঘদিন ধরে সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় সাহেব আলীর সন্ত্রাসী গ্রুপের হয়ে চাঁদাবাজি, মাদক কারবার ও অস্ত্র ব্যবসায় জড়িত ছিল। কয়েক বছর ধরে সে সাহেব আলীর ডান হাত হিসেবে কাজ করে আসছিল এবং এলাকার বিভিন্ন অপরাধে সরাসরি নেতৃত্ব দিত।

এর আগে গত সপ্তাহে র‍্যাব-১১ এর অভিযানে সুনামগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার হয় সাহেব আলী। ওই সময় র‍্যাব সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায় তার সহযোগী নূর নবী। পরবর্তীতে গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে শনিবার দুপুরে তাকে ধরতে সক্ষম হয় র‍্যাব।

র‍্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, নূর নবীর বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ৪টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চাঁদাবাজি, নাশকতা, সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান, বিস্ফেরক আইনের মামলা। তার বিরুদ্ধে#

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ সন ত র স ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ র স হ ব আল র ন র নব

এছাড়াও পড়ুন:

বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজের আগুনের ঘটনায় ২৫ আনসার সদস্য আহত

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনের ঘটনায় উদ্ধার ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সহযোগিতা করতে গিয়ে ২৫ জন আনসার সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁদের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর গণসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক মো. আশিকউজ্জামান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মো. আশিকউজ্জামান বলেন, বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আনুমানিক এক হাজার আনসার সদস্য ঘটনাস্থলে উদ্ধার ও আগুন নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করছেন। এ সময় কর্তব্যরত অবস্থায় এখন পর্যন্ত ২৫ জন আনসার সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁদের দ্রুত সিএমএইচ ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো এলাকার ৮ নম্বর গেটের পাশে বিভিন্ন কোম্পানির আমদানিকৃত রাসায়নিক, গার্মেন্টস, ইলেকট্রনিকস ও মেশিনারিজ পণ্যে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পাওয়ার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং বিমানবন্দরে কর্মরত আনসার সদস্যরা সম্মিলিতভাবে আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেন। তবে আগুনের সূত্রপাত এখনো জানা যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ