তরুণরা এখন চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হতে চায়: শিল্প উপদেষ্টা
Published: 3rd, December 2025 GMT
শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, নতুন প্রজন্মের তরুণরা এখন চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হতে চায়। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ঋণ প্রাপ্তি। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহজে ঋণ পেতে নীতি, তহবিল ও পরামর্শ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে এগিয়ে আসতে হবে।
শিল্প উপদেষ্টা আজ বুধবার ঢাকায় তেজগাঁওয়ে বিসিক সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের বার্ষিক সম্মেলন এবং ‘৬৯ বছরে বিসিক: অর্জন, সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক কর্মশালায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘‘বিসিকের অনেক জায়গায় শিল্প প্লট খালি পড়ে আছে। প্লটগুলোতে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগের সমস্যা রয়েছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করে দ্রুতই অনলাইনভিত্তিক ওয়ান-স্টপ সার্ভিস চালু করতে হবে। যারা উদ্যোক্তা না, পূর্বে তাদের রাজনৈতিক বিবেচনায় প্লট দেয়া হয়েছে। তাদের প্লট বাতিল করা হবে। জুলাই বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে আমরা এমন এক বিসিক দেখতে চাই, যা হবে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং উদ্যোক্তাবান্ধব।’’
বিসিক চেয়ারম্যান মো.
আহসান এইচ. মনসুর বলেন, ‘‘উদ্যোক্তাদের যে ঋণ দেয়া হয়, তা খুবই অল্প। আমাদের হাতে পঁচিশ হাজার কোটি টাকা আছে। ঋণ বিতরণেও দুর্বলতা আছে। আমরা ঋণের পরিমাণ বাড়াতে চাই। এ ক্ষেত্রে বিসিকের মতো প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। উদ্যোক্তা ও ক্রেতাদের মধ্যে সংযোগ ঘটিয়ে অনলাইন প্লাটফর্মগুলো জনপ্রিয় করে তুলতে হবে।’’
আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সিস্টেমের সঙ্গে উদ্যোক্তাদের যোগাযোগ সৃষ্টিতে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
আলোচনা পর্ব শেষে শিল্প উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর বিসিক ভবনের নিচ তলায় অনুষ্ঠিত বিসিক বিজয় মেলার স্টল পরিদর্শন করেন ও উদ্যোক্তাদের সাথে কথা বলেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব রাশিদুল হাসান, বাংলাদেশ জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ বোর্ডের মহাপরিচালক এএসএম শফিউল আলম তালুকদারসহ পরিকল্পনা কমিশন ও অর্থ বিভাগের প্রতিনিধিবৃন্দ।
ঢাকা/এএএম//
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ল প উপদ ষ ট উদ য ক ত দ র
এছাড়াও পড়ুন:
চিরবিচ্ছেদের নীরবতার স্থিরচিত্র
রাজা আর্থারের ক্যামেলট, যা ইউরোপীয় সাহিত্যে আদর্শ রাজত্ব ও বীরত্বের প্রতীক হয়ে আছে। এর অন্তরে লুকিয়ে আছে একটি নিষিদ্ধ প্রেমের শ্বাসরুদ্ধকর ইতিহাস। স্যার ল্যান্সেলট ও রানি গিনিভারের গোপন সম্পর্ক কেবল রাজকীয় বিশ্বাসঘাতকতার গল্প নয়, বরং এটি এক সভ্যতার নৈতিক পতনের রূপক হিসেবেও উপস্থিত। এই প্রেমের দ্বন্দ্বে দেখতে পাওয়া যায় মানুষের চিরন্তন সংকট, যেমন দায়িত্ব ও আকাঙ্ক্ষা, ন্যায় ও প্রেম, আত্মসংযম ও আত্মবিসর্জনের মুখোমুখি সংঘাতকে।
ক্যামেলটের কিংবদন্তি যেখানে ন্যায়, বীরত্ব ও আত্মসংযমের পূজারূপে দাঁড়ায়, সেখানে ল্যান্সেলট-গিনিভারের সম্পর্ক সেই আদর্শকে ভেতর থেকে ভেঙে দেয়। ইতিহাসের নয়, বরং কল্পনায় নির্মিত এই রাজ্যের পতন আমাদের নৈতিক ও মানসিক জগৎকে প্রশ্ন করে যে মানবিক ভালোবাসা কি কখনো আদর্শের ঊর্ধ্বে যেতে পারে?
এই দ্বন্দ্ব মধ্যযুগীয় নৈতিকতার কেন্দ্রে থাকা প্রশ্নকে সামনে আনে, মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ গুণ কী—কর্তব্য, নাকি প্রেম?কবি অ্যালফ্রেড লর্ড টেনিসন