শরীয়তপুরে চিকিৎসক দম্পতির বাসায় দুর্ধর্ষ চুরি
Published: 3rd, December 2025 GMT
শরীয়তপুর শহরে চিকিৎসক দম্পতির বাসার তালা ভেঙে দুর্ধষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। চোরের পালিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিও সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে শরীয়তপুর শহরের আমিনবাগ এলাকার শিল্পকলা একাডেমির পাশের ভবনে চুরি হয়।
আরো পড়ুন:
অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ট্রাকসহ ৩০টি গরু লুট
টেকনাফে অস্ত্রসহ ৩ রোহিঙ্গা ডাকাত আটক
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’’
ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুব্রত কুমার ও তার স্ত্রী ঐশী মণ্ডল দুইজনই চিকিৎসক। তারা শরীয়তপুরের দুটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করেন। চাকরির সুবাদে গত ফেব্রুয়ারি মাসে তারা রাজশাহী থেকে এসে শরীয়তপুরে বসবাস শুরু করেন। তিন মাসে আগে শহরের আমিনবাগ এলাকার শিল্পকলা একাডেমির পাশের ভবনে ভাড়া বাসায় ওঠেন। প্রতিদিনের মতো বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে স্বামী ও স্ত্রী হাসপাতালে যায়। দুপুরে বাসার তালা ভেঙে চোর বাসার ভেতরে প্রবেশ করে।
চোর বাসায় থাকা আলমারি ভেঙে অন্তত ৫ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৫০ হাজার টাকা ও একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। বাসার নিচে দিয়ে যাওয়ার সময় ওই চোরের মুখমণ্ডল ধরা পড়ে ভবনে লাগানো সিসিটিভির ক্যামেরায়।
ডা.
চিকিৎসক সুব্রত কুমার বলেন, ‘‘কমপক্ষে সাড়ে ১০ লাখ টাকার মালামাল খোয়া গেছে। এ ঘটনায় পর আমরা ভয়ে আছি।’’
চুরির বিষয়টি থানায় অবগত করেছেন বলে জানান ডা. সুব্রত কুমার।
ঢাকা/আকাশ/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার খোঁজ নিতে হাসপাতালে ইসলামী আন্দোলনের নেতারা
চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার খোঁজ নিতে এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তিনি খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। আজ বুধবার বিকেলে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে আসেন।
ফয়জুল করীম বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। জাতির এই ক্রান্তিকালে তাঁর উপস্থিতি প্রয়োজন। বিএনপির নেতা–কর্মী ও তাঁর পরিবারের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা জানাচ্ছি।’
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে কোনো তথ্য জানতে পেরেছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির বলেন, ‘যাঁরা দায়িত্বশীল আছেন, তাঁদের থেকে আমরা খোঁজখবর নিয়েছি। আগের মতোই এখন পর্যন্ত।...এখন পর্যন্ত খুব পরিবর্তন হয়েছে এ রকম তাঁরা আমাকে খবর দিতে পারেন নাই।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান এবং যুগ্ম মহাসচিব শেখ ফজলে বারী মাসউদ।
এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ঘিরে হাসপাতাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এর মধ্যে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ), প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। এ ছাড়া কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা রয়েছে হাসপাতালের প্রধান ফটক।
৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে গত ২৩ নভেম্বর দ্রুত তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। ৩০ নভেম্বর ভোরের দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এসডিইউ থেকে সিসিইউতে নেওয়া হয়।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখনো বেশ উদ্বেগজনক পর্যায়েই রয়ে গেছে। বিশেষ করে তাঁর হৃদ্যন্ত্র, লিভার, কিডনি ও ফুসফুসের জটিলতা কাটছে না। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দেখা যাচ্ছে চিকিৎসায় এ সমস্যাগুলোর একটির সামান্য উন্নতি হলে অন্যটির অবনতি ঘটছে; যা কয়েক দিন ধরে নানা মাত্রায় উদ্বেগজনকভাবে ওঠানামা করছে। তবে চিকিৎসকেরা এখনো এই অর্থে আশাবাদী যে তাঁরা খালেদা জিয়াকে যে চিকিৎসা দিচ্ছেন, তিনি তা গ্রহণ করতে পারছেন। ওষুধ কাজ করছে।
যদিও কয়েক দিন ধরে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব চলছে। অনেকে তাঁর অবস্থা ‘জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে’ বলে রটাচ্ছেন।
তবে যেকোনো ধরনের গুজব ছড়ানো এবং গুজবে কান না দেওয়ার জন্য খালেদা জিয়ার পরিবার এবং দলের পক্ষ থেকে বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের অন্যতম এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
জাহিদ হোসেন জানান, খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নেওয়ার জন্য দলের সব প্রস্তুতি আছে। রোগীর বর্তমান অবস্থা এবং সর্বোপরি মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শের বাইরে কোনো কিছু করার সুযোগ এই মুহূর্তে তাঁদের হাতে নেই।
এরই মধ্যে চীন থেকে চিকিৎসকদের পাঁচ সদস্যের একটি অগ্রবর্তী দল ঢাকায় পৌঁছেছে। আজ সকালে যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রিচার্ড বিয়েল ঢাকায় এসেছেন।