টেলিভিশনের পর্দায় তিনি ছিলেন ব্যাপক আলোচিত, কিন্তু বাস্তব জীবনের গল্প আরও কঠিন। ‘কিউঁকি সাস ভি কভি বহু থি’ সিরিয়ালে ‘পায়েল’ চরিত্রে অভিনয় করে ঘরে ঘরে পরিচিতি পেলেও জয়া ভট্টাচার্যের নিজের জীবনে ছিল যন্ত্রণার দীর্ঘ ছায়া—নির্যাতন, অবহেলা আর অবিরাম সংগ্রাম।

শুরুর গল্প
১৯৭৮ সালে লক্ষ্ণৌয়ের এক বাঙালি পরিবারে জন্ম জয়ার। ছোটবেলায় পাড়ার লোকজন তাঁকে আদর করে ডাকত ‘বুলবুল’। কিন্তু সেই ডাকে উষ্ণতার চেয়ে বেদনাই বেশি ছিল। নিজের শৈশবের কথা বলতে গিয়ে তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন—মা-বাবার অমিল, অপূর্ণতা, ক্রোধের আগুন সবই এসে পড়েছিল তাঁর ওপর। চপেটাঘাত, জুতো—কী দিয়ে যে মার খেয়েছেন, তার হিসাব নেই। এই নির্যাতন তাঁকে জেদি করেছে, আবার ভেতরটা ক্ষতবিক্ষতও করেছে।

জয়ার কথায়, মা তাঁর প্রতি কখনো আস্থাশীল ছিলেন না। অন্যের কথা সহজেই বিশ্বাস করতেন, এমনকি নিজের মেয়েকেও অপমান করতেন সামনাসামনি। তৃতীয় শ্রেণি থেকে কলেজপড়ুয়া হওয়া পর্যন্ত তাঁদের পরিবার একটি ছোট ঘরে কোনোরকমে টিকে ছিল। তাঁর বাবা ছিলেন আত্মসম্মানী, সৎ মানুষ; কিন্তু তিনিও নানা অপমানে আঘাত পেয়েছেন পুরো জীবনটা।

জয়া ভট্টাচার্য। ইনস্টাগ্রাম থেকে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা

গুরুতর অসুস্থ বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা।

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৩ নভেম্বর এভারকেয়ারে ভর্তি করা হয় বেগম খালেদা জিয়াকে। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সেখানে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন তিনি। 

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিষয়ে গতকাল বিএনপির পক্ষ থেকে সর্বশেষ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, তিনি চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন। প্রয়োজন হলে তাকে বিদেশে নেওয়া হবে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ