খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা
Published: 3rd, December 2025 GMT
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৮ মিনিটে হাসপাতালে পৌঁছান তিনি।
১১ দিন ধরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া শারীরিক অবস্থা এখনো উদ্বেগজনক। তাঁকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দেশি–বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। বিএনপির চেয়ারপারসনের চিকিৎসা সহায়তায় যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রিচার্ড বিয়েল আজ সকালে ঢাকায় এসেছেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।
সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার আগমণ উপলক্ষে হাসপাতাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এএসএফ), প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা জোরদার করেন। এ সময় কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় হাসপাতালের প্রধান ফটক।
৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে গত ২৩ নভেম্ভর দ্রুত তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।
চিকিৎসকেরা এখনো খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থাকে ‘গুরুতর’ হিসেবে বিবেচনা করছেন। তাঁদের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, আগামী কয়েকটি দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিডনি কার্যক্ষমতায় স্থিতিশীলতা ছাড়া তাঁর সামগ্রিক শারীরিক অবস্থায় স্থায়ী উন্নতি আসা কঠিন।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতার খবরে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে ভিড় করছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এতে ওই এলাকায় যান চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতা-কর্মীদের সেখানে ভিড় না করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপোতে তিন লাখ ডলারের ক্রয়াদেশ
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত তিন দিনের গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপোতে ৩ লাখ ১১ হাজার মার্কিন ডলারের ক্রয়াদেশ পেয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া ৩ লাখ ৭২ হাজার ডলারের ক্রয়াদেশের প্রস্তাব পেয়েছেন রপ্তানিকারকেরা।
ঢাকার পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে আজ বুধবার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ হাসান আরিফ এ কথা জানান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইপিবির মহাপরিচালক বেবী রানী কর্মকার। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, ফার্নিচার মালিক সমিতির চেয়ারম্যান সেলিম এইচ রহমান, বিপিজিএমইএর সভাপতি শামীম আহমেদ। ইপিবির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ বলেন, খুব অল্প সময়ের প্রস্তুতিতে সোর্সিং এক্সপো আয়োজন করতে হয়েছে। ফলে এ বছর অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল। আন্তর্জাতিক মানের এই সোর্সিং এক্সপো ভবিষ্যতে নিয়মিতভাবে আয়োজন করা হবে।
বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি সম্ভাবনা তুলে ধরতে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো শুরু হয় গত সোমবার। এতে বাংলাদেশের আটটি গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি খাতের পণ্য প্রদর্শন করা হয়। খাতগুলো হচ্ছে তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, কৃষিজাত পণ্য, প্লাস্টিক ও কিচেনওয়্যার, হোম ডেকর ও ফার্নিচার, ওষুধ ও তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি)।
ইপিবি জানায়, প্রদর্শনীতে ১২৫টি প্রতিষ্ঠান ১৬৫টি স্টল নিয়ে অংশগ্রহণ করেছিল। বিশ্বের ১৪টি দেশের শতাধিক আন্তর্জাতিক ক্রেতা এ দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করেন। এ ছাড়া বিদেশি ক্রেতারা দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টল ও কারখানা পরিদর্শন করেন। তিন দিনের এই প্রদর্শনীতে ৬টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। মোট ২৩৮টি বি-টু-বি সভা হয়।
অনুষ্ঠানে আট খাতের সেরা প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতে প্রাণ–আরএফএল গ্রুপ, তৈরি পোশাকে শিশু পরিবহন, ফার্নিচার ও হোম ডেকোর খাতে হাতিল, তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) খাতে ডিজি ইনফোটেক, পাট ও পাটজাত পণ্যে প্ল্যানেট কেয়ার, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে এলএফএমইএবি, ওষুধ খাতে রেডিয়্যান্ট এবং প্লাস্টিক ও কিচেনওয়্যারে বেঙ্গল প্লাস্টিক।